Friday 27 July 2018

সেদিনের পোড়া রুটি ও শিশু কালাম



সেদিনের পোড়া রুটি ও শিশু কালাম

খন আমি ছোট ছিলাম মা আমাদের জন্য রান্না করতেন। সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করার পর রাতের খাবার তৈরি করতেন। এক রাতে তিনি বাবাকে এক প্লেট সবজি আর একেবারে পুড়ে যাওয়া রুটি খেতে দিলেন। আমি অপেক্ষা করছিলাম বাবার প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটা দেখার জন্য। কিন্তু বাবা চুপচাপ রুটিটা খেয়ে নিলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন স্কুলে আমার আজকের দিনটা কেমন গেছে।
আমার মনে নেই বাবাকে সেদিন আমি কি উত্তর দিয়ে ছিলাম কিন্তু এটা মনে আছে যে, মা পোড়া রুটি খেতে দেয়ার জন্য বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এর উত্তরে বাবা মাকে বলেছিলেন- প্রিয়তমা, পোড়া রুটিই আমার পছন্দ।বাবাসেই উত্তরটা আমি কোনদিনই ভুলব না।  
সেদিন রাতে কিছুক্ষণ পরে যখন বাবাকে শুভরাত্রি বলে চুমু খেতে গিয়েছিলাম তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি সত্যিই পোড়া রুটিটা পছন্দ করেছিলেন...!
বাবা আমাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তোমার মা আজ সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং তিনি অনেক ক্লান্ত ছিলেন। তাছাড়া একটা পোড়া রুটি খেয়ে মানুষ কষ্ট পায়না  বরং মানুষ কষ্ট পায় কর্কশ ও নিষ্ঠুর কথায়। জেনে রেখো, জীবন হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ জিনিস এবং ত্রুটিপূর্ণ মানুষের সমষ্টি। আমি কোনক্ষেত্রেই সেরা না বরং খুব কম ক্ষেত্রেই ভাল বলা যায়। আর সবার মতোই আমিও জন্মদিন এবং বিভিন্ন বার্ষিকীর তারিখ ভুলে যাই। এ জীবনে আমি যা শিখেছি সেটা হচ্ছে, আমাদের একে অপরের ভুলগুলোকে মেনে নিতে হবে এবং সম্পর্কগুলোকে উপভোগ করতে হবে। জীবন খুবই ছোট; প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অনুতপ্ত বোধ করার কোন মানেই হয় না। যে মানুষগুলো তোমাকে যথার্থ মূল্যায়ন করে তাদের ভালোবাসো আর যারা তোমাকে মূল্যায়ন করে না তাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হও।
[ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের জীবনী থেকে নেওয়া] 

Sunday 22 July 2018

رابندرانات طاغور: ربّي لمستك تمسّ كلّ أعضائي


ربّي لمستك تمسّ كل أعضائي
رابندرانات طاغور
ترجمة: عبد المتين وسيم
 
ربّي، لمستك تمس كل أعضائي
فتصحبها طول الليل والنهار
فيا ربّ حياتي، أحاول دائما
أن أبقي جسدي طاهرا نقيا.
وأذكر يا عليم مع كل خيالاتي
بأنك تحيى وتبقى في عمق قلبي
وأسعى جمّ السعي خارج أفكاري
لأطرُد عن حولي كل الشرود.
 
وأسعى ذاكرا مكانتك في قلبي
لأطرُد كل البغض والحسد
وأطرد كل الشرود عن قلبي 
وأحتفظ بحبي في صافي الوُرود.
 
وقد أدركت بأنك الذي تقدّر لنا تمام الشؤون
فأبتغي أن أسبّحك وأذكرك في جميع أعمالي. 



আমার সকল অঙ্গে তোমার পরশ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 

আমার সকল অঙ্গে তোমার পরশ
লগ্ন হয়ে রহিয়াছে রজনী-দিবস
প্রাণেশ্বর, এই কথা নিত্য মনে আনি
রাখিব পবিত্র করি মোর তনুখানি |
মনে তুমি বিরাজিছ, হে পরম জ্ঞান,
এই কথা সদা স্মরি মোর সর্বধ্যান
সর্বচিন্তা হতে আমি সর্বচেষ্টা করি
সর্বমিথ্যা রাখি দিব দূরে পরিহরি |

হৃদয়ে রয়েছে তব অচল আসন
এই কথা মনে রেখে করিব শাসন
সকল কুটিল দ্বেষ, সর্ব অমঙ্গল--
প্রেমেরে রাখিব করি প্রস্ফুট নির্মল |

সর্ব কর্মে তব শক্তি এই জেনে সার,
করিব সকল কর্মে তোমারে প্রচার |

Monday 16 July 2018

ইবনুর রুমিঃ ওয়াহিদের প্রতি



ওয়াহিদের প্রতি

ইব্‌নুর্‌ রুমি, ইরাক   

অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

  

শোনো বন্ধু, এ মন আমার

ওয়াহিদের প্রেমে কতই না যাতনা সয়েছে !

