জ়ুহায়ের বিন আবি
সুল্মা-এর মু‘আল্লাক়া
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন
ওয়াসিম
أَمِنْ أُمِّ أَوْفَى
دِمْنَةٌ لَـمْ تَكَـلَّمِ بِـحَوْمانَة الـدَّرَّاجِ فَالْـمُتَثَلَّـمِ
দার্রাজ ও মুতাসাল্লিমের প্রস্তরময়, কঠিন ও শক্ত ভূমিতে অবস্থিত বাস্তুভিটার এই নীরব ধ্বংসাবশেষগুলি কি উম্মে আওফার?
وَدارٌ لَهَـا بِالرَّقْمَتَيْـنِ كَأَنَّهَـا مَراجِيعُ وَشْمٍ في
نَواشِـرِ مِعْصَـمِ
তার তো আরও
একটি বাড়ি
রয়েছে দুই
রাক্মার মাঝে; দেখতে অবিকল হাতের
উপর বারংবার
অঙ্কিত উল্কি
রেখার মতো।
بِهَا العَيْنُ وَالأَرْآمُ يَمْشِينَ خِلْفَةً وَأَطْـلاؤُهَا يَنْهَضْنَ
مِنْ كُلِّ مَجْثَمِ
যেখানে (এখন)
দীঘল চক্ষুবিশিষ্ট
বন্যগাভী ও
শ্বেতমৃগরাজি একে
অপরের পশ্চাতে
বিচরণ করছে। আর তাদের শাবকদল
(দুধ পান
করার জন্য)
প্রত্যেক শয়নস্থান
থেকে গাত্রোত্থান
করছে।
وَقَفْتُ بِهَا مِنْ
بَعْدِ عِشْرِينَ حِجَّـةً فَـلأيَاً عَرَفْتُ
الـدَّارَ بَـعْدَ تَـوَهُّمِ
দীর্ঘ কুড়ি বছর পর আমি এই জায়গায় আসলাম। তাই খানিকটা বিলম্বে মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব
কাটিয়ে তার আবাসস্থলটিকে চিনতে পারলাম।
أَثَافِيَّ سُفْعَاً في
مُعَرَّسِ مِرْجَـلٍ وَنُـؤْيَاً كَجِذْمِ
الحَوْضِ لَـمْ يَتَثَلَّمِ
(আমি আরও চিনতে পারলাম) ডেকচী স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত লালচে কালো পাথরের ঝিকগুলোকে
এবং মূল জলাশয় সম তার তাঁবুর চতুর্দিকের পরিখাগুলিকে, যেগুলি এখনও বারিধারায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি।
فَلَمَّا عَرَفْتُ الدَّارَ
قُلْتُ لِرَبْعِهَـا أَلا انْعِمْ
صَبَاحَاً أَيُهَا الرَّبْعُ وَاسْلَـمِ
যখন আমি সেই গৃহটি চিনতে
পারলাম তখন তার চতুর্সীমাকে উদ্দেশ্য করে বললাম— হে আমার প্রিয়ার বাসগৃহ, তোমার প্রভাত সুখের হোক এবং তুমি নিরাপদে
থাকো!
تَبَصَّرْ خَليلِي هَلْ
تَرَى مِنْ ظَعائِـنٍ
تَـحَمَّلْنَ بِـالْعَلْياءِ
مِنْ فَوْقِ جُرْثَمِ
বন্ধু, তুমি ভালো করে লক্ষ্য করো। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ, হাওদায় বসে (প্রিয়ার গোত্রের) যুবতীরা জুর্হুমের উচ্চ ভূমি দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে?
جَعَلْنَ الْقَنَانَ عَنْ
يَـمِينٍ وَحَزْنَـهُ وَكَمْ بِـالقَنَانِ مِنْ مُـحِلٍّ وَمُحْرِمِ
কানান ও তার পার্শ্ববর্তী স্থানকে ডান
দিকে রেখে তারা এগিয়ে চলেছে। সেই কানানে একদা বাস করতো বহু মানুষ; তাদের কিছুজন শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে, আবার কিছুজন চুক্তি বহির্ভূত হয়ে।
عَلَوْنَ بِأَنْمَاطٍ عِتَـاقٍ وَكِـلَّةٍ وِرَادٍ حَوَاشِـيهَا
مُشَـاكِهَةِ الـدَّمِ
তারা তাদের হাওদার উপর
চড়িয়েছিল মুল্যবান পশমি কাপড় এবং সূক্ষ্ম পর্দা; যার ঝালরের রং ছিল রক্ত বর্ণ গোলাপের মতো।
ظَهَرْنَ مِنَ السُّوبَانِ ثُمَّ جَزَعْنَـهُ عَلَى
كُلِّ قَـيْنِيٍّ قَـشِيبٍ وَمُـفْأَمِ
তারপর
তারা সুবান থেকে বেরিয়ে সেই উপত্যকা অতিক্রম করলো নতুন, সজ্জিত ও প্রশস্ত হাওদায় চেপে।
وَوَرَّكْنَ في السُّوبَانِ
يَعْلُوْنَ مَتْنَـهُ عَلَـيْهِنَّ دَلُّ
الـنَّـاعِمِ الـمُـتَنَعِّمِ
অতঃপর সুবান গিরিপথ
ধরে অগ্রসর
হয়ে তাড়া
তার চুড়ায়
পৌঁছে গেলো। আর তখন তাদের
চলনে-বলনে বিলাসবহুল জীবন
যাত্রার ছাপ
প্রতিভাত হচ্ছিলো।
بَكَرْنَ
بُكُورًا وَاسْتَحَرْن بِسُحْـرَةٍ
فَهُـنَّ وَوَادِي
الـرَّسِّ كَالْيَدِ لِـلْفَمِ
তারা
অতি প্রাত্যুশে গাত্রোত্থান করে ঊষার আগমনে যাত্রা শুরু করেছিল। অতঃপর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা রাস উপত্যকায় পৌঁছে গেছিল; যেভাবে হাত মুখের
কাছে পৌঁছে যায়।
وَفِيهِنَّ
مَلْهَىً لِلَّطِيـفِ وَمَنْظَرٌ أَنِـيـقٌ لِعَـيْنِ الـنَّاظِرِ
الـمُتَوَسِّمِ
