Wednesday 23 March 2016

আবুল আতাহিয়াঃ আমরা কি বিনোদনেই মত্ত থাকবো আর সময় বয়ে যাবে!


আমরা কি বিনোদনেই মত্ত থাকবো আর সময় বয়ে যাবে!
মূল- আবুল আতাহিয়া, ইরাক
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম


[আবুল্‌ ‘আতাহিয়া আব্বাসী যুগের এক অন্যতম প্রতিভাধর কবি। তিনি ধর্ম বিষয়ক ও প্রশংসামূলক কবিতায় পারদর্শী ছিলেন। আর সে যুগে এ দুই বিষয়েই অধিক কবিতা রচিত হয়েছিল। এই কবিতায় তিনি উপদেশের স্বরে বলেছেন যে, মানুষের জন্য খেলতামাশা ও বিনোদনে নিমজ্জিত থাকা অনুচিত; কারণ সময় কখনই থেমে থাকেনা আর মৃত্যুও কাল বিলম্ব করে না। কিন্তু অদ্ভুদ বিষয় যে মানুষ সব কিছুকে ভুলে গিয়ে খেলাধূলায় ডুবে থাকে। অন্যদিকে মৃত্যু যথা সময়ে তাদেরকে আক্রমণ করে তাদের সকল বিষয়কে নষ্ট করে দেয়। অতঃপর কবি আলোচনা করেছেন, মানুষের নিকট সর্বদা দুঃখ সুখের তুলনায় বেশি মনে হয়। মানুষ জানে যে দিবারাত্রি তাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছে। পালানোর কোনও স্থান নেই। সকলের সময় নির্ধারিত, যা অতিক্রান্ত হবে। প্রত্যেকের কর্মসমূহের হিসাব রাখা হচ্ছে। সকলকে সে অনুসারে বিনিময় প্রদান করা হবে। তবুও তাঁরা সৎ কর্মের প্রয়াস করে না।]   

আমরা কি বিনোদনে মত্ত থাকবো? আর আমাদের দিন ঠিক কেটে যাবে! আমরা কি (সারাক্ষণ) খেলাধূলায় লিপ্ত থাকবো? অথচ মৃত্যু (কখনও) খেলাধুলোয় মেতে ওঠে না।

সেই সব খেলোয়াড়দের কথা ভেবে আমার খুব অবাক লাগে, যারা সারাক্ষণ খেলাধূলাতেই মত্ত থাকে; আমি (সময়ের প্রতি) তাদের (এমন অবহেলা দেখে) আশ্চর্যাম্বিত হই, আর কেনই বা হবো না?!

(আমি ভাবি এবং ভেবে অবাক হই,) যে মানুষটি একদিন (নিশ্চিত) মৃত্যু বরণ করবে এবং যার বাসস্থান (সময়ের স্রোতে) জনাকীর্ণ ও ভুতুড়ে হয়ে পড়বে, সে কী করে বিনোদন ও খেলাধূলায় ডুবে থাকতে পারে!

তাছাড়া আমরা প্রত্যেকেই লক্ষ্য করে থাকি, যে বিষয়গুলো আমাদেরকে কষ্ট দেয় সেগুলো সর্বদা আমাদেরকে আনন্দ দেয় এমন বিষয়গুলোকে পরাজিত করে।

আমরা এও দেখি যে, রাত এবং দিন সারাক্ষণ আমাদেরকে অনুসন্ধান করে চলে (অর্থাৎ রাতে বা দিনে যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যু আমাদেরকে আক্রান্ত করতে পারে)। তবে রাত না দিন কে বেশি আমাদেরকে অনুসন্ধান করে চলে আমরা জানি না (অর্থাৎ বিপদ কখন আসবে আমরা কেউই জানে না)।  

আর (আমরা সকলেই জানি,) রাত এবং দিন উভয়ে মিলে আমাদেরকে এমন ভাবে বেষ্টন করে রেখেছে যে, এদুয়ের চিরনবীন  সীমানা অতিক্রম করে পালানোর কোনও পথ নেই।