সে যে কোমল দেহী, প্রাণবন্ত

যেন কচি ডাল কোন সজীব গাছে 

সে যে সুশোভিত

হরিণী-গ্রীবা ও দীঘল নয়নে;   

কালো-দীর্ঘ কেশরাশি ও গালের গোলাপি-আভায়

সে হয়ে ওঠে মোহময়

তাঁর শীতল গালের সম্ভ্রম

দ্বিগুণ করে প্রেমিক মনের দহন

আর তাঁর লালার বিচ্ছুরণে  

প্রশমিত হয় গণ্ডদেশের উত্তাপ

উবে যায় মনের যাতনা।   

তাঁর লালা আশ্বস্ত করে

অভিমান-অনুযোগের স্বরকে

খুলে দিয়ে বিমুখতা ও অস্বীকৃতির সব বাঁধন

 

আকুতি করে তাঁর সৌন্দর্যে সম্মোহিতেরা-

‘সে কেমন আর একটু বলো না’ 

আমি বলি- সে সহজ; আবার কঠিনও

সে সবচেয়ে সুন্দরী- এ কথা বলা যেমন সহজ;

তেমনি কঠিন তাঁর সৌন্দর্যকে সীমাবদ্ধ করা 

উদ্ভাসিত হয় তাঁর রূপ দর্শনেচ্ছুদের তরে,

আর তা দেখে কেউ নাগাল পায় সৌভাগ্যের

আবার কারো বরাতে জোটে

শুধুই যাতনা হতাশার।

   

সে এক হরিণী; প্রেমিক-মনকে

সজীব করে তোলে তাঁর উচ্ছলতা;

আর কোকিল-কণ্ঠে তাঁর গান করে প্রাণবন্ত।  

সে গান গায় মিহি সুরে

যেন গাইছে না কিছুই;  

আর সেই গান সৃষ্টি করে আবহ

মিলনের, একাত্মতার।  

চক্ষু চড়কে ওঠে না তা শুনে

গর্দানও পাক খায় না।   

তাঁর মৃদু স্বরে না আছে বিচ্ছিন্নতা

আর না আছে কোন অস্বাভাবিকতা তাঁর দীর্ঘ লয়ে ।  

ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের শেষ প্রান্তে

প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাসের মতো এক দীর্ঘ-শ্বাস  

তাঁর সূরের ছোয়ায়

কোমল হয়ে যায় সকল মান-অভিমান

 

আর তাঁর কন্ঠস্বর–  

যাতনায় হয়ে ওঠে ভারাক্রান্ত  

ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে সুর;  

তুমি  দেখবে, তাঁর সুর কখনও নিস্তেজ

তো কখনও হয় প্রাণবন্ত  

আর আবৃতি শ্রুতি মধুর।  

তাঁর সূরের মাধুর্যে  

ঢেকে যায় কুৎসার তীব্রতা

আর গান হয়ে ওঠে মনোগ্রাহী  

 

মুখবয়ব তাঁর অপূর্ব সুন্দর 

সেই মুখ-নিঃসৃত শব্দগুচ্ছ

পান করায় শাহাদাতের পেয়ালা

কতশত প্রেমিককে।

তার সূরের অনুরণনকে  

ধরে রাখে পাহাড়ী জলাশয়

আর তাতে ফিরে পায় হারানো খুশি অনেকে।  

তাকে চুমু খেতে চায় সকলে

কারুর আশা আবার লাগামছাড়া।

কেউ আবার বারবার শুনতে চায় তাঁর গান

তাঁর প্রেমে ব্যক্তিত্ব হারায় সম্ভ্রান্তেরা

আর অপথে হাঁটে দক্ষ পথিক।   

অন্তর তাঁকেই অনুসরণ করে,

তাঁর কাছে যে পায় যা কিছু এ মন চায়

 