(আমি লক্ষ্য করেছি) তাদের মধ্যে বিনোদন রয়েছে প্রত্যেক দর্শনেচ্ছু ব্যাক্তির জন্য; আর প্রত্যেক নিরীক্ষণকারী ও দর্শক চক্ষুর জন্য রয়েছে মনোরম দৃশ্য।
كَأَنَّ
فُتَاتَ الْعِهْنِ في كُلِّ
مَنْزِلٍ نَزَلْنَ بِـهِ
حَبُّ الْـفَنَا لَـمْ
يُحَطَّمِ
তাছাড়া
যেখানে তারা অবতরণ করেছিল এমন সকল স্থানে রঙিন পশমের
রেণুগুলি ছড়িয়ে ছিল; সেগুলো দেখতে ছিল অবিকল অক্ষত ‘ফানা’ (রেড কারেন্ট) ফলের মতো।
فَلَمَّا
وَرَدْنَ المَاءَ
زُرْقَاً جِـمَامُهُ وَضَـعْنَ عِـصِيَّ الـحَاضِرِ المُتَخَيِّمِ
অতঃপর
তারা যখন গভীর নীল স্রোতিস্বিনীর তীরে উপনীত হল; সেখানে সেই তীরে তারা অবস্থানরত তাঁবু স্থাপনকারীদের মতো
করে নিজেদের লাঠিগুলো স্থাপন করলো।
فَأَقْسَمْتُ
بِالْبَيْتِ الذِّي
طَافَ حَوْلَهُ رِجَـالٌ
بَـنَوْهُ مِنْ قُـرَيْشٍ وَجُرْهُمِ
যে গৃহটি জুর্হুম ও কোরায়েশ
গোত্রের লোকেরা মিলে নির্মাণ
করেছিল এবং যার চতুর্দিকে লোকেরা
প্রদক্ষিন করে, আমি সেই পবিত্র
গৃহের শপথ করে বলছি,
يَمِـينًا
لَنِعْمَ الـسَّيدَانِ
وُجِـدْتُمَا عَـلَى
كُلِّ حَـالٍ مِنْ
سَحِيلٍ وَمُبْرَمِ
আমি শপথ করে বলছি, তোমরা দু’জনেই অত্যন্ত
সৎ ও জনহিতৈষী নেতা। সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় তোমরা লোকেদের পাশে থাকো।
تَدَارَكْتُما
عَبْسَاً وَذُبْـيَانَ
بَـعْدَمَا تَـفَانَوْا وَدَقُّـوا
بَـيْنَهُمْ عِطْرَ مَنْشَمِ
‘আব্স ও জুব্ইয়ান গোত্রদ্বয় যুদ্ধের মাধ্যমে পরস্পরকে ধ্বংস করার পর এবং
নিজেদের মধ্যে মান্শামের
সুগন্ধি বিস্তার করার পর তোমরা উভয়ে মিলে তাদেরকে শান্তির পথে ফিরিয়ে এনেছো।
وَقَدْ
قُلْتُمَا إِنْ نُدْرِكِ
السِّلْمَ وَاسِعاً
بِـمَالٍ وَمَـعْرُوفٍ
مِنَ الْقَوْلِ نَسْلَمِ
(আর তার জন্য) তোমরা
বলেছিলে— আমরা যদি সম্পদ এবং সৎকর্ম ও উপদেশের বিনিময়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই, তাহলে
আমরা সবাই নিরাপদে
থাকবো।
فَأَصْبَحْتُمَا
مِنْهَا عَـلَى خَيْرِ
مَوْطِنٍ بَـعِيدَيْن فِيهَا مِنْ عُقُوقٍ وَمَـأْثَمِ
কাজেই এই শান্তি প্রতিষ্ঠার দরুন তোমরা উত্তম
স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছ। আর তোমরা সম্পর্ক ছেদ
ও পাপ কাজ হতে বহু দূরে অবস্থান
করছো।
عَظِيمَيْنِ
في عُلْيَا مَـعَدٍّ
هُدِيْتُمَـا وَمَنْ يَسْتَبِحْ
كَنْزَاً مِنْ
المَجْدِ يَعْظُمِ
মা‘আদ গোত্রের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গের শ্রেণীভুক্ত হয়ে তোমরা উভয়েই সুপথে চালিত হয়েছ; আর যে ব্যাক্তি মর্যাদার ঐশ্বর্যকে উত্তম মনে করে এবং মর্যাদার
সঞ্চিত সম্পদকে অন্বেষণ করে সে-ই মহত্ত্ব
লাভ করে।
تُـعَفَّى
الْـكُلُومُ بِالْمِئيِنَ فَأَصْبَحَتْ يُـنَجِّمُهَا مَنْ لَـيْسَ فِيهَا بِـمُجْرِمِ
শতশত উষ্ট্রী বিনিময় ও মুক্তিপণ
রূপে প্রদান করে তাদের ক্ষততে প্রলেপ লাগানো হচ্ছিল; আর সেই উটগুলি কিস্তিতে
প্রদান করছিলেন এমন দু’জন (মহৎ) ব্যাক্তি যাঁদের ওই যুদ্ধ অপরাধের সাথে
বিন্দু মাত্র যোগ ছিল না।
يُـنَـجِّمُهَا
قَوْمٌ لِـقَـوْمٍ غَـرَامَةً وَلَـمْ يُهَرِيقُوا بَيْنَهُمْ مِلْءَ مِحْجَمِ
এক গোত্র অন্য গোত্রকে জরিমানা সরূপ কিস্তিতে উট প্রদান করছিল; অথচ তাঁরা নিজেদের মধ্যে বিন্দুমাত্রও রক্তপাত করেনি।
فَـأَصْبَحَ
يَـجْرِي فِيهِمُ مِنْ
تِلاَدِكُمْ مَغَـانِمُ شَتَّى مِـنْ إِفَـالٍ مُـزَنَّمِ
তা সত্ত্বেও উত্তরাধিকারসূত্রে
প্রাপ্ত তোমাদের সম্পদ হতে মুজান্নাম উষ্ট্রের শাবকের মতো বিভিন্ন ধরণের সম্পদ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ চলতে থাকলো।
أَلاَ
أَبْلِـغِ الأَحْلاَفَ عَـنِّي
رِسَـالَةً وَذُبْـيَانَ هَلْ
أَقْسَمْتمُ كُـلَّ مُـقْسَمِ
শোনো, আমার পক্ষ থেকে জুবিয়ান ও (তার)
মিত্র গোত্রগুলির নিকট এ
বার্তা পৌঁছে দাও যে, তোমরা কি
(সন্ধি ভঙ্গ করবে বলে) সকল প্রকার কসম খেয়ে বসে আছে?
