سورة بني إسرائيل
[সূরাতু বানী ইস্রায়ীল-এর যে অংশটুকু আমাদের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত, তাতে মহান আল্লাহ দিবস ও রজনীর উল্লেখ করে দিনের আলোকিত হওয়ার কারণ স্পষ্ট করেছেন। অতঃপর মানুষকে সতর্ক করার জন্য কেয়ামত ও আমলনামার কথা আলোচনা করে সুপথে চলার ও কুপথ থেকে দূরে থাকার আদেশ দিয়েছেন। আর এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সেই মহাদিবসে কেউ কারও পাপের বোঝা বহন করবেনা। মানুষদেরকে সতর্ক করে আরও বলেছেন যে, যখন কোথাও পাপাচার বৃদ্ধি পায় সেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। আর তাই নূহ (আঃ) –এর পর বহু সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ দুই শ্রেণীর লোকের কথা উল্লেখ করেছেন। এক শ্রেণীর লোক যাদের সবকিছুই পার্থিব জগৎকে কেন্দ্র করে আবির্ভূত হয়। আল্লাহ তাদেরকে ইহলোকে যা দেওয়ার যা দেন পারলৌকিক জীবনে তাদেরকে অসহায় অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আর অপর শ্রেণীর লোক যারা পরকালকে বিশ্বাস করে এবং তার জন্য ইহকালে সৎকর্ম সম্পাদন করে আল্লাহর নিকট তারা নন্দিত ও বন্দিত। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম প্রতিদান।
পরবর্তী কিছু আয়াতে আল্লাহ মানব জাতীকে কিছু সামাজীক রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন। যথা- পিতামাতার সঙ্গে সৎ ব্যবহার করা, তাদের কোন আচরণে বিরক্তি প্রকাশ না করা। সর্বদা তাদের প্রতি বিনয়াবনত থাকা। তাছাড়া নিকটাত্মীয়দেরকে তাদের প্রাপ্য প্রদান করা। পথিক ও অভাবীদের সহায়তা প্রদান করা, অপচয় ও অপব্যয় না করা, এবং কার্পন্য না করা।
পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে আল্লাহ কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন। যথাঃ- অভাবের তাড়নায় সন্তানকে হত্যা না করা, অশ্লীল কর্ম সম্পাদন না করা, কোন নিস্পাপের প্রাণ নাশ না করা, ওজনের ক্ষেত্রে প্রতারণা না করা ইত্যাদি।
শেষের কয়েকটি আয়াতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষের উচিৎ কোন অজানা বস্তু সম্পর্কে মতামত প্রদান না করা। ভূ-পৃষ্টে ঔদ্ধত্য ভাবে বিচরণ না করা। আর আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা। অবশেষে উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহ মানুষদেরকে পুত্র সন্তান প্রদান করেছেন এবং ফেরেস্তাদেরকে নিজের কন্যা সন্তানরূপে গ্রহণ করেছেন- এ ধারণা মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়।]
وَيَدْعُ الْإِنسَانُ بِالشَّرِّ دُعَاءَهُ بِالْخَيْرِ ۖ وَكَانَ الْإِنسَانُ عَجُولًا (11) وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ آيَتَيْنِ ۖ فَمَحَوْنَا آيَةَ اللَّيْلِ وَجَعَلْنَا آيَةَ النَّهَارِ مُبْصِرَةً لِّتَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ وَلِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ وَكُلَّ شَيْءٍ فَصَّلْنَاهُ تَفْصِيلًا (12) وَكُلَّ إِنسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ ۖ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنشُورًا (13) اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَىٰ بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا (14) مَّنِ اهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ ۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۗ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبْعَثَ رَسُولًا (15)
এবং মানুষ অমঙ্গল কামনা করে যেমনভাবে মঙ্গল কামনা করে; নিশ্চয় মানুষ বড়ই অধৈর্য (১১)। নিশ্চয় আমি রাত ও দিনকে দু’টি নিদর্শন রূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর রাতের নিদর্শনকে নিশ্চিহ্ন করেছি এবং দিনের নিদর্শনকে করেছি উজ্জ্বল ও আলোকময়; যাতে তোমরা তোমাদের প্রভুর করুণা অর্থাৎ জীবিকা অনুসন্ধান করতে পারো; এবং যাতে বছরের সংখ্যা ও হিসাব জানতে পারো। আর এসব বিষয়কে আমি সবিস্তারে বর্ণনা করেছি (১২)। প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছি এবং কেয়ামতের দিন আমি তার জন্য সেসবকে একটি গ্রন্থাকারে বার (প্রকাশ) করবো। আর সে ওই গ্রন্থকে উন্মুক্ত রূপে পাবে (১৩)। (অতঃপর আমি তাকে বলবো,) তুমি তোমার আমলনামা পাঠ করো। আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট (১৪)। যারা সৎ পথ অবলম্বন করবে তারা তো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎ পথ অবলম্বন করবে। আর যারা পথভ্রষ্ট হবে তারা নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য বিপথগামী হবে। (সেদিন) কেউ অন্য কারও ভার বহন করবে না। আর আমি রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকেই শাস্তি দিই না (১৫)।
