Tuesday 27 November 2018

الزُهّاد - ابن الرومي



الزُهّاد - ابن الرومي 
ابن الرومي (٨٣٦ – ٨٩٦ م) هو شاعر عباسي، كان متميزا بصدق إحساسه. وكان في تقواه طوع الإحساس الحاضر. يخيل إلى من يدرس مثل هذه المنظومة له أنه يستمع إلى متعبد عاش عمره في الصوامع. يقول فيها يصف الزهاد أنهم يتهجدون في الليالي، يفارقون جنوبهم عن المضاجع، خائفين عذاب الله، وطامعين في رحمته، ومستجيرين به، حتى لا ينامون طيلة الليالي. ثم يبيّن التواد والتعاطف فيما بينهم أنهم يتأوهون ويتوجعون عندما أصابت أحدهم مصيبة. فيبكون ويتضرعون ويدعون الله جميل الصنائع أن يعفو عنهم ذنوبهم وخطاياهم لتلك الوجوه الخاشعة والعيون الدامعة، مستيقنين بأنه لا شافع لهم سوى الله عز وجلّ. فيستجيب الله لهم نظرا إلى ما كانوا يصنعون من الأعمال الصالحة.

كتبه - عبد المتين وسيم 


وله في الوعظ – أبو العتاهية




وله في الوعظ – أبو العتاهية
عبد المتين وسيم

أبو العتاهية إسماعيل بن القاسم بن سويد العيني من أنبغ الشعراء العباسيين. كان يُجيد القول في الزهد والمديح، أكثر أنواع الشعر في عصره. يقول في هذه المنظومة يعظ وينصح، أنه لا ينبغي للناس أن ينهمكوا في اللهو واللعب، لأن الوقت لا يزال يمضي والموت لا يتأخر. ثم يظهر تعجبه للذين لا يزالون يلعبون أشد التعجب، لأن أجلهم لا يتأخر ساعة، بل يقبض عليهم في وقته ويخرب منازلهم.

ثم يقول إن الناس يظنون أن السوء والحزن يغلب على الفرح والسرور دائما، ويعلمون أن الليل والنهار محيطان بهم، فلا مهرب لهم عنهما، ولكل منهم أجل مسمى ومدة معينة ستنقضي، وجميع أعمالهم مكتوبة يجزون بها. ثم يتساءل من نفسه أنهم لِمَاذا لا يسعون للأعمال الصالحة كي يفوزوا في الآخرة...؟

হাফিজ ইবরাহিমঃ মা ও মাদরাসা


মা ও মাদ্রাসা
হ়াফ়িজ় ব্‌রাহিম, মিশর
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম 

[কবিতাটি কবির দীওয়ান অর্থাৎ কাব্য সংকলনের ১ম খণ্ডে ২৭৯-২৮৩ পৃষ্ঠায় রয়েছে সেখানে কবিতাটির শিরোনাম দেওয়া রয়েছে মাদ্রাসাতুল্বানাত বি-বূর সায়ীদ অর্থাৎ বূর সায়ীদ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতি কবি এই কবিতাটি ১৯ মে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে উক্ত মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে সর্বপ্রথম পাঠ করেছিলেন]  
 
প্রত্যেক প্রেমিক কতই না কষ্ট ভোগ করে মিসরকে ভালোবাসার কারণে! তবু তাকে আজীবন ভালোবেসে চলে তার অসংখ্য প্রেমিকের দল   

হে মিসর, আমার প্রিয় মাতৃভূমি! তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা অত্যন্ত গভীর; যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। 

তোমার জন্য আমার দুঃখ হয়; কবে আমি তোমাকে স্বাধীন অবস্থায় দেখতে পাবো, যখন এক উন্নত জাতি তোমার ঐতিহাসিক সীমানা পাহারা দেবে? 

যে জাতি হবে অত্যন্ত প্রশংসিত চরিত্রের অধিকারী; এবং তোমার জন্য তারা তাদের সর্বস্ব ব্যয় করতে উদগ্রীব হবে 

নিশ্চয়ই এক সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি আমাকে আনন্দিত করে তোলে, যেভাবে প্রবাসী ব্যক্তি প্রবাস হতে প্রত্যাবর্তন করে নিজ দেশ ও আপনজনদের দেখে আনন্দিত হয়। 

সৎচরিত্রের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ ও দানশীলতার উল্লেখ আমাকে প্রেমিকের চঞ্চলতার মতো চঞ্চলতা প্রদান করে। 