আমাদের প্রত্যেকেরেই সময় নির্ধারিত রয়েছে, যা একদিন সমাপ্ত হবে। এবং আমরা প্রত্যেকেই যা কিছু করছি সবই লিখে রাখা হচ্ছে (কেননা মৃত্যুর পর আমাদের সকলকে আমাদের কৃতকর্মের অনুসারে বিনিময় প্রদান করা হবে)।  


أنلهو وأيامنا تذهب

أبو العتاهية
 
أنلهو وأيامنا تذهب              ونلعب والموت لا يلعب   

عجبت لذي لعب قد لهى        عجبت وما لي لا أعـجـب؟

أيلهو ويلعب من نفسه          تموت ومنزله يخرب؟

نرى كل ما ساءنا دائما          على كل ما سرّنا يغلب

نرى الليل يطلبنا والنهار         لاندري أيهما أطلب

أحاط الجديدان بنا معاً          فليس لناعنهما مهرب

وكلٌّ له مدّة تنقضي             وكلٌّ له أثر يكتب

Saturday 19 March 2016

আব্দুল মাতিন ওয়াসিমঃ পরমা দেবী



পরমা দেবী
                                  আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
গ্রামের নাম শান্তিপুর। ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন থেকে পশ্চিমে দুক্রোশ হাঁটা পথ। গ্রামটি ৩-নং সম্বলপুর পঞ্চায়েতের অধীনে। গ্রামের উত্তর-পূর্ব কোণে পরমা দেবীর বাড়ি। তিনি পঞ্চাশ বছরের বৃদ্ধ সুব্রত বাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী। তারা দুজন ছাড়া বাড়িতে থাকে পরমার মৃত সতীনের মেয়ে সুলগ্না। পরমা দেবী ভীষণ সুন্দরী। সবেমাত্র পঁচিশে পদার্পন করেছেন। তাই নিজের থেকে প্রায় দ্বিগুন বড় সুব্রত বাবুকে তিনি খুব একটা পছন্দ করেন না। তার কোন কথায় তিনি আমল দেন না। নিজ ইচ্ছায় তিনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ঐ গ্রামেরই দক্ষিন-পূর্ব কোণে বাস করেন তার বিপরীত পার্টির প্রার্থী, নাম সরলা দেবী। গ্রামে বউদের মধ্যে তারা দুজনেই কেবল মাধ্যমিক পাস। দুজনই সুন্দরী। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সন্তান। বিয়েও হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাই উভয়ের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একে অপরকে ছোট করে দেখবার প্রবল ইচ্ছা উভয়েরই মনে। তাই, যেকোন জঘন্য পদক্ষেপ গ্রহনে তারা কখনও পিছ্‌পা হন না
নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। উভয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার চলছে জোর কদমে। দুজনেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকেদের বোঝাতে ব্যস্ত। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমীক্ষা ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দুজনেরই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং দুজনেরই দৃষ্টি  এখন গ্রামের পশ্চিম কোণে, যেখানে বাস করেন গ্রামের শ্রমিক সংঘের নেতা মনোহর বাবু। তার অধীনে রয়েছে প্রায় চল্লিশটি ভোট। তিনি যাকে সমর্থন করবেন নিঃসন্দেহে সেই জিতবে, একথা উভয়েই ভালোভাবে বোঝে। তাই তার সমর্থন পেতে তার যেকোন প্রকারের আবদার পূরণ করতে তারা সদাশয় প্রস্তুত।
