Thursday 26 September 2019

বুলান্দ আল্‌-হায়দারিঃ একটু সংলাপ রাস্তার বাঁকে



একটু সংলাপ রাস্তার বাঁকে
বুলান্দ আল্‌-হায়দারি, ইরাক
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

এখনো ঘুমোওনি তুমি, হে বিষণ্ণ প্রহরী!
তাহলে কখন ঘুমোবে?
হাজার বছর ধ’রে
তুমি জেগে আছো আমাদের প্রদীপের আলোয়
তুমি ক্রুশবিদ্ধ লক্ষ-কোটি বছর ধ’রে,
মেলে-ধরা দু’হাতের পাতায়;
তুমি কি আর কোনোদিন ঘুমোবে না?
অন্তত বিশবারের মতো, আমি ঘুমোতে চাই
ঘুমের ভারে বুজে আসে আমার দু’চোখ,
তবুও ঘুমোতে পারি না
পঞ্চাশবারের মতো, চোখ জুড়ে ঘুম এসেছিল;
কিন্তু ঘুমোতে পারিনি
কারণ এই বিষণ্ণ প্রহরীর কাছে
ঘুম হল ছুরির ফলার মতো;
তাই আমার খুব ভয় লাগে ঘুমিয়ে পড়তে,
ভয় লাগে স্বপ্নে জেগে উঠতে।
ওদের পোড়াতে দাও রোম;
পারলে ওরা পোড়াক বার্লিন;
চীনের প্রাচীর চুরি ক’রে নিক ওরা;
তোমাকে ঘুমোতে হবে এবার 
এখন সময় এক মুহূর্ত বিশ্রামের
সেই বিষণ্ন প্রহরীর; তাই সে ঘুমোয় এখন
ঘুমোই আমিও আর বার্লিন পোড়ে প্রতি-মুহূর্তে;
প্রতিটা প্রহরে চুরি হ’তে থাকে চীনের প্রাচীর;
পলকের মধ্যে জন্ম হয় এক ড্রাগনে
ঘুমোতে ভয় পাই আমি;
কারণ এই বিষণ্ণ প্রহরীর কাছে
ঘুম হল ছুরির ফলার মতো

(শব্দের মিছিল, ০৬ অক্টোবর, ২০১৯ অনুবাদ বিভাগে প্রকাশিত) 

حوار في المنعطف
بلند الحيدري
ألم تنميا حارس الحزين
متى تنام
يا أيها الساهر في مصباحنا من ألف عام
يا أيها المصلوب بين فتحتي كفيه من سنين
ألا تنام
_ للمرة العشرينأريد ان أنام
أسقط في النوم ولا أنام
للمرة الخمسين
سقطت في النوم ولم أنام
فالنوم عند الحارس الحزين
يظل مثل حافة السكين
أخاف ان أنام
أخاف أن أفيق في الأحلام
_ ليحرقوا روما ليحرقوا برلين
ليسرقوا السور من الصين
عليك ان تنام
آن لهذا الحارس الحزين
أن يتكي للحظةينام
_ أنامولم تزل تحرق كل لحظة برلين
يسرق كل ساعة من سور الصين
يولد بين لمحة ولمحة تنّين
أخاف ان أنام
فالنوم عند الحارس الحزين
يظل مثل حافة السكين


Wednesday 25 September 2019

আমি সিসিফাস হবো!



আমি সিসিফাস হবো!
আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

শপথ করছি—
জ্বরে আক্রান্ত এবং স্ফুলিঙ্গে আহত হয়েও
আমি বহন করব নৈঃশব্দের পাথর 
অন্ধ হয়ে খুঁজবো শেষ পালকগুচ্ছ
তোমার ধ্বংসাবশেষের শেষ পাতায়;   
এবং সেই পালক দিয়ে লিখবো
জলের উপর ধুলোর কবিতা

আমি শপথ করছি—  
আমি এ যুগের সিসিফাস বো

Friday 20 September 2019

ছেলে যখন বাবা সাজে আর মেয়ে সাজে মা...!

ছেলে যখন বাবা সাজে আর মেয়ে সাজে মা...!
   