না বাবেলের উৎকৃষ্ট স্বচ্ছ সুরা, যে সুরা পান করা নিয়ে লোকেদের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চলে,

আর না সেই সুরা, যার পেয়ালায় সূর্য উদিত ও অস্তমিত হয় এবং যার বাহকের শুভ্র ললাট হতে চাঁদের জ্যোৎস্না বিচ্ছুরিত হয়, 

অধিক সুস্বাদু এমন সৎ ও পুণ্যময় চরিত্র অপেক্ষা, যে চরিত্রে মিলিত হয়েছে মার্জিত রুচিশীলতা   

কাজেই তুমি যদি সৎচরিত্রের অধিকারী হও, তার অর্থ এই যে, জীবনোপকরণ বণ্টনকারী মহান আল্লাহ্‌ তোমাকে চয়ন করে নিয়েছেন তাঁর সন্তুষ্টির জন্য   

এই দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ বিবিধ রকমের, প্রাপ্যাংশ রূপে কেউ পেয়েছে ধনসম্পদ, কেউ লাভ করেছেন বিদ্যা আবার কারও বরাতে জুটেছে সৎ ও উত্তম চরিত্র। 

অতএব সম্পদকে তুমি যদি পরিশীলিত বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে সংরক্ষিত ও সঞ্চিত না করো, তাহলে দারিদ্য তোমাকে একদিন না একদিন গ্রাস করবেই। 

আর বিদ্যাবুদ্ধিকে তুমি যদি সৎ ও উত্তম চরিত্রের আলোয়ানে আবৃত না করো তাহলে তোমার সেই বিদ্যা তোমার পতনের বাহনে পরিণত হবে। 

তুমি ভেবোনা যে, শুধু মাত্র জ্ঞান তোমার বা অন্য কারও কাজে লাগবে, যতক্ষণ না সেই জ্ঞানেরবাহক সৎচরিত্রের টুপি পরিধান করে (ততক্ষণ পর্যন্ত সেই জ্ঞান কারও কোনো কাজেই লাগবে না)   

(সমাজে) এমন অনেক (অসৎ ও স্বার্থান্বেষী) জ্ঞানী ব্যক্তি আছেন, যারা (নিজেদের) বিদ্যাবুদ্ধিকে ষড়যন্ত্রের জাল রূপে বিস্তার করেছেন বিচ্ছেদ, ধ্বংস ও বিবাদকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে। 

(সমাজে) এমন অনেক ফিক্‌হশাস্ত্রবিদও রয়েছেন, যারা নিজেদের ফিক্‌হ ও উদ্ভাবনী বিদ্যাকে ব্যবহার করেন কোনো ষড়যন্ত্র রচনার ক্ষেত্রে তো কখনও তালাককে বৈধ করার জন্য  

ই জ্ঞানী ব্যক্তিটি যখন রাস্তায় চলাচল করে তখন তার মাথায় থাকে গম্বুজসম পাগড়ি, আর সেই পাগড়ির নীচে একরাশ ছল ও কপটতা  

তাঁকে সাধারণ মানুষ কোনও বিবাদের মীমাংসা করার জন্য ডাকে, কিন্তু তারা জানে না যে, তারা যাকে মীমাংসার জন্য আহ্বান করছে তিনিই এই বিবাদের মূল এবং বিভেদের দোসর।  

(আমাদের) সমাজে এমন চিকিৎসক আছেন, যারা নিজ চিকিৎসা পেশায় অধিক উপার্জনের উদ্দেশ্যে এমন বস্তুকে হালাল করে নিয়েছে, আল্লাহ্‌র বিধান যে বস্তুকে হারাম ঘোষণা করেছে। 

কখনও ওই চিকিৎসক মাতৃগর্ভে ভ্রূণকে হত্যা করে আবার কখনও (গর্ভপাতের) রক্তস্রাব ঘটিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে

পরীক্ষানিরীক্ষা করলে দেখা যায়, (সমাজের মঙ্গলসাধনে) নাপিতের অভিজ্ঞতা ওই চিকিৎসকের জ্ঞান অভিজ্ঞতা অপেক্ষা উত্তম ও অধিক মূল্যবান। 

আর নীল নদের ইঞ্জিনিয়ারের অবস্থা এই যে তার হাতে থাকে কঠোর পরিশ্রমকারী শ্রমিকদের জীবনোপকরণের সকল চাবি।   

আর তার ওই হাত সিক্ত ও শুষ্ক হয় উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের মুদ্রার জল নেড়ে;   

