আমরা দেখবো
মূল- ফায়েজ় আহ়্মাদ্
ফায়েজ়
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন
ওয়াসিম
হাম দেখেঙে- আমরা দেখবো,
নিশ্চিতরূপে, আমরাও
দেখবো
যে-দিনটার
প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে
যে-দিনটার কথা বিধির বিধানে লেখা রয়েছে
যে-দিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে অত্যাচারের বিশাল পাহাড়
উড়ে বেড়াবে বাতাসের
সাথে তুলোর মতো
আর আমরা যারা শাসিত
ও শোষিত, আমাদের পদাঘাতে
থর থর করে কেঁপে
উঠবে পৃথিবী
ক্ষমতাসীনদের মাথার উপর
তীব্র বজ্রাঘাত সহ বিদ্যুৎ চমকাবে
যে-দিন খোদার জমিন
হতে, মধ্যমণি কা’বা হতে
তানাশাহ্দের সকল
মূর্তি উপড়ে ফেলা হবে
আর আমরা যারা
বঞ্চিত-বিতাড়িত, নিষ্পাপ জনসাধারণ
আমাদেরকে বসানো হবে
ক্ষমতার অলিন্দে
সে-দিন চূর্ণ করা
হবে সকল মুকুট
উপড়ে ফেলা হবে সব
সিংহাসন
সে-দিন উচ্চারিত
হবে শুধু আল্লাহ্’র নাম
যিনি গায়েব আবার হাজির,
যিনি দৃশ্য ও চক্ষুষ্মান
এবং উচ্চারিত হবে
সমস্বরে একটাই স্লোগান—
‘আনাল্ হাক়্’
আমিই সত্য, আমিই বাস্তব
আমি, আপনি, আমরা—
আমরাই হক়্
আর সে-দিন; রাজ করবে আমজনতা
রাজ করবো আমি,
আপনি, আমরা।
['হাম দেখেঙ্গে' এই কবিতাটাকে ইদানীং কিছুজন 'মুসলিম' রূপে চিহ্নিত করে, কানপুর আই আই টি'র যে ছেলেরা ক্যা-এর বিরোধ
প্রদর্শনে গেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং পরিতাপের বিষয় এই
যে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়ে গেছে।
কবিতাটি
১৯৭৯ সালে লেখা,
জেনারেল জিয়াউল হকের তানাশাহির বিরুদ্ধে। ১৯৮৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি, আল্-হাম্রা আর্টস কাউন্সিলে
ইকবাল বানু কালো শাড়ি পরে তানাশাহির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান হিসেবে গেয়েছিলেন;
যার ফলে কবিতাটি সারা পৃথিবীতে বিশেষত এশিয়ার বহু মানুষের কাছে
বিপ্লবী গীত রূপে সমাদর লাভ করে। যদিও ১৯৮৪-তে কবি, ১৯৮৮-তে
তানাশাহ্, ২০০৯-য়ে গায়িকা ইহলোক ত্যাগ করেন; থেকে যায় কবিতাটি।
ফায়েজ একজন প্রগতিশীল কবি ও লেখক।
বামপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী বা অত্যন্ত প্রভাবিত (তাঁর রচনা ও
চেতনার আলোকে আমার তা-ই মনে হয়েছে)। কিন্তু তাঁর এই কবিতাটি নাকি 'মুসলিম'! যদিও কবিতার কোন ধর্ম হয় না। কবিতা ও
সাহিত্য ইতিহাস ও ভূগোলের সব সীমানা পেরিয়ে শুধু মানুষের আওয়াজ হিসেবে বেঁচে থাকে
যুগ যুগ ধরে।
কবি প্রত্যক্ষ সম্বোধন করেছিলেন উর্দু
ভাষী পাকিস্তানী মুসলিম সমাজকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কবিতাটিতে আল্লাহ্ ও আরও
কিছু ইসলামী পরিভাষার শব্দ রয়েছে; তবে সেগুলি গভীর
তাৎপর্যপূর্ণ এবং সিমিলি ও ম্যাটাফোরিক্যাল প্রয়োগ। তাছাড়া কবিতাটিতে 'আনাল্ হাক্'-এর উল্লেখ আছে।
এবং এটা ইসলামের মৌলিক সিদ্ধান্তের সাথে
বিসংগত। সুফি মতবাদ ছাড়া অন্যান্য চিন্তাধারার লোকেদের কাছে এটা গৃহীত নয়। মুসলিম
সমাজে মান্সুর হাল্লাজ প্রথম এর প্রয়োগ ও প্রচার আরম্ভ করেন। তবে কবিতাটির
প্রেক্ষাপটে ওই শব্দবন্ধনীর এক আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। তাই আমি
এই অসাধারণ কবিতাটি
যতটুকু বুঝেছি, বলা ভালো রচনার প্রেক্ষিত সহ এর
যেটুকু মর্ম উদ্ধার করতে পেরেছি সে-অনুযায়ী অনুবাদের চেষ্টা করেছি। ]
فیض احمد فیض
ہم
دیکھیں گے
لازم
ہے کہ ہم بھی دیکھیں گے
وہ
دن کہ جس کا وعدہ ہے
جو
لوح ازل میں لکھا ہے
جب
ظلم و ستم کے کوہ گراں
روئی
کی طرح اڑ جائیں گے
ہم
محکوموں کے پاؤں تلے
جب
دھرتی دھڑ دھڑ دھڑکے گی
اور
اہل حکم کے سر اوپر
جب بجلی کڑ کڑ کڑکے گی
جب ارض خدا کے کعبے سے
سب بت اٹھوائے جائیں گے
ہم اہل صفا مردود حرم
مسند پہ بٹھائے جائیں گے
سب تاج اچھالے جائیں گے
سب تخت گرائے جائیں گے
بس نام رہے گا اللہ کا
جو غائب بھی ہے حاضر بھی
جو منظر بھی ہے ناظر بھی
اٹھے گا انا الحق کا نعرہ
جو میں بھی ہوں اور تم بھی ہو
اور
راج کرے گی خلق خدا
جو میں بھی ہوں اور تم بھی ہو
০৬ জানুয়ারি, ২০২০
কোলকাতা- ৩৯
We Shall See
ReplyDeleteInevitably, we shall also see the day
that was promised to us, decreed
on the tablet of eternity.
When dark peaks of torment and tyranny
will be blown away like cotton fluff;
When the earth’s beating, beating heart
will pulsate beneath our broken feet;
When crackling, crashing lightning
will smite the heads of our tormentors;
When, from the seat of the Almighty
every pedestal will lie displaced;
Then, the dispossessed we; we,
who kept the faith will be installed
to our inalienable legacy.
Every crown will be flung.
Each throne brought down.
Only His name will remain; He,
who is both unseen, and ubiquitous; He,
who is both the vision and the beholder.
When the clarion call of ‘I am Truth’
(the truth that is me and the truth that is you)
will ring out, all God’s creatures will rule,
those like me and those like you.
(translated by Mustansir Dalvi)