সেদিন (১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) সকালে, কোলকাতা স্টেশন থেকে ফেরার পথে ছবিটা তুলেছিলাম। সঙ্গে ছিল ওবাইদ ও আমিন। হাঁটছিলাম বাম ফুট ধরে আর জি কর মেডিকেল কলেজের দিকে। হঠাতই নজর গেল। চমকে উঠলাম। মুহূর্তের জন্য এক অবচেতন আবহ ঘিরে ধরল। সম্বিৎ ফিরে পেতেই ক্যামেরাবন্দী করলাম। 

সত্যিই, সবাই মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় না। কেউ কেউ আগলে রাখে। তাঁদেরকে এবং তাঁদের সকল দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। বার্ধক্যে বাবা যখন শিশুসুলভ আচরণ করে, তখন তারা বাবা সাজে...! 

আজ যখন চারিদিকে বস্তুবাদী নেশায় সবাই বুঁদ হয়ে আছে; ক্যারিয়ারের গ্রাফ উঁচু থেকে উঁচু করতে সাম-দাম-দণ্ড-ভেদ যা যা দরকার সব এপ্লাই করছে। যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কোথাও পিতা নিজ পিতৃত্বের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারছে না, তো কোথাও সন্তান পিতামাতার প্রতি তাঁর দায়িত্বকর্তব্যকে বেমালুম ভুলে যাচ্ছে। যার কারণে দিনদিন শহরের অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম। তবে এটাই দিনদিন বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার একমাত্র কারণ নয়। আর বৃদ্ধাশ্রমে যে পজেটিভ কোনো দিক নেই, আমি তা বলছি না। সব কিছুতেই ভালোমন্দের মিশেল আছে। 

যাইহোক, সমাজে কিন্তু এখনো এমন চিত্র মাঝেমধ্যে দেখা দেয়। আর সত্যি করে বলতে গেলে, এও এক অদ্ভুত অনুভূতি। আমি নিজেও ব্যক্তিগত পরিসরে তা অনুভব করেছি এবং, আল্‌-হাম্‌দু লিল্লাহ এখনো অল্পবিস্তর স্বাদ পাচ্ছি। আমি যখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন বাবাকে হারাই; তবুও যেহেতু আমি তখন কোলকাতায় টিউশন পড়াতাম, তার সুবাদে বাড়ি ফেরার সময় বাবার জন্য পছন্দ মতো খাবার, মিষ্টি, ফলমূল, কখনো নিত্য ব্যবহারের জিনিসপত্র কিনে আনতাম। আর বাবা সেসব পেয়ে শিশুর মতো করে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতেন। বাড়ির আশপাশ দিয়ে যারাই যেতো, ডেকে ডেকে দেখাতেন, এই দেখো এই গেঞ্জিটা মাতিন আমার জন্য কোলকাতা থেকে এনেছে। কেউ বেড়াতে আসলে, মিষ্টিমিষ্টান্ন, বিসকুট, ফলমূল খেতে দিয়ে বলতো, খাও খাও ছেলে কোলকাতা থেকে আমার জন্য এনেছে। বাবার ওই আহ্লাদী স্বর এখনো আমার কানে ভাসে। মনে মনে খুব কষ্ট হয়, তখন যদি আর একটু কষ্ট করে, আরও দুটো পয়সা রোজগার করে বাবার জন্য ভালো কিছু আনতে পারতাম! 

আরও একটা মজার ব্যাপার হল, বাবা আমার প্রতিটা রেজাল্ট বহুত গর্ব করে লোকেদের শোনাতেন। সব বাবারাই যেমনটা করে আরকি। একবার ইউথ পার্লামেন্ট ডিবেটে ফার্স্ট হয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে ওই মেডেলটা যখন বাবাকে পরালাম কী খুশী! তবে খুব আফসোস হয়, বাবা আমার গ্রাজুয়েশন, মাস্টার্স, নেট এবং চাকরি কোনোকিছুই দেখে যেতে পারেননি। তবে আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমার মা এখনো বেশ সুস্থ রয়েছেন। যদিও আমার মা' খুবই সাধাসিধে মানুষ। অত কিছু বোঝে না। যেদিন আমার গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট বেরোল, মা'কে বললাম, আমার খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছে। আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি। মা'র সটান উত্তর, আল্‌-হাম্‌দু লিল্লাহ আমার ছেলে পাশ করেছে। 