একদিন মাত্র বাকি নির্বাচনে। রাতের অন্ধকারে পরমা দেবী কিছু ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়ে পিটিয়ে দিলেন সুব্রত বাবুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর হতেই প্রচারে বেরিয়ে পড়লেন পরমা দেবী, বিপরীত পার্টির লোকেরা তার স্বামীকে পিটিয়েছে এবং তাকেও প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে। মিথ্যা অশ্রু ঝরিয়ে আম জনতার সমর্থন অর্জনের প্রানপণ চেষ্টা করলেন। পেয়ও গেলেন কিছু লোকের সমর্থন। এতদসত্ত্বেও জয়ের সম্ভাবনা প্রবল হলেও নিশ্চিত বলে মনে হলনা, তাই ভাবলেন, আগামী কাল ভোট, যা করার আজকেই করতে হবে। সুতরাং শ্রমিক সংঘের নেতা মনোহর বাবুকে লোক মারফত ডেকে পাঠালেন সারা দিনের কাজ সেরে বিকেল বেলা বাড়ি ফিরছিলেন তিনি, পরমা দেবীর ডাক পেয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হলেন। পরমা দেবী তার অপেক্ষায় ছিলেন দরজা খুলে ভেতরে নিয়ে গেলেন। দুজনে দুটি চেয়ারে মুখোমুখি বসলেন। অতঃপর মনোহর বাবুকে কর জোড়ে অনুরোধ করতে লাগলেন। এক শ্বাসে বলে ফেললেন অনেক কথা, আপনি শ্রমিক সংঘের নেতা,আপনার অধীনে চল্লিশের অধিক ভোট রয়েছে। তারা কখোনও আপনার কথা অমান্য করবে না। আপনি আমাকে জিতিয়ে দিন, আর এর পরিবর্তে আপনি যা চাইবেন তা-ই পাবেন, ইত্যাদি ইত্যাদি.........। এরই মধ্যে সুলগ্না যে কখ চা নিয়ে পৌঁছে গেছে তারা কেউ জানতে পারেন নি। মা ডাক শুনে তার দিকে হাত বাড়িয়ে পরমা দেবী চায়ের কাপটি নিলেন। মাকে চা দেওয়ার পর সুলগ্না যখন টেবিলের এপাশ থেকেই মনোহর বাবুকে চা দেওয়ার জন্য হাত বাড়ালো, স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীরটা একটু সামনের দিকে ঝুকে পড়ল, আর সেই ফাঁকে তার বুকের অসমলতা ফ্রকের ওপর দিক দিয়ে এক ঝলক দেখা গেল। চতুর্দশী সুলগ্নার বুকের মৃদু অসমলতায় আটকে গেল মনোহর বাবুর দৃষ্টি। তিনি এমন ভাবে কল্পনাচ্ছন্ন হয়ে পড়লেন কিছুই জানতে পারলেন না, কখন সুলগ্না সেখান থেকে প্রস্থান করেছে। পরমা দেবী কাপে এক চুমুক দিয়ে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন। মনোহর বাবুর মনের ভাব বুঝতে তার বিলম্ব হলনা। তাই, রাজনৈতিক তুনের শেষ তীরটিও নিক্ষেপ করতে তিনি উদ্যত হলেন। তার হাতে টোকা মেরে বললেন, আমার শুধু জয় চাই। আপনার কাজ আপনি করুন, আমার কাজ আমি করছি। পরম দেবীর এমন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মনোহর বাবু ক্ষিপ্র গতিতে সুলগ্নার ঘরে প্রবেশ করলেন। চল্লিশ বছরের সেই দৈত্যাকার দেহটি মুহুর্তের মধ্যে আচ্ছন্ন করে ফেলল চোদ্দ বছরের একটি কোমল-কচি-দূর্বল