فَلاَ
تَـكْتُمُنَّ اللهَ مَا
فِي نُـفُوسِكُمْ لِـيَخْفَى وَمَهْمَا
يُـكْتَمِ اللهُ يَـعْلَمِ
তোমাদের মনে যা আছে, তা গোপন থাকবে ভেবে, তোমরা আল্লাহ্র
নিকট হতে কখনই কোনও কিছু
লুকিয়ে রেখো না; কারণ যা
কিছুই আল্লাহ্র নিকট হতে গোপন রাখা হয়, আল্লাহ্ তা জানতে
পারেন।
يُـؤَخَّرْ
فَيُوضَعْ فـي كِتَابٍ
فَيُدَّخَرْ لِـيَوْمِ الْحِسَابِ
أَوْ يُعَجَّلْ فَـيُنْقَمِ
অতঃপর তা হয় বিলম্বত হয়ে
একটি খাতায় লিপিবদ্ধ অবস্থায় বিচারের দিনের উদ্দেশ্যে সংগৃহীত থাকে, অথবা
অবিলম্বেই (কর্তাকে তার) সেই কৃতকর্মের প্রতিফল প্রদান করা হয়।
وَمَا
الـحَرْبُ إِلاَّ مَـا
عَلِمْتمْ وَذُقْتُمُ وَمَا هُـوَ
عَنْهَا بِـالحَدِيثِ المُرَجَّمِ
আর যুদ্ধ কী জিনিস, তোমরা তা ভালো করেই জানো। যুদ্ধ তোমাদের নিকট অভিজ্ঞতা প্রসূত ও আস্বাদিত বস্তু। আর তাই যুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনা তোমাদের নিকট কোনো কল্পনার
বিষয় নয়।
مَتَـى
تَـبْعَثُوهَا تَـبْعَثُوهَا
ذَمِـيمَةً وَتَضْـرَ إِذَا
ضَـرَّيْتُمُوهَا فَـتَضْرَمِ
তাই যখন তোমরা যুদ্ধে উস্কানি
দাও, নিন্দনীয়ভাবেই তা করো। আর যখন তোমরা যুদ্ধের আগুন জ্বালাও, তখন তা তীব্র বেগে জ্বলে ওঠে এবং সবকিছু জ্বালিয়ে
ছারখার করে দেয়।
فَـتَعْرُككُمُ عَرْكَ الـرَّحَى
بِـثِفَالِهَا وَتَلْـقَحْ كِشَافَاً
ثُمَّ تُنْـتَجْ فَـتُتْئِمِ
যাঁতা কলের নীচে যেমন চামড়া পিষ্ট হয়, যুদ্ধ তোমাদেরকে
অনুরূপভাবে পিষ্ট করে দেয়, প্রসবের পরক্ষণেই যুদ্ধ পুনরায় গর্ভ
ধারণ করে এবং যমজ
সন্তান প্রসব করে।
فَتُنْـتِجْ
لَكُمْ غِلْمَانَ أَشْـأَمَ
كُـلُّهُمْ كَأَحْمَرِ عَـادٍ ثُمَّ تُـرْضِعْ فَـتَفْطِمِ
অতঃপর যুদ্ধ তোমাদের জন্য বহু সন্তান
প্রসব করে, যাদের
সকলেই ‘আদ-এর আহা্মার-এর মত কুলক্ষণ যুক্ত। তারপর তাদেরকে দুগ্ধ পান করায় আবার দুগ্ধ ছাড়িয়েও দেয়।
فَـتُغْلِلْ
لَكُمْ مَا لاَ
تُـغِلُّ لأَهْلِهَا قُرَىً بِـالْعِرَاقِ
مِنْ قَـفِيزٍ وَدِرْهَم
আর এভাবেই যুদ্ধ তোমাদের
জন্য এত (সর্বনেশে) ফসল উৎপন্ন করে যে, ইরাকের বহু শস্যক্ষেত্র মিলেও ইরাকবাসীদের জন্য
তত কাফীয (প্রাচীন কালের ওজন বিশেষ) শস্য ও দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) উৎপন্ন করতে পারে না।
لَعَمْرِي
لَـنِعْمَ الـحَيُّ جَـرَّ
عَلَيْهِمُ بِمَا لاَ يُوَاتِيهِم
حُصَيْنُ بْنُ
ضَمْضَم
আমার জীবনের শপথ করে বলছি, হুসাইন বিন
যামযাম যাদের বিরুদ্ধে এই অবাঞ্ছনীয় অপরাধ ঘটিয়েছিল, তাঁরা ও তাঁদের গোত্র সত্যিই মহৎ ও উদার প্রকৃতির।
وَكَانَ
طَوَى كَـشْحًا عَلَى
مُسْتَكِنَّةٍ فَـلاَ هُـوَ أَبْدَاهَا وَلَـمْ يَـتَقَدَّم
সে অর্থাৎ হুসাইন বিন যাম্যাম একটি কুৎসিত
ঘৃণাকে মনের গভীরে পোষণ করে রেখেছিল অতি গোপনে; সে (কখনও) তা প্রকাশ
করেনি এবং বিষয়টিকে উপেক্ষাও করেনি।
وَقَالَ
سَأَقْضِي حَـاجَتِي ثُـمَّ
أَتَّقِي عَـدُوِّي بِأَلْفٍ
مِنْ وَرَائِـيَ مُلْجَم
বরং সে (মনে মনে দৃঢ়) প্রতিজ্ঞা
করেছিল, “আমি আমার
জিঘাংসা খুব শীঘ্রই চরিতার্থ করবো। অতঃপর নিজ শত্রুর
বিরুদ্ধে সহস্র অশ্বারোহী সৈন্য পশ্চাতে নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেকে রক্ষা করবো”।
فَشَـدَّ
وَلَـمْ يُـفْزِعْ بُـيُوتاً
كَثِيَرةً لَدَى حَيْثُ
أَلْقَتْ رَحْلَهَا
أُمُّ قَشْعَم
অতঃপর যখন সে আক্রমণ করল, তখন (সেখানে) বহু গোত্রই
নির্ভয়ে বাস করছিল; কিন্তু তার ওই আক্রমণের ফলে যুদ্ধ সেখানে ফাঁদ পেতে বসলো।
