২০১৮-র
সেরা মৎস্য চাষি
দক্ষিণ দিনাজপুরের আনিসুর রহমান
আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
১০ জুলাই, ২০১৮। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এর সেন্ট্রাল
ইন্সটিটিউট অফ ফিশারিস এডুকেশন, কোলকাতা সেন্টারে আজ জাতীয় মৎস্যচাষি দিবস
(ন্যাশনাল ফিশ ফার্মারস্ ডে) বেশ আড়ম্বরের সাথে উদযাপিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন কোলকাতা সেন্টারের অফিসার ইন চার্জ ড জি এইচ পৈলান, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে,
বেলুড় মঠের স্বামী শিবপূর্ণানান্দা মহারাজ, ডব্লুবিইউএএফএস-র রেজিস্ট্রার ড এস এস
দানা প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে সেরা মৎস্য চাষি-র পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় আনিসুর
রহমানের হাতে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মৎস্য প্রজনন ও মৎস্য উৎপাদনে তাঁর অসামান্য
অবদানের জন্য জাতীয় মৎস্য চাষি দিবস ২০১৮-র এই উদযাপন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সেরা
মৎস্য চাষির এই শিরোপা তুলে দেন মন্ত্রী শ্রী সাধন পাণ্ডে মহাশয়। ইতঃপূর্বে
প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে তাঁর বিশাল কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত হয়েছেন রাজ্য ও
জাতীয় স্তরের বহু মৎস্য বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ। এমনকি পূর্বে বহু উল্লেখযোগ্য
পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১২-তে মন্ত্রী আবু হেনা
তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মীণমিত্র এওয়ার্ড। ২০১৩-তে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে
তুলে দেন সেরা মৎস্যচাষির সম্মান। ২০১৪-তে কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্নার হাত থেকে
পেয়েছেন সেরা মৎস্যচাষির শিরোপা। এছাড়া ২০১৬-তে অভিনব পন্থায় বড় মাছ চাষের ক্ষেত্রে অকল্পনীয় সাফল্য লাভের জন্য তাঁর অভিনব
কৌশলের স্বীকৃতি স্বরূপ সে-সময়ের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কাছ থেকে পেয়েছেন
সেরার তকমা।
আজকের জাতীয় স্তরের এই স্বীকৃতি তাঁকে উজ্জীবিত করেছে। আপ্লূত কণ্ঠে তিনি
জানান, “এসবের পাশাপাশি আমি ভবিষ্যতে
ছোট পুকুর বা চৌবাচাতে দামী মাছ চাষ করতে চাই। ভবিষ্যতে পুকুরের পাড়ে পশুপালনের কথাও
ভাবছি। বিশেষ করে দেশী মুরগি, হাঁস, ছাগল ও গরু পালনের কথা। যাতে করে জৈবিক
পদ্ধতিতে সুস্বাস্থ্যকর মাছ সমাজের পাতে তুলে দিতে পারি।”
No comments:
Post a Comment