একটি শরীরকে। আত্মরক্ষার শত চেষ্টা ও চিৎকার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হল। শুকিয়ে গেল সেই যৌবন মুখী কচি শরীরের সমস্ত জীবন-রস। সূর্য্য তখনও পুরোপুরি অস্ত যায়নি। সেই আলো আধাঁরীর মধ্যে অস্তমিত হল এক চতুর্দশীর কুমারীত্ব। পড়ে রইল শুধু ক্ষত বিক্ষত অজ্ঞান দেহটি। মনোহর বাবুর চলে যাওয়ার পর পরমা দেবী বাইরে থেকে শিকল তুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন। নির্বিঘ্নে রাত অতিবাহিত হল। পরদিন সকালে সূর্যদয়ের এক দন্ড অতিক্রম না হতেই বুথ কেন্দ্রে ভোটারদের তুমুল সমাগম দেখা গেল। দুপুর বারোটা নাগাদ ভোট প্রদান শেষ হল। মধ্যাহ্ন ভোজন ও অল্প বিশ্রামের প অধিকর্তা গননা শুরু করলেন। বিকেল বেলা গননা শেষ হল। নির্বাচনী অধিকর্তা ঘোষনা করলেন, পরমা দেবী পয়তাল্লিশ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিদ্যুতের ন্যায় খবর ছড়িয়ে পড়ল সারা পাড়ায়। শুরু হয়ে গেল বিজয়োসবের আয়োজন। অলি-গলি ভরে গেল সমর্থকদের করতালি ও জয় ধ্বনিতে। অন্যদিকে দুপুর বেলায় সূর্য যখন রৌদ্রের সমস্ত প্রখরতা নিয়ে জ্বলে উঠ ঠিক তখনই সুব্রত বাবুর জীবন প্রদীপ নিভে গে। বিকেলের দিকে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পূর্ব মূহুর্তে সুলগ্না মায়ের সুলগ্নের সূচনা করতে বৈদ্যুতিক পাখার সাহায্যে ওড়নার ফাঁসে আত্ম্বত্যাগ কর
সন্ধার সময় দুটি লাশই নিয়ে যাওয়া হল গ্রামের শ্বসান ঘাটে। মহান পরমা দেবী নিজেই স্বামী ও মেয়ের অন্ত্যষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করলেন। কিন্তু, তখন তার আর কান্না পেলনা। শত চেষ্টা করেও চোখ দিয়ে একফোঁটা অশ্রু ঝরাতে ব্যর্থ হলেন। শ্মসান থেকে ফিরে কিছুক্ষণ সমর্থকদের নিয়ে নিরবতা পালন করলেন। তার পরেই শুরু হল বিজয় উৎসবের ধূম্‌। ক্রমশ পার্টি আরও জমে উঠল। মধ্যরাতে আরম্ভ হল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। চিতার আগুন নিভে গেলেও, কাঠে তখনও আগুন ছিল। বৃষ্টির জলে তা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে লাগল। হালকা বৃষ্টি জয়ের উন্মাদনাকে আরও উদগ্রীব করে তুলল। পরমা দেবী মনোহর বাবুর প্রশ্বস্থ বাহুদ্বয়ে নিজের সুঠাম দেহটিকে অর্পণ করে দিলেন। জয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে শ্রমিক নেতা ও বিজয়ী নেত্রী ঠোটে ঠোট রেখে পরস্পরকে আস্বাদন করতে লাগলেন। শরীর দুটি ক্রমশ নিকটবর্তী হতে লাগল। সেই মিলিত দেহ দুটির মধ্য দিয়ে আর চুল অতিক্রম করার অবকাশও রইল না। আস্তে আস্তে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোঁটায় সুলগ্নার ক্ষত ও সুব্রত বাবুর আঘাত ধুয়ে গেল। বৃষ্টি ফোঁটাগুলি নিজ ভাষায় বলতে থাকল। অভিনন্দন তোমাকে, পরমা দেবী, বিজয়ী নেত্রী! পরম অভিনন্দন!!