لَدَى
أَسَـدٍ شَاكِي الـسِلاحِ
مُقَذَّفٍ لَـهُ لِبَـدٌ
أَظْفَـارُهُ لَـمْ تُـقَلَّم
(যুদ্ধ ফাঁদ পেতে বসলো) এমন এক সিংহের নিকট, যে সিংহটি ছিল অস্ত্র-সজ্জিত, বিক্রমশালী ও সাহসী; যার কেশর ছিল দীর্ঘ এবং নখ ও পাঞ্জা ছিল অত্যন্ত তীক্ষ্ণ।
جَـرِيءٍ
مَتَى يُـظْلَمْ يُعَاقِبْ
بِظُلْمِهِ سَـرِيعاً وَإِلا يُـبْدَ بِالظُّلْمِ يَـظْلِم
সিংহটি ছিল নির্ভীক, অত্যাচারিত
হওয়ার সাথে সাথেই দ্রুত ওই অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতো, আর যদি সে প্রথমে
আক্রান্ত না হতো তাহলে আগবাড়িয়ে অন্যকে আক্রমণ করতো।
رَعَـوْا
ظِـمْأَهُمْ حَتَى إِذَا
تَمَّ أَوْرَدُوا غِمَـارَاً تَـفَرَّى بِالسِّلاحِ وَبِـالدَّم
তাঁদের উটের দুই জলপানের মধ্যবর্তী সময়ে তারা যতটা সম্ভব
তাঁদের উট চরিয়ে নিল, তার পর তাঁদের নিয়ে এলো এমন এক জলাশয়ের
তীরে, যেটি বর্শা ও রক্তে ভরে গেছিল।
فَقَضَّوْا
مَـنَايا بَـيْنَهُمْ ثُـمَّ
أَصْدَرُوا إِلـى كَـلإٍ
مُسْـتَوْبِلٍ مُـتَوَخِّم
অতঃপর তারা নিজেদের মধ্যে বহু মৃত্যু ঘটালো। তারপর
ফিরিয়ে নিয়ে গেল এক অস্বাস্থকর ও অবাঞ্ছিত চারণভূমিতে।
لَـعَمْرُكَ
مَا جَرَّت عَلَيْهِمْ
رِماحُهُمْ دَمَ ابـنِ نَهِيكٍ أَو قَتِـيلِ
الـمُثَلَّم
তোমার জীবনের শপথ (করে বলছি), তাঁদের বর্শা না তো নাহিক-তনয়কে হত্যা করেছি আর না মুসাল্লাম গোত্রের নিহত
ব্যক্তিকে খুন করেছিল।
وَلا
شَـارَكَتْ في الموْتِ
فِي دَمِ نَوْفَلٍ وَلا وَهَبٍ
مِنْهُم وَلا
ابْـنِ المُخَزَّم
আর না অন্য কোনো মৃত্যুতে অংশ
নিয়েছিল, না নওফল, না ওয়াহাব, না
মুখাযযাম-তনয়ের রক্তপাতকারী দলে শামিল হয়েছিল (অর্থাৎ তারা
যুদ্ধে কোনোভাবেই অংশ গ্রহণ করেনি)।
فَكُـلاً
أَراهُـمْ أَصْـبَحُوا يَـعْقِلُونَهُ صَـحِيحَاتِ مَالٍ
طَالِعَاتٍ بِمَخْرَمِ
তা সত্ত্বেও, আমি দেখেছি তাঁদের উভয়ে প্রত্যেকে রক্তপণের
জন্য এক হাজার উট প্রদানের পর অন্য এক হাজার উট প্রদানের ক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ করেছে।
لَحِيٍّ
حِـلالٍ يَـعْصُمُ النَّاسَ
أَمْرَهُمْ إِذا طَرَقَتْ إِحْدِى الَّـليَالِي بِمُعْظَم
(সেই উটগুলো প্রদান করা হয়েছে) এমন এক
গোত্রের পক্ষ হতে, গভীর নিশিথে মহাবিপর্যয়ের সময়েও যাদের আদেশ মানব সমাজের
নিরাপত্তাকে রক্ষা করে।
كِرَامٍ
فَلا ذُو الـضِّغْنِ
يُدْرِكُ تَبْلَهُ وَلا الجَارِمُ
الـجَانِي عَلَيْهِمْ
بِمُسْلَم
তাঁরা মহৎ ব্যক্তি, কোনও প্রতিশোধকামী ব্যক্তি তাঁদের
নিকট হতে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে না, আর না তাঁদের
বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ ঘটিয়ে কেউ মুক্তি পেতে পারে।
سَئِمْتُ
تَكَالِيفَ الـحَياةِ وَمَنْ
يَعِشْ ثَـمَانِينَ حَوْلاً
لا أَبَـا لَكَ يَـسْأَم
দীর্ঘ জীবনের দুঃখকষ্ট সহ্য করতে করতে আমি নিরাশ হয়ে
পড়েছি; আর যে ব্যক্তি আশি বছর ধরে জীবন যাপন করে, জেনে রাখো সে জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়বেই।
وأَعْـلَمُ
مَا فِي الْيَوْمِ
وَالأَمْسِ قَبْلَهُ وَلـكِنّني عَـنْ
عِلْمِ مَا فِي
غَدٍ عَم
আজ যা কিছু ঘটছে এবং গতকাল যা কিছু ঘটেছে সে সম্পর্কে আমার অল্পবিস্তর ধারণা আছে; কিন্তু
আগামী কাল কী হবে সে বিষয়ে আমি অন্ধ (অর্থাৎ ভবিষ্যৎ জীবন
সম্বন্ধে আমার কোনো ধারণা নেই)।
رَأَيْتُ
المَنَايَا خَبْطَ عَشْوَاءَ
مَنْ تُصِبْ تُـمِتْهُ وَمَنْ تُـخْطِىءْ يُعَمَّرْ فَيَهْرَم
