Wednesday 14 February 2018

أبو العتاهية

أبو العتاهية

(٧٤٨ – ٨٢٨ م)

تعريفه ومولده:

هو أبو إسحاق إسماعيل بن القاسم بن سويد بن كيسان، وإنما كُني بأبي العتاهية. و هو شاعر معروف. ذكر أنَّه كان له ولدٌ يُقال له: عتاهية، وقيل: لو كان الأمر كذلك لقيل: أبو عتاهية، بغير تعريف. وكانت ولادة الشاعر في عين التمر، وهي قريةٌ قرب الأنبار غربي الكوفة سنة 130هـ،

 

نشأته:

وانتَقَل مع أبيه صغيرًا إلى الكوفة، فنشَأ فيها نشأةً مُتواضِعة؛ إذ كان أبوه وأهله يصنَعون الفخَّار، فعمل في صناعة أبيه، فكان يحمل الفخَّار في قفصٍ على ظهره، ويَدُور بها في الكوفة ليبيعها. وكانت الكوفة مدينة العلماء والمحدِّثين والعبَّاد والزهَّاد، فعاصَر فيها الشاعر أمثال (علقمة بن قيس، وعمرو بن عتبة بن فرقد، والربيع بن خيثم، وأُوَيس القرني، والنخعي، والشعبي، و) سفيان الثوري، وأبي حنيفة، والكسائي، والفراء.

 

انتقاله إلى بغداد:

وفَد أبو العتاهية إلى بغداد في خِلافة المهديِّ (158 - 169) في نحو الثلاثين من عمره، وكانت بغداد قد أخَذَتْ في الازدِهار، فانتَقَل النشاط العلمي من الكوفة والبصرة إليها بعد أنْ أصبحَتْ دار الخلافة. ثم ذاعَ خبرُه ببغداد، فاستقدَمَه المهدي، ومنذ ذلك الحين اتَّصَل أبو العتاهية به، وتَوالَتْ مدائحه فيه، فأكرَمَه وقدَّمَه على فحول شُعَراء عصره، ومنهم: بشَّار بن بُرد.  

 

أبو العتاهية هو الزاهد:

وفي أيَّام الرشيد تنسَّك أبو العتاهية، وزهد في الدنيا، وداخَل العلماء والصالحين، ونظَم ما استفاد من أهل العلم، فكان نظمه في الزهد والمواعظ والحكم لا مَثِيلَ له، وكأنَّه مأخوذٌ من الكتاب والسنَّة. حتى صار الزهد مذهبًا له، وطارَ شعرُه على الألسنة، وأقبَلَ عليه جمهورٌ من الخاصَّة والعامّة. كما قال: 

رَغِيفُ خُبْزٍ يَابِسٌ      تَأْكُلُهُ فِي زَاوِيَهْ

وَكُوزُ مَاءٍ بَارِدٍ       تَشْرَبُهُ مِنْ صَافِيَهْ 

هجر الحياة وملذاتها وسلك طريق الآخرة وتوفي في بغداد، اختلف في سنة وفاته فقيل سنة (213 هـ826 وقيل غيرها.

مذهبه الشعري في الزهد:

يُمثِّل شعره في الزهد اتِّجاهًا مهمًّا في تطوُّر الشعر العربي في عصره، ويُعَدُّ من مظاهر التجديد فيه. فقد أعفى نفسه من مجاراة الشعر التقليدي، وجنَح بشعره إلى الشعبيَّة في الموضوع ومضموناته، وفي اللفظ والعبارة أيضًا. لذا كان من أهمِّ خصائصه في شعره الزاهد: سهولةٌ وشعبية في الألفاظ تُقرِّب شعرَه إلى أفهام الناس وتُحبِّبه إليهم، وتنزل به من سماء الشعر إلى دنيا الناس والواقع والحياة. ومن ذلك قولُه يبصر الخليفة ببؤس الرعية ومعاناتها:  