কোনও বস্তুই তাকে তার লোভ হতে বিরত রাখতে পারে না; কাজেই অপরের জিনিষ চুরি করার দরুন তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ, যেমন শাস্তি বিশ্বাসঘাতক চোরের হয়।    

(আমাদের) সমাজে এমন সাহিত্যিক আছে, যার ডান হাতের আঙুল কেটে ফেলার অথবা পুড়িয়ে দেওয়ার যোগ্য; 

কেননা তিনি বুদ্ধির সাহায্যে (লোকেদের) মন নিয়ে খেলা করেন, আমোদ প্রমোদ করেন, আর তার বর্ণনা ও শব্দের জাল যেন যাদুকরের জাদুমন্ত্রের মতো।

তাঁর হাতে একটা কলম থাকে, যার লালা (কালি) বিষ উদগীরন করে, আর তিনি তা নিক্ষেপ করেন খাতার পাতায়;

তিনি যখন সত্যের নিকট উপস্থিত হন তখন সত্য অবিমিশ্র, অতি শুভ্র, পবিত্র ও অতি উজ্জ্বল অবস্থায় থাকে; 

কিন্তু তিনি (মানে সাহিত্যিক) ওই সত্যকে হাজার রকমের অন্ধকার ভাঁজের মধ্যে নিক্ষেপ করে তাকে সব দিক থেকে কলুষিত করে তোলেন। 

তার আত্মা উপলব্ধির ক্ষেত্রে সত্য হতে একেবারেই  নগ্ন অর্থাৎ বহু ক্রোশ দূরে, সত্যি বলতে তার মতো লোকেরা জনগণের কাঁধে বোঝা স্বরূপ   

কিন্তু তিনি যদি সৎচরিত্রবান হতেন, তাহলে নিজ বাঙময় ভাষা ও অগ্রগামী কলমের সাহায্যে নিজ জাতিকে উপকৃত করতেন, তাদেরকে সমৃদ্ধ ও সৌভাগ্যবান করে তুলতেন। 

কে আমাকে সাহায্য করবে নারী জাতির শিক্ষা ও স্বশক্তিকরণের ব্যাপারে? কারণ তাঁদের অশিক্ষাই হচ্ছে প্রাচ্যের নৈরাশ্য ও পশ্চাদপদতার মূল কারণ 

মায়েরা হচ্ছেন এক একটা মাদ্‌রাসা (বিদ্যালয়)আর তাই তুমি যদি মায়েদেরকে যথাযথ ভাবে গড়ে তুলতে পার, তাহলে তুমি মহৎ গুণাবলী বিশিষ্ট এক মহান জাতি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে

সত্যি বলতে মায়েরা হচ্ছেন উদ্যান স্বরূপ, লজ্জা ও শালীনতার সেচ দিয়ে যদি তাদেরকে সেচ দেওয়া হয় এবং সজীব করে তোলা হয়, তাহলে তাঁরা যে কোনও উজ্জ্বলতা অপেক্ষা অধিকতর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে

যে সকল শিক্ষকদের ঐতিহ্য ও পাণ্ডিত্য সমগ্র পৃথিবীর স্বীকৃতি লাভ করেছে মায়েরা সেই শিক্ষকদেরও আদি শিক্ষক

তবে আমি এ কথা বলছি না যে, তোমরা মেয়েদেরকে ছেড়ে দাও, তারা নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে বাজারে পুরুষদের মাঝে নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়াক

(আমি বলছি না যে,) তাঁরা অভিভাবককে পাত্তা না দিয়ে, যত্ন ও সুরক্ষা-বাঁধনের তোয়াক্কা না করে, (নিজে) সুরক্ষার ব্যবস্থা না করে, যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়াক

এবং (আমি এও বলছি না যে,) তাঁরা তাঁদের নারী সংক্রান্ত কর্তব্যসমূহকে অবহেলা করে পুরুষদের মতো কাজ করুক। 

গৃহাঙ্গনে তাদেরও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, যেমনটা অসি ও বর্শাধারী পুরুষদের রয়েছে  

না, আমি তোমাদেরকে এ পথেও আহ্বান জানাচ্ছি না যে, তোমরা তাদের পর্দা, সঙ্কীর্ণতা ও ভীতি প্রদর্শনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি বা সীমা লঙ্ঘন করো।   