আমি মৃত্যুকে অন্ধ উষ্ট্রির মতো (ইতস্ততঃ) পদচারণা করতে
দেখেছি; সে যাকে আঘাত করে তারই মৃত্যু হয়, আর যে ব্যক্তি তার লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সে দীর্ঘজীবন পায় এবং বয়োবৃদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে।
وَمَنْ
لَـمْ يُـصَانِعْ في
أُمُورٍ كَثِيرةٍ يُـضَرَّسْ بِأَنْيَابٍ وَيُـوْطَأْ بِمَنْسِم
যে ব্যক্তি নানাবিধ কাজে ও ক্ষেত্রে ভদ্রতা-নম্রতা প্রকাশ করে না, সে (জীবনে) তীক্ষ্ণ দন্ত দ্বারা কর্তিত হয় (অর্থাৎ তীব্র ভাবে সমালোচিত হয়) এবং ক্ষিপ্র গতি সম্পন্ন উটের পদতলে পিষ্ট হয়।
وَمَنْ
يَجْعَلِ المَعْرُوفَ مِنْ
دُونِ عِرْضِهِ يَفِرْهُ وَمَنْ
لا يَتَّقِ الـشَّتْمَ يُشْتَم
যে ব্যক্তি সৎ কর্মকে নিজ সম্মান ও সম্ভ্রমের উর্দ্ধে স্থান দেয়, সে জীবনে পূর্ণ মর্যাদা লাভ করে। আর যে ব্যক্তি নিন্দা-তিরস্কার হতে সতর্ক থাকে না সে জীবনে নিন্দা
ও সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
وَمَنْ
يَـكُ ذَا فَـضْلٍ
فَيَبْخَلْ بِفَضْلِهِ عَلَى قَـوْمِهِ
يُسْـتَغْنَ عَنْهُ
وَيُذْمَمِ
আর যে ব্যক্তি প্রচুর সম্পদশালী
হওয়া সত্ত্বেও নিজ অধীনস্থ ও জাতির লোকদের প্রতি অনুগ্রহ করতে কার্পণ্য
করে, সে (সমাজে) অপাংক্তেয় ও ঘৃণ্য ব্যক্তিতে
পরিণত হয়।
وَمَنْ
يُـوْفِ لا يُذْمَمْ
وَمَنْ يُهْدَ قَلْبُهُ إِلى مُـطْمَئِنِّ الْـبِرِّ لا
يَتَجَمْجَمِ
যে ব্যক্তি নিজ প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি
পূরণ করে সে কখনই নিন্দিত হয়
না, আর যে ব্যক্তির হৃদয় সমাহিত পুণ্যের প্রতি ধাবিত হয় (অর্থাৎ যাকে পুণ্যের পথের দিশা দেওয়া হয়) সে কখনই অস্থির
ও বিচলিত হয় না (বরং সব ক্ষেত্রেই সে স্থিরচিত্ত থাকে)।
وَمَنْ
هَـابَ أَسْـبَابَ الـمَنَايَا
يَنَلْنَهُ وَإِنْ يَرْقَ
أَسْـبَابَ السَّمَاءِ بِـسُلَّمِ
আর যে ব্যক্তি মৃত্যুর
কারণগুলোকে ভয় করে, সে যদি (সেসব থেকে বাঁচার জন্য) উচ্চ সিঁড়ি দিয়ে আকাশের তোরণ দ্বারে পৌঁছয় তবুও মৃত্যু ও তার নানাবিধ কারণ তাকে স্পর্শ করবেই।
وَمَنْ
يَجْعَلِ المَعْرُوفَ فِي
غَيْرِ أَهْلِهِ يَكُنْ حَـمْدُهُ
ذَماً عَـلَيْهِ وَيَـنْدَمِ
আর যে ব্যক্তি অনুপযুক্ত ব্যক্তির প্রতি
করুণা করে (অর্থাৎ ক্ষমার অযোগ্য ব্যক্তিকে ক্ষমা করে) তার প্রশংসা (অর্থাৎ তার
এই মহৎ গুণ ও কর্ম একদিন) তার জন্য নিন্দায় পর্যবসিত হবে আর সে (সেদিন) লজ্জা পাবে।
وَمَنْ
يَـعْصِ أَطْـرافَ الزِّجَاجِ
فَإِنَّهُ يُـطِيعُ الـعَوَالِي
رُكِّبَتْ كُلَّ لَهْذَمِ
আর যে ব্যক্তি বর্শার
নিম্নভাগের দু’ পার্শের লৌহ
ফলককে অবজ্ঞা করে, সে নিশ্চয়ই বর্শার উচ্চভাগে স্থাপিত তীক্ষ্ণ লৌহফলাকে মান্য
করে (অর্থাৎ তার তীক্ষ্ণতাকে ভয় পায়)।
وَمَنْ
لَـمْ يَـذُدْ عَنْ
حَوْضِهِ بِسِلاحِهِ يُـهَدَّمْ وَمَنْ
لا يَظْلِمِ الـنَّاسَ
يُظْلَمِ
যে ব্যক্তি অস্ত্রের সাহায্যে নিজ জলাশয়কে রক্ষা করে না, তার জলাশয়কে
শত্রুরা একদিন না একদিন ধ্বংস করবেই। আর (সমাজ
ব্যবস্থা এমনই হয়ে গেছে যে) কোনো ব্যক্তি
যদি অন্যদের উপর অত্যাচার না করে তাহলে লোকজন (তাকে দুর্বল ভেবে) তার প্রতি
অত্যাচার করবে।
وَمَنْ
يَـغْتَرِبْ يَحْسِبْ عَدُواً
صَدِيقَهُ وَمَنْ لا
يُكَرِّمْ نَـفْسَهُ
لا يُـكَرَّمِ
যে ব্যক্তি প্রবাসে
থাকে, সে নিজ শত্রুকেও
মিত্র মনে করে; আর যে
ব্যক্তি নিজেই নিজেকে সম্মান করে না তাকে অন্য
কেউ সম্মান করবে কী করে!