إِنِّي أَرَى الأَسْعَارَ أَسْ         عَارَ الرَّعِيَّةِ غَالِيَهْ

وَأَرَى المَكَاسِبَ نَزْرَةً    وَأَرَى الضَّرُورَةَ فَاشِيَهْ

كتبه: عبد المتين وسيم  

Sunday 4 February 2018

তারাফা বিন আল্‌-‘আব্দ

তারাফা বিন আল্‌-‘আব্দ

(৫৪৩ – ৫৬৯ খ্রিঃ)

আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

  

পরিচিতি ও জন্মঃ

প্রাক-ইসলামী যুগে আরবী কাব্যসাহিত্য চরম উৎকর্ষ লাভ করেছিল। সে যুগে রচিত কাব্যকবিতাগুলো আজও বিশ্বসাহিত্যের দরবারে বিপুলভাবে সমাদৃতআরবী সাহিত্য কাব্যাকাশে উজ্জল নক্ষত্রগুলির মধ্যে কবি তারাফা বিন্‌ল্‌-আ’ব্দ উল্লেখযোগ্য ও অন্যতম তাঁর প্রকৃত নামআম্‌র, পিতার নাম আল্‌-‘আব্দ, পিতামহের নাম সুফ্‌ইয়ান। উপাধি তারাফা। তিনি এই উপাধিতেই অধিক পরিচিত। তাঁর মায়ের নাম ওয়ার্‌দাহ্‌কায়েস গোত্রে ৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাহ্‌রাইনের আল্‌-মালেকিয়্যাহ্‌ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা, পিতামহ, দুই পিতৃব্য ও মামা মুতালাম্মিস সকলে কবি ছিলেন।  

 

বাল্যজীবনঃ

বাল্যকালে তিনি পিতাকে হারান। চাচারা যত্ন সহকারে তাঁর লালনপালন ও তত্ত্বাবধায়ন না করায় তিনি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েন। ইন্দ্রিয়পরায়নতায় লিপ্ত হয়ে অল্প দিনের মধ্যে প্রাপ্ত পৈত্রিক সম্পদ ব্যয় করে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েনফলে পরিবারের লোকজন তাকে ব্যধিগ্রস্ত উটের ন্যায় তাড়িয়ে দেয়পরে অবশ্য অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় পরিবারে শামিল হন।

 

কর্মজীবন ও বাসূস যুদ্ধে অংশ গ্রহণঃ

দুর্ভাগ্যের বিষয় অল্প দিনের মধ্যে কবির চরিত্রে আবার উচ্ছৃঙ্খলতা ও ইন্দ্রিয়পরায়নতা দেখা দেয়। আবার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। জীবন রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে ভাইয়ের পশুচারণের ভার গ্রহণ করেন। সে সময় বাহরাইনের বাক্‌র ও তাগ্‌লাব দুই গোত্রের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছিলইতিহাসে যেটি হার্‌বু বাসূস’ (বাসূস যুদ্ধ) নামে পরিচিত প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই যুদ্ধ চলেছিল। কবি এই যুদ্ধে যোগ দিয়ে তাগ্‌লাব গোত্রের বিরুদ্ধে অসিম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন

 

পরলোকগমনঃ  

বাসূস যুদ্ধ চরম ভয়াবহ আকার ধারণ করলে, সে সময় হীরারাজা তৃতীয় মুনযির নিজ প্রচেষ্টায় তার অবসান ঘটান। তা দেখে কবি হীরায় গিয়ে উপস্থিত হন। তখন সেখানকার অধিপতি হয়েছিলেন তার ছেলে ‘আমর বিন হিন্দতিনি কবিকে সমাদরে গ্রহন করে তাঁকে ও তাঁর মামা মুতালাম্মিসকে যুবরাজের শিক্ষকরূপে নিযুক্ত করেন।

 