(প্যানজিয়া, মার্চ ২০১৩) 

Friday 18 March 2016

মাসিক উদয়নঃ যাত্রা আলোর দিকে



মাসিক
উদয়ন
যাত্রা আলোর দিকে

 
তত্ত্বাবধানে             প্রোফেসর বদিউর রহমান 

সম্পাদক               আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

উপদেষ্টা মণ্ডলী      ড. মসিহুর রহমান, ড. নুরুল ইসলাম, ড. সাইদুর রহমান  ড. শাফিকুল ইসলাম, ড. ইফতেখার মাসউদ

সম্পাদক মণ্ডলী      কাজী মাকিন, জাহিদ আলি, ওবাইদুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, আবরার আফজাল, মুনিরুজ্জামান  
                                                                 
উদয়ন। একটি সম্মিলিত প্রয়াস। নিজেদেরকে সমৃদ্ধতর করার যাত্রা। অনুবাদের জানালা বেয়ে অন্যান্য সাহিত্যকে আস্বাদন করার অবকাশ। বিশেষত আরবী সাহিত্যকে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সকল সৃজনশীল অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিবর্গের নিকট একটি অখণ্ড ভূমি হোক উদয়ন, এটিই আমাদের স্বপ্ন।
 
যোগাযোগের ঠিকানা
+91 9836314849

Tuesday 15 March 2016

ابن الرومي


ابن الرومي

(٨٣٦ – ٨٩٦ م)

 

تعريفه ومولده:

هو أحد الشعراء المتميزين العباسيين، وشاعر مطبوع. تنوعت أشعــاره بين المـدح والهجــاء والرثاء، أبو الحسن علي بن عباس بن جريح البغدادي، الشهير بابن الرومي. ولد ببغداد 2 رجب عام 221هـ الموافق 25 يونيو 836 م، وبها نشأ. أخذ العلم عن محمد بن حبيب، وعكف على نظم الشعر مبكراً.

 

حياته:

قد تعرض في حياته للكثير من النكبات، فجاءت أشعاره انعكاساً لما مر به.انه ورث عن والده أملاكاً كثيرة أضاع جزء كبيرا منها بإسرافه ولهوه، و دمّرت الكوارث باقيها. وجاء الموت عائلته واحداً تلو الأخر، فتوفي والده فوالدته ثم أخوه الأكبر وخالته، ثم زوجته وأولاده الثلاثة. ولعل هذه الأحداث قد شكلت طبيعته, فأصبحت حياته مضطربة، وأصبح هو خاضعا للوهم والخوف، يتوقع السوء دائماً، فقام الناس بالسخرية منه والابتعاد عنه واضطهاده.  

 

وفاته:

توفي مسموماً ودفن ببغداد عام 283هـ الموافق 18 يونيو 896 م. وقال العقاد "أن الوزير أبا الحسين، وزير المعتضد، كان يخاف هجوه فأطعمه حلوى مسمومة بابن فراش، وهو في مجلسه، فلما أكلها أحس بالسم، فقال له الوزير: إلي أين تذهب؟ فقال: إلي الموضع الذي بعثتني إليه، فقال له: سلم على والدي، فقال له: ما طريقي إلي النار.

 

شعره:

عاصر عصور ثمانية من الخلفاء العباسيين، وكان معظمهم يرفضون مديحه يردون إليه قصائده، ويمتنعون عن بذل العطايا له. وأبدع في الرثاء، لمّا عاناه في حياته من كثرة الآلام. قال ابن خلكان فيه: "الشاعر المشهور صاحب النظم العجيب والتوليد الغريب، يغوص على المعاني النادرة فيستخرجها من مكانها ويبرزها في أحسن صورة ولا يترك المعنى حتى يستوفيه إلى أخره ولا يبقي فيه بقية".

 

خصائص شعره: 

كان متميزا بصدق إحساسه، مبتعدا عن المراءاة والتلفيق، وعاملا على مزج الفخر بالمدح, و على مشاركة السامع له في مصائبه، وتذكيره بالألم والموت، ومن أكثر شعراء عصره قدرة على الوصف وأبلغهم هجاء، أبحر في دروب الشعر المختلفة؛ فجاءت أشعاره مبدعة في الحركة والتشخيص والوصف. واعتنى بالموسيقى والقافية.

كتبه: عبد المتين وسيم