وَمَهْمَا
تَـكُنْ عِنْدَ أمرِيءٍ
مَنْ خَلِيقَةٍ وَإِنْ خَالَهَا
تَخْفَى عَلَى
النَّاسِ تُعْلَمِ
যখন কোনও ব্যক্তির মধ্যে কোনও সৎ প্রকৃতির বিকাশ
ঘটে, তখন যদিও সে মনে করে যে তা সাধারণের অগোচরে থাকবে, কিন্তু সকলে তা জানতে পারে।
وَكَائِن
تَرَى مِنْ صَامِتٍ
لَكَ مُعْجِبٍ زِيَـادَتُـهُ أَو
نَقْصُهُ فِي
الـتَّكَلُمِ
কোনো নীরব ব্যক্তিকে দেখে তুমি মুগ্ধ হও, তার নীরবতা তোমাকে
আনন্দ দেয়, কিন্তু যখনই সে কথা বলে তার কথার মধ্যে হয় তার বাচালতা নয়তো বা তার অক্ষমতা প্রকাশ পায়।
لِسَانُ
الفَتَى نِصْفٌ وَنِصْفٌ
فُؤَادُهُ فَـلَمْ يَبْقَ
إَلا صُورَةُ الـلَّحْمِ
وَالدَّمِ
একজন যুবকের (অর্থাৎ মানুষের) রসনা তার (অস্তিত্বের) অর্ধেক আর বাকী অর্ধেক তার হৃদয়; অতএব (রসনা ও হৃদয় ব্যতীত দেহের) অবশিষ্টাংশ কেবল রক্ত মাংসের আকৃতি।
وَإَنَّ
سَفَاهَ الـشَّيْخِ
لا حِلْمَ بَـعْدَهُ وَإِنَّ الـفَتَى
بَعْدَ الـسَّفَاهَةِ يَحْلُمِ
কোনো বৃদ্ধ ব্যক্তির মূর্খতার পর (তাঁর জন্য) আর কোনও
বিজ্ঞতার অবকাশ থাকে না; কিন্তু একজন যুবক মূর্খতার পরে জ্ঞানী হতে পারে।
سَألْـنَا
فَأَعْطَيْتُمْ وَعُدْنَا فَـعُدْتُمُ وَمَنْ أَكْثَرَ
الـتَّسْآلَ يَوْماً
سَيُحْرَمِ
আমরা যাঞ্চা করি, আর তুমি দাও;
আমরা পুনর্বার যাঞ্চা করি তুমি পুনরায় আমাদের যাঞ্চা পূরণ
করো; কিন্তু যে ব্যক্তি বার বার
ভিক্ষা চায় সে একদিন নিরাশ হবেই।
معلقة
زُهَير بن أبي سُلْمَى الْمزْنِي
أَمِنْ أُمِّ أَوْفَى دِمْنَةٌ لَـمْ تَكَـلَّمِ بِـحَوْمانَة الـدَّرَّاجِ فَالْـمُتَثَلَّـمِ
وَدارٌ لَهَـا بِالرَّقْمَتَيْـنِ كَأَنَّهَـا مَراجِيعُ وَشْمٍ في نَواشِـرِ مِعْصَـمِ
بِهَا العَيْنُ وَالأَرْآمُ يَمْشِينَ خِلْفَةً وَأَطْـلاؤُهَا يَنْهَضْنَ مِنْ كُلِّ مَجْثَمِ
وَقَفْتُ بِهَا مِنْ بَعْدِ عِشْرِينَ
حِجَّـةً فَـلأيَاً
عَرَفْتُ الـدَّارَ بَـعْدَ تَـوَهُّمِ
أَثَافِيَّ سُفْعَاً في مُعَرَّسِ مِرْجَـلٍ وَنُـؤْيَاً كَجِذْمِ الحَوْضِ لَـمْ يَتَثَلَّمِ
فَلَمَّا عَرَفْتُ الدَّارَ قُلْتُ لِرَبْعِهَـا أَلا انْعِمْ صَبَاحَاً أَيُهَا الرَّبْعُ وَاسْلَـمِ
تَبَصَّرْ خَليلِي هَلْ تَرَى مِنْ ظَعائِـنٍ تَـحَمَّلْنَ بِـالْعَلْياءِ مِنْ فَوْقِ جُرْثَمِ
جَعَلْنَ الْقَنَانَ عَنْ يَـمِينٍ وَحَزْنَـهُ وَكَمْ
بِـالقَنَانِ مِنْ مُـحِلٍّ وَمُحْرِمِ
عَلَوْنَ بِأَنْمَاطٍ عِتَـاقٍ وَكِـلَّةٍ وِرَادٍ حَوَاشِـيهَا مُشَـاكِهَةِ الـدَّمِ
وَوَرَّكْنَ في السُّوبَانِ يَعْلُوْنَ مَتْنَـهُ عَلَـيْهِنَّ دَلُّ الـنَّـاعِمِ
الـمُـتَنَعِّمِ
بَكَرْنَ بُكُورًا وَاسْتَحَرْن بِسُحْـرَةٍ
فَهُـنَّ وَوَادِي الـرَّسِّ كَالْيَدِ لِـلْفَمِ
وَفِيهِنَّ مَلْهَىً لِلَّطِيـفِ وَمَنْظَرٌ أَنِـيـقٌ لِعَـيْنِ الـنَّاظِرِ الـمُتَوَسِّمِ