কিন্তু কবি একদিন বাদশাহ সম্বন্ধে একটি ব্যাঙ্গাত্মক শ্লোক রচনা করে ফেলেন। সেই ঘটনার পরে একদিন বাদশাহ তাঁকে ও মুতালাম্মিসকে একটি মোহরাঙ্কিত পত্র দিয়ে বাহ্‌রাইনে গিয়ে নিজ পুরষ্কার নেওয়ার আদেশ দিলেন। মাঝপথে মুতালাম্মিসের মনে সন্দেহ জাগল। পত্র খুলে দেখলেন, তাতে মৃত্যু আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাই বাহ্‌রাইনে না গিয়ে অনত্রে পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচালেনকিন্তু কবি তাঁর পরামর্শ অগ্রাহ্য করে বাহ্‌রাইনে গিয়ে হাজির হলেন। সেখানে পত্রাদেশ অনুযায়ী বাহ্‌রাইনের শাসক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। তাই তাঁকে ‘নিহত বালক’ বলা হয়।

    

কাব্য প্রতিভাঃ

তিনি প্রখর মেধাবী ছিলেন। এই অল্প সময়ে তিনি অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর দীওয়ানে ৬৫৭টি শ্লোক আছে আর মু’ল্লাকায় ১০৪ টি। অতিরঞ্জ পরিহার করে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা তাঁর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট। তবে তাঁর কবিতায় কঠিন ও জটিল শব্দের ব্যাবহার ও অস্পষ্ট বাক্যও লক্ষ করা যায়। ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনায় তিনি পারদর্শী ছিলেন।

 

মু’ল্লাকাঃ

উন্নতমানের ভাষার জন্য তাঁর কাসীদাহটি মু’ল্লাকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মু’ল্লাকা তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ। কবি ম্‌র বিন কুল্‌সুমের ন্যায় তিনিও মু’ল্লাকা দ্বারাই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন। পিতৃব্য তনয়কে ব্যঙ্গ করাই তাঁর মু’ল্লাকা রচনার মূল কারণ মনে করা হয়। অনেকে উৎকৃষ্ট উপমা, চমৎকার বর্ণনা, মানবিক ভাবের প্রকাশ ও তরুণ মনের অবস্থার নিপুণ চিত্রায়নের জন্য তাঁর মু’ল্লাকাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর মুয়া’ল্লাকায় যে বিষয় ও উপজীব্যগুলি লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল প্রেম-নিবেদন, বাস্তুভিটার স্মৃতিচারণা, প্রেয়সী খাওলার বর্ণনা, উটের বিবরণ, নিজের ও পিতৃব্য তনয়ের তুলনামূলক আলোচনা, মৃত্যুর উল্লেখ এবং পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে কিছু অসিয়ত।

 

আমি কে? সে প্রসঙ্গে তিনি তাঁর রচনায় এক জায়গায় বলেছেন

إذا القوم قالوا : من فتى؟ خلتُ أنني    عُنيت فلم اكسل ولـم اتـبـلَّدِ 

ولستُ بحلاّلِ التـلاعِ مـخـافةً      ولكن متى يسترفدِ القـومُ أرفِـدِ

 

নিজ অভিমত ও অনুভূতির কথা এভাবে ব্যক্ত করেছেন

فإن كنتَ لا تسطيعُ دفعَ مـنيـّتي    فدعني أبادِرْهـا بـمـا ملكَتْ يدي

ولولا ثلاثٍ هنَّ من لـذّةِ الفتـى    وجدِّكَ لـم أحفلْ متـى قام عُوَّدي

 

জ্ঞানগর্ভমূলক কথা, উপদেশ ও নীতিবাক্য ইত্যাদিও তাঁর কবিতায় রয়েছে। এক জায়গায় তিনি বলেছেন