কেননা তোমাদের মেয়েরা কোনো গহনা বা মনিমুক্ত নয় যে, চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাদেরকে বাক্সের মধ্যে ভরে সুরক্ষিত করে রাখতে হবে।    

আর না তোমাদের মেয়েরা আসবাবপত্রের মতো যে, তাদেরকে গৃহের কুঠরি ও আলমারীর তাকের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে 

পৃথিবী নিজের চক্রের মধ্যে ঘুরছে, সময় বিভিন্ন আকৃতি ধারন করছে, আর মেয়েরা একই অবস্থায় অকর্মণ্য ও গতিহীন হয়ে পড়ে আছে 

কাজেই তোমরা দুই অবস্থার মাঝের পথ অবলম্বন করো এবং তাঁদের প্রতি সুবিচার করো, কারণ মন্দ নিহিত থাকে সম্পূর্ণ বন্দী দশা এবং অবাধ স্বাধীনতা 

তোমরা তোমাদের মেয়েদেরকে লালনপালন করো, তাদেরকে বড় করে তোলো মহৎ ও উত্তম গুণাবলীর শিক্ষা দিয়ে। কারণ উভয় অবস্থাতেই মহৎ গুণাবলী তাদের জন্য সর্বোত্তম পাথেয় ও আত্মবিশ্বাসের মূল

এবং তোমাদের কর্তব্য হচ্ছে, তোমরা তোমাদের কন্যাদেরকে সর্বদা সুপথের আলো ও স্থায়ী শালীনতার পথ প্রদর্শন করবে



مدرسة البنات ببور سعيد
حافظ إبراهيم – مصر

كَم ذا يُكابِدُ عاشِقٌ وَيُلاقي               في حُبِّ مِصرَ كَثيرَةِ العُشّاقِ

إِنّي لَأَحمِلُ في هَواكِ صَبابَةً             يا مِصرُ قَد خَرَجَت عَنِ الأَطواقِ

لَهفي عَلَيكِ مَتى أَراكِ طَليقَةً             يَحمي كَريمَ حِماكِ شَعبٌ راقي

كَلِفٌ بِمَحمودِ الخِلالِ مُتَيَّمٌ               بِالبَذلِ بَينَ يَدَيكِ وَالإِنفاقِ

إِنّي لَتُطرِبُني الخِلالُ كَريمَةً              طَرَبَ الغَريبِ بِأَوبَةٍ وَتَلاقي

وَتَهُزُّني ذِكرى المُروءَةِ وَالنَدى            بَينَ الشَمائِلِ هِزَّةَ المُشتاقِ

ما البابِلِيَّةُ في صَفاءِ مِزاجِها             وَالشَربُ بَينَ تَنافُسٍ وَسِباقِ

وَالشَمسُ تَبدو في الكُئوسِ وَتَختَفي       وَالبَدرُ يُشرِقُ مِن جَبينِ الساقي

بِأَلَذَّ مِن خُلُقٍ كَريمٍ طاهِرٍ                قَد مازَجَتهُ سَلامَةُ الأَذواقِ

فَإِذا رُزِقتَ خَليقَةً مَحمودَةً                فَقَدِ اِصطَفاكَ مُقَسِّمُ الأَرزاقِ

فَالناسُ هَذا حَظُّهُ مالٌ وَذا               عِلمٌ وَذاكَ مَكارِمُ الأَخلاقِ

وَالمالُ إِن لَم تَدَّخِرهُ مُحَصَّناً              بِالعِلمِ كانَ نِهايَةَ الإِملاقِ

وَالعِلمُ إِن لَم تَكتَنِفهُ شَمائِلٌ               تُعليهِ كانَ مَطِيَّةَ الإِخفاقِ

لا تَحسَبَنَّ العِلمَ يَنفَعُ وَحدَهُ               ما لَم يُتَوَّج رَبُّهُ بِخَلاقِ

كَم عالِمٍ مَدَّ العُلومَ حَبائِلاً                لِوَقيعَةٍ وَقَطيعَةٍ وَفِراقِ

وَفَقيهِ قَومٍ ظَلَّ يَرصُدُ فِقهَهُ               لِمَكيدَةٍ أَو مُستَحَلِّ طَلاقِ

يَمشي وَقَد نُصِبَت عَلَيهِ عِمامَةٌ          كَالبُرجِ لَكِن فَوقَ تَلِّ نِفاقِ

يَدعونَهُ عِندَ الشِقاقِ وَما دَرَوا             أَنَّ الَّذي يَدعونَ خِدنُ شِقاقِ