كَأَنَّ فُتَاتَ الْعِهْنِ في كُلِّ مَنْزِلٍ نَزَلْنَ بِـهِ حَبُّ الْـفَنَا لَـمْ يُحَطَّمِ
فَلَمَّا وَرَدْنَ المَاءَ زُرْقَاً جِـمَامُهُ وَضَـعْنَ
عِـصِيَّ الـحَاضِرِ المُتَخَيِّمِ
ظَهَرْنَ مِنَ السُّوبَانِ ثُمَّ جَزَعْنَـهُ عَلَى كُلِّ قَـيْنِيٍّ قَـشِيبٍ وَمُـفْأَمِ
فَأَقْسَمْتُ بِالْبَيْتِ الذِّي
طَافَ حَوْلَهُ رِجَـالٌ
بَـنَوْهُ مِنْ قُـرَيْشٍ وَجُرْهُمِ
يَمِـينًا لَنِعْمَ الـسَّيدَانِ وُجِـدْتُمَا عَـلَى كُلِّ حَـالٍ مِنْ سَحِيلٍ
وَمُبْرَمِ
تَدَارَكْتُما عَبْسَاً وَذُبْـيَانَ بَـعْدَمَا تَـفَانَوْا وَدَقُّـوا بَـيْنَهُمْ عِطْرَ مَنْشَمِ
وَقَدْ قُلْتُمَا إِنْ نُدْرِكِ السِّلْمَ وَاسِعاً
بِـمَالٍ وَمَـعْرُوفٍ مِنَ الْقَوْلِ
نَسْلَمِ
فَأَصْبَحْتُمَا مِنْهَا عَـلَى
خَيْرِ مَوْطِنٍ بَـعِيدَيْن
فِيهَا مِنْ عُقُوقٍ وَمَـأْثَمِ
عَظِيمَيْنِ في عُلْيَا مَـعَدٍّ هُدِيْتُمَـا وَمَنْ يَسْتَبِحْ كَنْزَاً مِنْ المَجْدِ يَعْظُمِ
تُـعَفَّى الْـكُلُومُ بِالْمِئيِنَ فَأَصْبَحَتْ
يُـنَجِّمُهَا
مَنْ لَـيْسَ فِيهَا بِـمُجْرِمِ
يُـنَـجِّمُهَا قَوْمٌ لِـقَـوْمٍ غَـرَامَةً
وَلَـمْ يُهَرِيقُوا بَيْنَهُمْ مِلْءَ مِحْجَمِ
فَـأَصْبَحَ يَـجْرِي فِيهِمُ مِنْ تِلاَدِكُمْ مَغَـانِمُ شَتَّى مِـنْ إِفَـالٍ مُـزَنَّمِ
أَلاَ أَبْلِـغِ الأَحْلاَفَ عَـنِّي
رِسَـالَةً وَذُبْـيَانَ هَلْ أَقْسَمْتمُ كُـلَّ مُـقْسَمِ
فَلاَ تَـكْتُمُنَّ اللهَ مَا فِي نُـفُوسِكُمْ لِـيَخْفَى وَمَهْمَا يُـكْتَمِ اللهُ يَـعْلَمِ
يُـؤَخَّرْ فَيُوضَعْ فـي كِتَابٍ
فَيُدَّخَرْ لِـيَوْمِ الْحِسَابِ
أَوْ يُعَجَّلْ فَـيُنْقَمِ
وَمَا الـحَرْبُ إِلاَّ مَـا
عَلِمْتمْ وَذُقْتُمُ وَمَا هُـوَ عَنْهَا بِـالحَدِيثِ المُرَجَّمِ
مَتَـى تَـبْعَثُوهَا تَـبْعَثُوهَا ذَمِـيمَةً وَتَضْـرَ إِذَا ضَـرَّيْتُمُوهَا فَـتَضْرَمِ
فَـتَعْرُككُمُ عَرْكَ الـرَّحَى
بِـثِفَالِهَا وَتَلْـقَحْ كِشَافَاً ثُمَّ تُنْـتَجْ فَـتُتْئِمِ
فَتُنْـتِجْ لَكُمْ غِلْمَانَ
أَشْـأَمَ كُـلُّهُمْ كَأَحْمَرِ عَـادٍ ثُمَّ تُـرْضِعْ فَـتَفْطِمِ
فَـتُغْلِلْ لَكُمْ مَا لاَ تُـغِلُّ لأَهْلِهَا قُرَىً بِـالْعِرَاقِ مِنْ قَـفِيزٍ وَدِرْهَمِ
لَعَمْرِي لَـنِعْمَ الـحَيُّ جَـرَّ
عَلَيْهِمُ بِمَا لاَ يُوَاتِيهِم حُصَيْنُ بْنُ ضَمْضَمِ
وَكَانَ طَوَى كَـشْحًا عَلَى مُسْتَكِنَّةٍ فَـلاَ هُـوَ أَبْدَاهَا وَلَـمْ يَـتَقَدَّمِ
وَقَالَ سَأَقْضِي حَـاجَتِي ثُـمَّ أَتَّقِي عَـدُوِّي بِأَلْفٍ مِنْ وَرَائِـيَ مُلْجَمِ
فَشَـدَّ وَلَـمْ يُـفْزِعْ بُـيُوتاً كَثِيَرةً
لَدَى
حَيْثُ أَلْقَتْ رَحْلَهَا أُمُّ قَشْعَمِ
لَدَى أَسَـدٍ شَاكِي الـسِلاحِ
مُقَذَّفٍ لَـهُ لِبَـدٌ أَظْفَـارُهُ لَـمْ تُـقَلَّمِ