وظلمُ ذوي القربى  أشدُّ  مضاضةً       على المرءِ مـن وَقْعِ الحسامِ  المهنَّدِ

ستبدي لكَ الايامُ ما كنتَ جاهلاً     ويأتيكَ بـالأخبـارِ مـن لم تُزَوِّدِ

Friday 2 February 2018

এসো ইসলাম শিখি


এসো ইসলাম শিখি- ২  

আব্দুল মাতিন ওয়াসিম 


প্রঃ ঈমান কী?
উঃ ঈমান, অর্থ- বিশ্বাস। পরিভাষায়, অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কর্মে বাস্তবায়ন করা-কে ঈমান বলে।
প্রঃ ঈমান কি বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়?
উঃ হ্যাঁ, ঈমান বাড়ে-কমে।
প্রঃ কীভাবে ঈমান বাড়ে-কমে?
উঃ ঈমান বৃদ্ধি পায় সৎকাজের মাধ্যমে, আর অসৎ কাজের মাধ্যমে হ্রাস পায়
প্রঃ ঈমানের কতগুলি শাখা আছে?
উঃ ঈমানের সত্তরেরও অধিক শাখা আছে।
প্রঃ ঈমানের সর্বোচ্চ স্তর কী?
উঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু[1]-পাঠ করা।
প্রঃ ঈমানের সর্বনিম্ন শাখা কোনটি?
উঃ রাস্তা থেকে কোনো পীড়াদায়ক বস্তু অপসারণ।
প্রঃ ঈমানের স্তম্ভ কয়টি কী কী? 
উঃ ঈমানের স্তম্ভ ৬টি- (১) আল্লাহ্‌ (২) ফেরেশতাকুল (৩) আসমানি গ্রন্থসমূহ (৪) নাবি-রাসূলগণ (৫) অন্তিম দিবস[2]  (৬) ভাগ্যের ভাল-মন্দকে বিশ্বাস করা।
প্রঃ ইসলাম শব্দের অর্থ কী?
উঃ ইসলাম শব্দের অর্থ- আত্মসমর্পন[3]
প্রঃ ইসলামের স্তম্ভ কয়টি ও কী কী?
উঃ ইসলামের স্তম্ভ ৫টি-
    (১) আল্লাহ্‌র একত্ববাদ ও মুহাম্মাদ সা-এর নবিত্বের সাক্ষ্য প্রদান  
    (২) সালাত প্রতিষ্ঠা করা
    (৩) যাকাত প্রদান করা
    (৪) রমযান মাসে রোযা রাখা
    (৫) সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা।
প্রঃ প্রসিদ্ধ ঐশী গ্রন্থ কয়টি?
উঃ ৪টি- তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জিল ও কুরআন।
প্রঃ কোন্‌ গ্রন্থ কোন্‌ নবির উপর অবতীর্ণ হয়েছে?
উঃ কুরআন- মুহাম্মাদ সা-এর উপর, তাওরাত- মূসা আ-এর উপর, ইঞ্জিল- ঈসা আ-এর উপর এবং যাবূর- দাউদ আ-এর উপর।
প্রঃ সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থটির নাম কী?
উঃ আল্‌-কুরআন সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ।
প্রঃ লাইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর অর্থ কী?
উঃ আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন (সত্য) মাবূদ[4] নেই।
প্রঃ আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন?
উঃ শুধু তাঁর ইবাদত (উপাসনা) করার জন্য[5]
প্রঃ কবরে প্রত্যেককে কোন্‌ তিনটি প্রশ্ন করা হবে?
উঃ কবরে প্রত্যেককে প্রশ্ন করা হবে- তোমার রব (প্রভু) কে? তোমার নবি কে? তোমার দ্বীন (ধর্মমত) কী?



[1]  অর্থ- আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন (প্রকৃত) উপাস্য নেই।
[2]  কেয়ামতের দিন বা প্রলয়ের দিন
[3]  ইসলাম শব্দের আর একটি অর্থ- শান্তি।
[4]  মাবূদ ও ইলাহ্‌ অর্থ- উপাস্য।
[5]  সূরাতু আয্‌-যারিয়াত- ৫৬