وَطَبيبِ قَومٍ قَد أَحَلَّ لِطِبِّهِ                ما لا تُحِلُّ شَريعَةُ الخَلّاقِ

قَتَلَ الأَجِنَّةَ في البُطونِ وَتارَةً             جَمَعَ الدَوانِقَ مِن دَمٍ مُهراقِ

أَغلى وَأَثمَنُ مِن تَجارِبِ عِلمِهِ            يَومَ الفَخارِ تَجارِبُ الحَلّاقِ

وَمُهَندِسٍ لِلنيلِ باتَ بِكَفِّهِ                 مِفتاحُ رِزقِ العامِلِ المِطراقِ

تَندى وَتَيبَسُ لِلخَلائِقِ كَفُّهُ               بِالماءِ طَوعَ الأَصفَرِ البَرّاقِ

لا شَيءَ يَلوي مِن هَواهُ فَحَدُّهُ             في السَلبِ حَدُّ الخائِنِ السَرّاقِ

وَأَديبِ قَومٍ تَستَحِقُّ يَمينُهُ                 قَطعَ الأَنامِلِ أَو لَظى الإِحراقِ

يَلهو وَيَلعَبُ بِالعُقولِ بَيانُهُ                فَكَأَنَّهُ في السِحرِ رُقيَةُ راقي

في كَفِّهِ قَلَمٌ يَمُجُّ لُعابُهُ                   سُمّاً وَيَنفِثُهُ عَلى الأَوراقِ

يَرِدُ الحَقائِقَ وَهيَ بيضٌ نُصَّعٌ            قُدسِيَّةٌ عُلوِيَّةُ الإِشراقِ

فَيَرُدُّها سوداً عَلى جَنَباتِها                مِن ظُلمَةَ التَمويهِ أَلفُ نِطاقِ

عَرِيَت عَنِ الحَقِّ المُطَهَّرِ نَفسُهُ          فَحَياتُهُ ثِقلٌ عَلى الأَعناقِ

لَو كانَ ذا خُلُقٍ لَأَسعَدَ قَومَهُ             بِبَيانِهِ وَيَراعِهِ السَبّاقِ

مَن لي بِتَربِيَةِ النِساءِ فَإِنَّها               في الشَرقِ عِلَّةُ ذَلِكَ الإِخفاقِ

الأُمُّ مَدرَسَةٌ إِذا أَعدَدتَها                  أَعدَدتَ شَعباً طَيِّبَ الأَعراقِ

الأُمُّ رَوضٌ إِن تَعَهَّدَهُ الحَيا               بِالرِيِّ أَورَقَ أَيَّما إيراقِ

الأُمُّ أُستاذُ الأَساتِذَةِ الأُلى                 شَغَلَت مَآثِرُهُم مَدى الآفاقِ

أَنا لا أَقولُ دَعوا النِساءَ سَوافِراً            بَينَ الرِجالِ يَجُلنَ في الأَسواقِ

يَدرُجنَ حَيثُ أَرَدنَ لا مِن وازِعٍ            يَحذَرنَ رِقبَتَهُ وَلا مِن واقي

يَفعَلنَ أَفعالَ الرِجالِ لِواهِياً               عَن واجِباتِ نَواعِسِ الأَحداقِ

في دورِهِنَّ شُؤونُهُنَّ كَثيرَةٌ                كَشُؤونِ رَبِّ السَيفِ وَالمِزراقِ

كَلّا وَلا أَدعوكُمُ أَن تُسرِفوا                في الحَجبِ وَالتَضييقِ وَالإِرهاقِ

لَيسَت نِساؤُكُمُ حُلىً وَجَواهِراً              خَوفَ الضَياعِ تُصانُ في الأَحقاقِ

لَيسَت نِساؤُكُمُ أَثاثاً يُقتَنى                 في الدورِ بَينَ مَخادِعٍ وَطِباقِ

تَتَشَكَّلُ الأَزمانُ في أَدوارِها               دُوَلاً وَهُنَّ عَلى الجُمودِ بَواقي

فَتَوَسَّطوا في الحالَتَينِ وَأَنصِفوا            فَالشَرُّ في التَقييدِ وَالإِطلاقِ

رَبّوا البَناتِ عَلى الفَضيلَةِ إِنَّها            في المَوقِفَينِ لَهُنَّ خَيرُ وَثاقِ

وَعَلَيكُمُ أَن تَستَبينَ بَناتُكُم                 نورَ الهُدى وَعَلى الحَياءِ الباقي