তাঁর হাতের স্পর্শে

প্রাণ ফিরে পায় সেতার

উৎসারিত হয় সূরের তীব্র বাণ

সে গায়, আর সেই গান শুনে

সকলে তাঁর দাস হয়ে যায়। 

তাঁর নিকট লুটিয়ে দেয়

মনের সবটুকু ভালোবাসা 

চারিদিকে এত যে সুন্দরী দেখি

কৈ, কাউকে দেখি না তো

ওয়াহিদের মতো । 

যতবার দেখি তাঁকে

মনে হয় নতুন সে

তাই আমার হৃদয়-ঘরে

সে একলা বাস করে।  

 

[আব্বাসি যুগের (৭৫০ – ১২৫৮ খ্রি) এক প্রসিদ্ধ গায়িকা ছিলেন ওয়াহিদ কণ্ঠস্বরের ন্যায় তাঁর রূপ ও লাবণ্যও ছিল সম্মোহনী কবি ইব্‌নুর রুমি (৮৩০ – ৮৯০ খ্রি)-র সমকালীন অন্যান্যদের ন্যায় কবিও তাঁর প্রেমবাণে বিদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর সুললিত কণ্ঠস্বর ও মনোহর লাবন্যের বর্ণনায় এই কবিতাটি রচনা করেছিলেন]

[শব্দের মিছিল, ০৯ মে, ২০১৮, অনুবাদ বিভাগে প্রকাশিত]  


وحيد المغنية

ابن الرومي

 

يا خَـلِــيـلَـيَّ تَــيَّـمَـتْـنـي وَحـــيـــدُ                فـــفـــؤادي بـــهــا مــعــنَّـى عــمــيـدُ

غــــادةٌ زانــهـا مـــن الـغـصـن قـــدٌّ             ومـــــن الــظَّــبـي مُــقـلـتـان وجِــيــدُ

وزهـاهـا مـن فـرعها ومـن الـخدين          ذاك الـــــــســــــواد والــــتــــوريــــد

فَـــهْـــيَ بــــــرْدٌ بــخــدِّهـا وســـــلامٌ               وهـــــي لـلـعـاشـقين جُــهْــدٌ جــهـيـدُ

مـــا لــمـا تـصـطـليه مـــن وجـنـتَيْها           غـــيــر تَـــرْشــافِ رِيــقِــهـا تَــبْـريـدُ

مـــثْــلُ ذاك الـــرضــابِ أطـــفــأ ذاك           الــوَجــد لَــــوْلا الإبـــاءُ والـتَّـصـرِيدُ

وغَـــريــرٍ بـحـسـنـها قــــال صِــفْـهـا             قـــلـــت أمْـــــران هَـــيِّــنٌ وشـــديــدُ

يــســهـل الـــقــول إنـــهــا أحـــســن              الأشْــيــاءِ طُـــرّاً ويـعْـسـرُ الـتـحـديدُ

تــتــجــلَّــى لــلــنــاظـريـن إلـــيـــهــا                فـــشـــقــىّ  بــحــسـنـهـا وســـعــيــد

ظـبـيـة تـسـكـن الـقـلـوب وتـرعـاهـا            وقُــــمْـــرِيَّـــةٌ  لـــــهـــــا تـــغـــريـــدُ

تـــتـــغــنّــى كــــأنـــهـــا لاتـــغـــنّـــى                مــن سـكـونِ الأوصــالِ وهــي تُـجيدِ

لا تَـــراهــا هــنــاك تَــجْـحَـظُ عــيــنٌ            لــــــك مــنــهــا ولا يَــــــدِرُّ وريــــــدُ

مـــن هُـــدُوٍّ ولــيـس فــيـه انـقـطـاع            وســــجـــوٍّ ومـــــــا بـــــــه تــبــلــيـد

مَــدَّ فــي شــأو صـوتـها نَـفَسٌ كـافٍ         كـــأنـــفــاس عــاشــقــيـهـا مَــــديـــدُ

وأرقَّ الـــــــدلالُ والــغُــنْــجُ مـــنـــه              وبَــــــراهُ الــشَّــجــا فـــكـــاد يــبــيــدُ

فـــتــراه يـــمــوت طَـــــوْراً ويــحــيـا              مــســتــلــذٌّ بــســيــطُــه والــنــشــيـد

فـيـه وَشْــيٌ وفـيـه حَـلْـيٌ مـن الـنَّغْمِ          مَـــصــوغٌ يــخــتـال فــيــه الـقـصـيـدُ

طــــاب فُــوهــا ومــــا تُــرَجِّـعُ فــيـه              كــــلُّ شَــــيْءٍ لــهــا بــــذاك شـهـيـدُ