وَإِذَا أَرَدْنَا أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا (16) وَكَمْ أَهْلَكْنَا مِنَ الْقُرُونِ مِن بَعْدِ نُوحٍ ۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ بِذُنُوبِ عِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا (17)
যখন আমি কোনো জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি তখন ওই জনপদের সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে (সৎকর্ম করার) আদেশ করি; কিন্তু তারা সেখানে অসৎ কর্ম করে। ফলে তাদের প্রতি দণ্ডাজ্ঞা ন্যায়সঙ্গত হয়ে যায় এবং আমি ওই জনপদকে সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত করে দিই (১৬)। নূহ (আঃ)-এর পর আমি বহু মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি। আর তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের পাপাচারণের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট (১৭)।
مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُ فِيهَا مَا نَشَاءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا (18) وَمَنْ أَرَادَ الْآخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ كَانَ سَعْيُهُم مَّشْكُورًا (19) كُلًّا نُّمِدُّ هَٰؤُلَاءِ وَهَٰؤُلَاءِ مِنْ عَطَاءِ رَبِّكَ ۚ وَمَا كَانَ عَطَاءُ رَبِّكَ مَحْظُورًا (20) انظُرْ كَيْفَ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ وَلَلْآخِرَةُ أَكْبَرُ دَرَجَاتٍ وَأَكْبَرُ تَفْضِيلًا (21) لَّا تَجْعَلْ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتَقْعُدَ مَذْمُومًا مَّخْذُولًا (22)
যারা পার্থিব সুখ-সম্ভোগ কামনা করে আমি তাদের মধ্য থেকে যাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে দিই; তারপর তাঁর জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করে দিই। তাতে সে প্রবেশ করবে তিরস্কৃত ও বঞ্চিত হয়ে (১৮)। তবে যারা বিশ্বাসী হয়ে পরলোক কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ ভাবে চেষ্টা করে; তাদের সে-সব চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে যায় (১৯)। তোমার প্রতিপালক এদেরকে এবং ওদেরকে সকলকেই তাঁর দান দিয়ে সাহায্য করেন। আর তোমার প্রতিপালকের দান (কারো জন্যই) নিষিদ্ধ নয় (২০)। লক্ষ্য করো, আমি কীভাবে তাদের এক দলকে অপর দলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম। নিঃসন্দেহে পরলোক মর্যাদা ও শ্রেয়ত্বের বিচারে (পার্থিব জগত অপেক্ষা) শ্রেষ্ঠ (২১)। আল্লাহ্র সাথে অপর কোনো উপাস্যকে স্থির করো না। করলে তুমি নিন্দিত ও নিঃসহায় হয়ে পড়বে (২২)।
۞وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا (23) وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا (24) رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ ۚ إِن تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا (25)
তোমার প্রভু নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং মা-বাবার সাথে সৎ ব্যবহার করবে। তাদের একজন অথবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলেও তাদেরকে বিরক্তি সূচক কিছু বলবে না এবং তাদেরকে ধমক দেবে না। তাদের সাথে সম্মান সূচক নম্র কথা বলবে (২৩)। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থাকবে এবং (তাঁদের জন্য প্রার্থনা করে) বলবে, হে আমার প্রভু! তুমি তাঁদের উভয়ের প্রতি করুণা করো যেভাবে তাঁরা শৈশবে অতি যত্নে আমাকে লালনপালন করেছিলেন (২৪)। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যা আছে তা ভালো জানেন; তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হলে যারা সর্বদা আল্লাহ্ অভিমুখী আল্লাহ্ তাঁদের প্রতি ক্ষমাশীল (২৫)।
وَآتِ ذَا الْقُرْبَىٰ حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا (26) إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا (27)وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِّن رَّبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُل لَّهُمْ قَوْلًا مَّيْسُورًا (28)
আত্মীয়স্বজনকে তার প্রাপ্য দিয়ে দেবে এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। আর কোনোভাবেই কোনো কিছু অপব্যয় করো না (২৬)। নিশ্চয় যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই। এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ (২৭)। আর যদি তুমি নিজ প্রভুর নিকট হতে করুণা লাভের প্রত্যাশায় তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, তবুও তাদের সাথে নম্র ভাবে কথা বলো (২৮)।
وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَّحْسُورًا (29) إِنَّ رَبَّكَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا (30) وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ ۚ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا (31)
তোমার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে গলায় বেঁধো না অর্থাৎ কার্পণ্য করো না। আবার তাকে একেবারে খোলাও ছেড়ে দিও না অর্থাৎ অপচয় করো না। এমন করলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে যাবে (২৯)। তোমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছা তার জীবনোপকরণ বর্ধিত করেন এবং যার জন্য ইচ্ছা তা হ্রাস করেন; তিনি তাঁর বান্দাদেরকে ভালো ভাবে জানেন ও দেখেন (৩০)। তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র্য-ভয়ে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই রিজিক দিয়ে থাকি। তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ (৩১)।
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا (32) وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ ۗ وَمَن قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا فَلَا يُسْرِف فِّي الْقَتْلِ ۖ إِنَّهُ كَانَ مَنصُورًا (33) وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُ ۚ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ ۖ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا (34)
তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। কেননা ব্যভিচারিতা একটি অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ (৩২)। আল্লাহ্ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করো না। কেউ অন্যায়ভাবে নিহত হলে তার উত্তরাধিকারীকে তো আমি প্রতিশোধ গ্রহণের অধিকার দিয়েছি। কিন্তু হত্যার ব্যাপারে তারা যেন বাড়াবাড়ি না করে। তারা তো সাহায্য প্রাপ্ত হয়েছে (৩৩)। অনাথরা বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সদুদ্দেশ্য ছাড়া তাদের সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়ো না। এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে (৩৪)।
وَأَوْفُوا الْكَيْلَ إِذَا كِلْتُمْ وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا (35) وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا (36) وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّكَ لَن تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَن تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا (37) كُلُّ ذَٰلِكَ كَانَ سَيِّئُهُ عِندَ رَبِّكَ مَكْرُوهًا (38)
মেপে দেওয়ার সময় পূর্ণ মাপে দেবে এবং ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়। এটাই উত্তম ও পরিণামে উৎকৃষ্ট (৩৫)। যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই (অনুমান দ্বারা) সে বিষয়ের পিছনে পড়ো না। নিশ্চয়ই কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে (৩৬)। আর তুমি ভূপৃষ্ঠে দম্ভ ভরে বিচরণ করো না। তুমি তো কখনই পদভারে ভূপৃষ্ঠকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত সমান হতে পারবে না (৩৭)। এসবের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকট ঘৃণ্য (৩৮)।
ذَٰلِكَ مِمَّا أَوْحَىٰ إِلَيْكَ رَبُّكَ مِنَ الْحِكْمَةِ ۗ وَلَا تَجْعَلْ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتُلْقَىٰ فِي جَهَنَّمَ مَلُومًا مَّدْحُورًا (39) أَفَأَصْفَاكُمْ رَبُّكُم بِالْبَنِينَ وَاتَّخَذَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ إِنَاثًا ۚ إِنَّكُمْ لَتَقُولُونَ قَوْلًا عَظِيمًا (40)
তোমার প্রভু ওহির মাধ্যমে তোমাকে যে হিকমত (প্রজ্ঞা) দান করেছেন এগুলি তার অন্তর্ভুক্ত; তুমি আল্লাহ্র সাথে অন্য কোনো উপাস্য স্থির করো না। করলে তুমি তিরস্কৃত ও আল্লাহ্র অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত ও বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে (৩৯)। তোমাদের প্রভু কি তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান নির্ধারিত করেছেন এবং তিনি নিজে ফেরেশ্তাদেরকে কন্যা রূপে গ্রহণ করেছেন? তোমরা তো নিশ্চয়ই ভয়ানক কথা বলে থাকো (৪০)।
ভাবানুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
No comments:
Post a Comment