جَـرِيءٍ مَتَى يُـظْلَمْ يُعَاقِبْ بِظُلْمِهِ سَـرِيعاً
وَإِلا يُـبْدَ بِالظُّلْمِ يَـظْلِمِ
رَعَـوْا ظِـمْأَهُمْ حَتَى إِذَا
تَمَّ أَوْرَدُوا غِمَـارَاً تَـفَرَّى بِالسِّلاحِ وَبِـالدَّمِ
فَقَضَّوْا مَـنَايا بَـيْنَهُمْ
ثُـمَّ أَصْدَرُوا إِلـى كَـلإٍ مُسْـتَوْبِلٍ مُـتَوَخِّمِ
لَـعَمْرُكَ مَا جَرَّت عَلَيْهِمْ رِماحُهُمْ دَمَ
ابـنِ نَهِيكٍ أَو قَتِـيلِ الـمُثَلَّمِ
وَلا شَـارَكَتْ في الموْتِ فِي دَمِ
نَوْفَلٍ وَلا وَهَبٍ مِنْهُم وَلا ابْـنِ المُخَزَّمِ
فَكُـلاً أَراهُـمْ أَصْـبَحُوا يَـعْقِلُونَهُ صَـحِيحَاتِ
مَالٍ طَالِعَاتٍ بِمَخْرَمِ
لَحِيٍّ حِـلالٍ يَـعْصُمُ النَّاسَ
أَمْرَهُمْ إِذا
طَرَقَتْ إِحْدِى الَّـليَالِي بِمُعْظَمِ
كِرَامٍ فَلا ذُو الـضِّغْنِ يُدْرِكُ تَبْلَهُ
وَلا
الجَارِمُ الـجَانِي عَلَيْهِمْ بِمُسْلَمِ
سَئِمْتُ تَكَالِيفَ الـحَياةِ وَمَنْ يَعِشْ ثَـمَانِينَ حَوْلاً لا أَبَـا لَكَ يَـسْأَمِ
وأَعْـلَمُ مَا فِي الْيَوْمِ وَالأَمْسِ قَبْلَهُ وَلـكِنّني عَـنْ عِلْمِ مَا فِي غَدٍ عَمِ
رَأَيْتُ المَنَايَا خَبْطَ عَشْوَاءَ
مَنْ تُصِبْ تُـمِتْهُ وَمَنْ تُـخْطِىءْ يُعَمَّرْ فَيَهْرَمِ
وَمَنْ لَـمْ يُـصَانِعْ في أُمُورٍ كَثِيرةٍ يُـضَرَّسْ بِأَنْيَابٍ وَيُـوْطَأْ بِمَنْسِمِ
وَمَنْ يَجْعَلِ المَعْرُوفَ مِنْ
دُونِ عِرْضِهِ يَفِرْهُ وَمَنْ لا يَتَّقِ الـشَّتْمَ يُشْتَمِ
وَمَنْ يَـكُ ذَا فَـضْلٍ فَيَبْخَلْ بِفَضْلِهِ عَلَى قَـوْمِهِ يُسْـتَغْنَ عَنْهُ وَيُذْمَمِ
وَمَنْ يُـوْفِ لا يُذْمَمْ وَمَنْ يُهْدَ قَلْبُهُ إِلى مُـطْمَئِنِّ الْـبِرِّ لا يَتَجَمْجَمِ
وَمَنْ هَـابَ أَسْـبَابَ الـمَنَايَا
يَنَلْنَهُ وَإِنْ يَرْقَ أَسْـبَابَ السَّمَاءِ بِـسُلَّمِ
وَمَنْ يَجْعَلِ المَعْرُوفَ فِي غَيْرِ أَهْلِهِ يَكُنْ حَـمْدُهُ ذَماً عَـلَيْهِ وَيَـنْدَمِ
وَمَنْ يَـعْصِ أَطْـرافَ الزِّجَاجِ فَإِنَّهُ
يُـطِيعُ الـعَوَالِي رُكِّبَتْ
كُلَّ لَهْذَمِ
وَمَنْ لَـمْ يَـذُدْ عَنْ حَوْضِهِ
بِسِلاحِهِ يُـهَدَّمْ وَمَنْ لا يَظْلِمِ الـنَّاسَ يُظْلَمِ
وَمَنْ يَـغْتَرِبْ يَحْسِبْ عَدُواً صَدِيقَهُ وَمَنْ لا يُكَرِّمْ نَـفْسَهُ لا يُـكَرَّمِ
وَمَهْمَا تَـكُنْ عِنْدَ أمرِيءٍ
مَنْ خَلِيقَةٍ وَإِنْ
خَالَهَا تَخْفَى عَلَى النَّاسِ تُعْلَمِ
وَكَائِن تَرَى مِنْ صَامِتٍ لَكَ مُعْجِبٍ زِيَـادَتُـهُ أَو نَقْصُهُ فِي الـتَّكَلُمِ
لِسَانُ الفَتَى نِصْفٌ وَنِصْفٌ فُؤَادُهُ فَـلَمْ يَبْقَ إَلا صُورَةُ الـلَّحْمِ وَالدَّمِ
وَإَنَّ سَفَاهَ الـشَّيْخِ لا حِلْمَ بَـعْدَهُ وَإِنَّ الـفَتَى بَعْدَ الـسَّفَاهَةِ يَحْلُمِ
سَألْـنَا فَأَعْطَيْتُمْ وَعُدْنَا
فَـعُدْتُمُ وَمَنْ أَكْثَرَ الـتَّسْآلَ يَوْماً سَيُحْرَمِ