(মৃত্যুর পর) যখন তিনি বগলী কবরে সমাহিত হয়েছিলেন, তা দেখে মদিনার ইহুদি ও খ্রিস্টানেরা আনন্দিত ও উল্লসিত হয়েছিল।
মূল কবিতা—
ما بال عيني
لا تنام
حسان بن ثابث
قال يرثي النبي
صلى الله عليه وسلم:
ما بالُ عَيني لا تَنامُ كَأَنَّما كُحِلَت مَآقيها بِكُحلِ الأَرمَدِ
جَزَعاً عَلى المَهدِيِّ أَصبَحَ ثاوِياً يا خَيرَ مَن وَطِئَ الحَصى لا تَبعُدِ
جَنبي يَقيكَ التُربَ لَهفي لَيتَني غُيِّبتُ قَبلَكَ في بَقيعِ الغَرقَدِ
أَأُقيمُ بَعدَكَ بِالمَدينَةِ بَينَهُم يا لَهفَ نَفسي لَيتَني لَم أولَدِ
بِأَبي وَأُمّي مَن شَهِدتُ وَفاتَهُ في يَومِ الاِثنَينِ النَبِيُّ المُهتَدي
فَظَلِلتُ بَعدَ وَفاتِهِ مُتَلَدِّداً يا لَيتَني أُسقيتُ سَمَّ الأَسوَدِ
أَو حَلَّ أَمرُ اللَهِ فينا عاجِلاً مِن يَومِنا في رَوحَةٍ أَو في غَدِ
فَتَقومُ ساعَتُنا فَنَلقى طَيِّباً مَخصاً ضَرائِبُهُ كَريمَ المَحتِدِ
يا بِكرَ آمِنَةَ المُبارَكَ ذِكرُهُ وَلَدَتكَ مُحصَنَةٌ بِسَعدِ الأَسعَدِ
نوراً أَضاءَ عَلى البَرِيَّةِ كُلِّها مَن يُهدَ لِلنورِ المُبارَكِ يَهتَدِ
يا رَبِّ فَاِجمَعنا مَعاً وَنَبِيَّنا في جَنَّةٍ تُنبي عُيونَ الحُسَّدِ
في جَنَّةِ الفِردَوسِ وَاِكتُبها لَنا يا ذا الجَلالِ وَذا العُلا وَالسُؤدُدِ
وَاللَهِ أَسمَعُ ما حَيِيتُ بِهالِكٍ إِلّا بَكَيتُ عَلى النَبِيِّ مُحَمَّدِ
يا وَيحَ أَنصارِ النَبِيِّ وَرَهطِهِ بَعدَ المُغَيَّبِ في سَواءِ المُلحَدِ
ضاقَت بِالاَنصارِ البِلادُ فَأَصبَحوا سوداً وُجوهُهُمُ كَلَونِ الإِثمِدِ
وَلَقَد وَلَدناهُ وَفينا قَبرُهُ وَفُضولَ
نِعمَتِهِ بِنا لَم نَجحَدِ
وَاللَهُ أَكرَمَنا بِهِ وَهَدى بِهِ أَنصارَهُ في كُلِّ ساعَةِ مَشهَدِ
صَلّى الإِلَهُ وَمَن يَحُفُّ بِعَرشِهِ وَالطَيِّبونَ عَلى المُبارَكِ أَحمَدِ
فَرِحَت نَصارى يَثرِبٍ وَيَهودُها لَمّا
تَوارى في الضَريحِ المُلحَدِ
কবিতার সারসংক্ষেপ—
কবি হ়াস্সান
বিন সাবিত (রাঃ) একজন মহৎ সাহাবী ও বিখ্যাত কবি। তিনি শায়েরুর্ রাসূল (বা রাসুলের কবি)
নামে বিখ্যাত। ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলের সাহচর্য ও সঙ্গকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নিয়েছিলেন।
তিনি রাসুলকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে কবি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলেন। আর সেই মানসিক যন্ত্রণাকে এই শোকগাথায় সার্থক ভাবে প্রকাশ করেছেন।
কবিতার সূচনালগ্নে কবি রাসুল (সাঃ)-এর মৃত্যুতে যে দুঃখকষ্ট পেয়েছিলেন তারই
বিবরণ করেছেন যে, রাসুল (সাঃ)-এর পরলোকগমনের সংবাদ শোনার পর তাঁর দু’চোখে ঘুম নেই;
যেন তাতে অক্ষিপ্রদাহের সুরমা রঞ্জিত হয়েছে। কারণ রাসুল (সাঃ) তাঁর নিকট সকল মদীনাবাসীদের
মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তাঁর মৃত্যুতে কবি অস্থির। অতঃপর কবি নিজ আকাঙ্খা প্রকাশ করে বলেছেন
যে, কবি যদি রাসুলের পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে বাক়িউল্ গ়ার্ক়াদ নামক মদিনার সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্ত হতেন এবং নিজ পার্শ্বদেশ দিয়ে রাসুলকে মৃত্তিকার
স্পর্শ হতে রক্ষা করতে পারতেন, তাহলে তা তাঁর পক্ষে মঙ্গলময় হত।
অতঃপর কবি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি (সাঃ) সোমবার মৃত্যু বরণ করেন। আর তার পর
মদিনায় জীবন যাপন করা কবির পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। মনে কোনও আনন্দ নেই। তাই মনের
অব্যক্ত বাসনা, যদি কালো বিষাক্ত শাপের ছোবলে তাঁর মৃত্যু হতো অথবা তাঁর জন্ম না হতো
তাহলে খুব ভালো হতো। আর যদি সময়ের পূর্বেই তাঁর মৃত্যু হতো তাহলে রাসুলের সাক্ষাৎ তিনি
সহজেই পেয়ে যেতেন।
তারপর নবীজির প্রশংসা করে বলেছেন, নবী-জননী আমেনা এক সতী নারী ছিলেন। তিনি এক
জ্যোতির্ময় ব্যক্তিকে জন্ম দিয়েছেন যে জগত হতে অন্ধকারকে দূরীভূত করে সৃষ্টিকূলকে আলোর
সন্ধান দেবে। আর কবি প্রার্থনা করেছেন, পরম করুণাময় যেন জান্নাতে তাঁকে নবীর সান্নিধ্য
প্রদান করেন, তাতে হিংসুকরা সদুত্তর পাবে।
কবিতার
শেষে তিনি ক্রন্দনের সুরে বলেছেন যে, যখনই তিনি কোনও মৃতের কথা শুনবেন তখনই তাঁর নবীর
স্মরণে কান্না পাবে। আর নবীর শোকে আনসারদের চেহারা ইস্মিদ পাথরের ন্যায় কালো হয়ে গেছে।
সেই সঙ্গে তিনি নবীর প্রতি করুণা ও শান্তি বর্ষণের প্রার্থনাও করেছেন। কবিতার অন্তিম
চরণে নবীর মৃত্যুতে ইসলামের শত্রু ইহুদী-খ্রিষ্টানদের উল্লাসের কথাও আলোচনা করেছেন।
অনুবাদ ও সারসংক্ষেপ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteA lot of thanks for translate this poem.❤️
ReplyDeleteما بال لا عيني لا تنام
ReplyDelete😭
I was crying when I had recited the poem😭
ReplyDeleteIt is very tearful poem
ReplyDelete