ثـــغــبٌ يــنــقـع الـــصــدى وغــنــاءٌ             عـــنــده يــوجــد الــســرورُ الـفـقـيـد

فــلــهــا الـــدَّهْــرَ لاثِـــــمٌ مُــسْـتَـزيـدٌ              ولـــهــا الــدهــر ســامــع مُـسْـتَـعـيدُ

فــــي هــــوى مـثْـلِـها يَــخـفُّ حَـلـيـمٌ            راجــــحٌ حــلْـمُـه، ويَــغْــوى رشــيـدُ

مــا تُـعـاطـى الــقــلـوب إلا أصــابــت         بــهــواهــا مــنــهُـنَّ حـــيْــثُ تُـــرِيــدُ

وَتَـــرُ الــعَـزْفِ فـــي يَـدَيْـهـا مُــضَـاهٍ           وَتَـــرَ الــرجْـف فِــيـهِ ســهـمٌ شَــديـدُ

عَـيْـبُـهـا أنَّــهـا إذا غــنَّـتِ الأحْـــرَار           ظــــلُّـــوا وهُــــــمْ لــديــهــا عَــبــيــدُ

واســتـزادت قـلـوبَـهم مـــن هـواهـا             بِــرُقــاهـا، ومـــــا لَــدَيْــهِـمْ مَـــزيــدُ

وحـسـان عـرضن لـي، قـلت: مـهلًا        عـــــن وحـــيــدٍ فــحـقُّـهـا الـتـوحـيـد

حـسـنُها فــي الـعـيون حـسـنٌ جديـد          فــلـهـا فــــي الـقـلـوب حـــبٌ وحــيـد

Thursday 12 July 2018

২০১৮-র সেরা মৎস্য চাষি দক্ষিণ দিনাজপুরের আনিসুর রহমান


২০১৮-র সেরা মৎস্য চাষি
দক্ষিণ দিনাজপুরের আনিসুর রহমান

আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
১০ জুলাই, ২০১৮। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এর সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফিশারিস এডুকেশন, কোলকাতা সেন্টারে আজ জাতীয় মৎস্যচাষি দিবস (ন্যাশনাল ফিশ ফার্মারস্‌ ডে) বেশ আড়ম্বরের সাথে উদযাপিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোলকাতা সেন্টারের অফিসার ইন চার্জ ড জি এইচ পৈলান, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, বেলুড় মঠের স্বামী শিবপূর্ণানান্দা মহারাজ, ডব্‌লুবিইউএএফএস-র রেজিস্ট্রার ড এস এস দানা প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে সেরা মৎস্য চাষি-র পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় আনিসুর রহমানের হাতে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মৎস্য প্রজনন ও মৎস্য উৎপাদনে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য জাতীয় মৎস্য চাষি দিবস ২০১৮-র এই উদযাপন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সেরা মৎস্য চাষির এই শিরোপা তুলে দেন মন্ত্রী শ্রী সাধন পাণ্ডে মহাশয়। ইতঃপূর্বে প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে তাঁর বিশাল কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত হয়েছেন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের বহু মৎস্য বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ। এমনকি পূর্বে বহু উল্লেখযোগ্য পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি ২০১২-তে মন্ত্রী আবু হেনা তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মীণমিত্র এওয়ার্ড। ২০১৩-তে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে তুলে দেন সেরা মৎস্যচাষির সম্মান। ২০১৪-তে কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার হাত থেকে পেয়েছেন সেরা মৎস্যচাষির শিরোপা এছাড়া ২০১৬-তে অভিনব পন্থায় বড় মাছ চাষের ক্ষেত্রে অকল্পনীয় সাফল্য লাভের জন্য তাঁর অভিনব কৌশলের স্বীকৃতি স্বরূপ সে-সময়ের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কাছ থেকে পেয়েছেন সেরার তকমা।
আজকের জাতীয় স্তরের এই স্বীকৃতি তাঁকে উজ্জীবিত করেছে। আপ্লূত কণ্ঠে তিনি জানান, এসবের পাশাপাশি আমি ভবিষ্যতে ছোট পুকুর বা চৌবাচাতে দামী মাছ চাষ করতে চাই। ভবিষ্যতে পুকুরের পাড়ে পশুপালনের কথাও ভাবছি। বিশেষ করে দেশী মুরগি, হাঁস, ছাগল ও গরু পালনের কথা। যাতে করে জৈবিক পদ্ধতিতে সুস্বাস্থ্যকর মাছ সমাজের পাতে তুলে দিতে পারি।