মা'র এখন বেশ ভালোই বয়স। শরীরও ন্যুব্জ। আর মনটা একেবারে শিশুর মতো সরল। এই সময় মা' ও আমার সম্পর্কটা বেশ মজার। অনেকটাই এমন, যেন আমি বাবা আর মা' হচ্ছে আমার মেয়ে। কোথাও গেলে, মা'র জন্য, বাচ্চাদের জন্য যেমনটা বাবারা করেন, চকোলেট আনি, বিস্কিট আনি, মা' সেসব পেয়ে খুব খুশী হন। শিশুর মতো সারল্যে ভরা এক গাল হাসি দিয়ে ওসব আমার থেকে নেন। কোথাও বেড়াতে নিয়ে গেলে আমার হাত ধরে হাঁটেন। নতুন কিছু দেখলে, জিজ্ঞেস করেন এটা কী, ওটা কী? শুধু একটাই কমতি, মা' আমার উপর কেন জানি, কখনো অভিমান করেন না। 

তবে এসব আমি আমার অনুমানের ভিত্তিতেই বলছি। আল্লাহ্‌ এখনো আমাকে কোনো সন্তান দেননি। তাই অভিজ্ঞতা হয়নি। যদি কোনো দিন এই বিশেষ আশীর্বাদে ধন্য হই সেদিনই আক্ষরিক অর্থে বাবা-সন্তানের এই বন্ধনটা অনুভব করতে পারবো। আর হয়তো আন্দাজ করতে পারবো, আমার মেয়ে, মানে আমার মা'র প্রতি আমার এই সোহাগ, স্নেহ, ভালোবাসা কতটা উপভোগ্য। যাই ঘটুক জীবনে, আমার এই ক্ষুদ্র অনুভূতিতে যেটুকুই বুঝতে পেরেছি তার বদৌলতে মন থেকে দু'আ করি--          
"প্রভু, আমার মা-বাবাকে করুণা করো, যেমনভাবে তাঁরা করুণা ও যত্নের সাথে আমাকে লালন-পালন করেছেন!"
[আল্‌-কুর্‌আন, সূরাতু আল্‌-ইস্‌রা ২২]   

رابندرانات طاغور: سيدي إني أجهل كيف تغنّي



سيدي، إني أجهل كيف تغنّي!
رابندرانات طاغور
ترجمة: عبد المتين وسيم

سيدي، إني أجهل كيف تُغنّي!
فأصغي بعَجب وفقط أصغي.  
      ضوء لحنك يُحيط بالكَوْن،
      وريحه تفوح خلال الفَضاء،
      وأنهار موسيقياتك تجري
                فالقة صمّ الصنادل الصلاب.  

وأشتاق إلى أن أغنّي غِناءك،
فلا أجد في صوتي لحنك.
      وأودّ كلاما يتتعتع به لساني  
      فيصرخ قلبي مهزوما ويبكي،
      أبتِ، في أيّ محبسٍ أودعتَني
                حاكيا حولي شبكة الألحان!  



তুমি       কেমন করে গান কর হে গুণী,
আমি      অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি।
সুরের আলো ভুবন ফেলে ছেয়ে,
সুরের হাওয়া চলে গগন বেয়ে,
পাষাণ টুটে ব্যাকুল বেগে ধেয়ে,
    বহিয়া যায় সুরের সুরধুনি।

মনে করি অম্‌নি সুরে গাই,
কণ্ঠে আমার সুর খুঁজে না পাই।
কইতে কী চাই, কইতে কথা বাধে;
হার মেনে যে পরাণ আমার কাঁদে;
আমায় তুমি ফেলেছ কোন্‌ ফাঁদে
      চৌদিকে মোর সুরের জাল বুনি !

১০ ভাদ্র ১৩১৬
রাত্রি
গীতাঞ্জলি ২২  

Monday 16 September 2019

হ-য-ব-র-ল-র চক্রব্যূহে



আমাদের “সোনে কি চিড়িয়া”-র নিশান এবার চাঁদের গায়ে। যদিও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে সংযোগ এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডারের সঙ্গে ফের যোগাযোগের চেষ্টা এখনও সফল হয়নি। ইতিমধ্যে, বিক্রমকে অরবিটার মডিউলের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে দেখতে পাওয়া গিয়েছে এবং তার থার্মাল ইমেজও তুলতে পেরেছে ল্যান্ডার। বিক্রমের অবস্থা কী, তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে নাকি সম্পূর্ণ অটুট রয়েছে- সে কথা এখনও অজানা।

চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার ঠিক আগ মুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে ল্যান্ডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। গণমাধ্যমে সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়। নজরে আসে একটি ইংরেজি পোর্টালের সিটিজেন জার্নালিস্ট ফাইজান বুখারির। তিনি কাশ্মিরি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণা তিনি জানেন। তাই ইস্‌রো প্রধান শিবনকে একটি আবেগঘন চিঠি লেখেন—“প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারা যে কতটা যন্ত্রণা ও কষ্টের, তা আমি জানি। কেননা, আমি আমার চাঁদের (অর্থাৎ মা) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না”। 
তিনি আরও লেখেন, আপনি ভাগ্যবান। তাই প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন। কিন্তু আমার মতো হতভাগ্যকে দেখুন, পরিবার থেকে এক মাস ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার পরেও কেউ সান্ত্বনা দিতে, সহমর্মিতা জানাতে এলো না। আমার মতো মানুষদের জন্য একটি শব্দ পর্যন্ত খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী।”

অন্যদিকে আসামে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার নেতৃত্বাধীন কমিটি। ৩ কোটি এগারো লাখ ২১ হাজার ৪ জন অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন, আর ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭জন ওই তালিকায় স্থান পান নি। যদিও গতবছর প্রকাশিত খসড়া এন আর সি তালিকায় প্রায় ৪১ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছিল। তার মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ তালিকায় নাম তোলার জন্য পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন নি। এখন তাদেরকে বিদেশী ট্রাইবুনালে আবেদন করতে হবে ১২০ দিনের মধ্যে।
সত্যিই বড় অদ্ভুত এক সময়ের মধ্যে আমরা। একদিকে চাঁদে অভিযান চালিয়ে চাঁদের বুকে তেরঙ্গা উড্ডীন করতে চলেছি। অন্যদিকে, সেই তেরঙ্গার ছায়া ও আশ্রয়টুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বহু নাগরিকের মাথা থেকে; যাদের পূর্বপুরুষরা এ মাটির সেবা করেছে কত না যুগ-যুগান্তরে।

এবং স্বাধীনতা পরবর্তী মুহূর্তে টু নেশন থিওরিকে যারা ছুঁড়ে দিয়েছিল এই মাটির টানে, এই বলে যে, সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া! তীব্র ঝঞ্ঝা সামলে আঁকড়ে রয়েছে নিজ জন্ম-ভিটেকে, তারা এখন যেন ‘দুই বিঘা জমি’-র উপেন ‘সাধু’বেশী ভূস্বামীদের নজরে। এবং ঐ সাধুবেশী ভিড় দিনদিন আরও বে-লাগাম হয়ে পড়ছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের যেন অবাধ বিচরণ। যার ফলে পেহলু খান হত‍্যা মামলায় ছয় অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করল রাজস্থানের এক আদালত। উল্লেখ থাকে যে, ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল গোরক্ষার নামে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত‍্যা করা হয় ৫৫ বছর বয়সী পেহলু খানকে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ৯ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নাবালক হওয়ায় আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছিল বাকি ছয়জনকেও বেকসুর খালাস করলো রাজস্থান আদালত।

এক অন্য ঘটনায়, মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে (এটা একটা গুজবও হতে পারে) ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খারসাওন এলাকায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল তাবরেজ আনসারি নামে এক যুবককে। গত জুন মাসের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশ জুড়ে। এ বার নতুন করে শোরগোল ফেলে দিল তাবরেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ণপিটুনি নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল সদ্য বিবাহিত ২৪ বছরের ওই যুবক। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের উপর থেকে খুনের অভিযোগ তুলে নিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ

তাই, আমাদের এই সময়টা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শে’আবে আবি তালেব বা প্রাক্‌-হিজ্‌রত মক্কার করুণ পরিস্থিতি সম্বন্ধে আমরা অবগত। এসব দেখেশুনে আমরা খানিকটা হলেও অনুমান করতে পারি আমাদের সালাফ-সালেহীনদের সংগ্রাম ও লড়াইয়ের সেই ইতিহাসকে। এবার আমাদের করণীয় তাঁদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে, ধৈর্য ধরা, একে-অপরকে ন্যায় ও সত্যের অসিয়ত করা, পরস্পরের সাহায্য-সহযোগিতা করা; মহান আল্লাহ্‌র আদেশ-নির্দেশ মেনে এই সমাজ, এই দেশ এবং এই পৃথিবীকে শান্তির নীড় তৈরি করা। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হন, আমীন!