আব্দুল মাতিন ওয়াসিমঃ "হাঁড়িতে নুড়িপাথর ফুটছে"
“হাঁড়িতে নুড়িপাথর ফুটছে”
আব্দুল
মাতিন ওয়াসিম
শীতের প্রকোপ নেমেছে। মরুভূমির উষ্ণতা গা ঢাকা দিয়েছে লেপকাঁথায়।
ধীরে ধীরে ঘুমে আচ্ছন্ন হচ্ছে শহর। কিন্তু খলীফা উমার (রাঃ) তাঁর অভ্যাস
অনুযায়ী শয্যা ত্যাগ করলেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে টহল দিতে
আরম্ভ করলেন
মদীনার পথে পথে। হঠাৎ এক জায়গায়
বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়ালেন।
শব্দ
অনুসরণ করে কারণ খুঁজতে গেলেন। দেখলেন, এক
বিধবা মহিলার চারপাশ ঘিরে কয়েকটি বাচ্চা কাঁদছে। তারা কারা? কোথা থেকে এসেছে? আর
কাঁদছেই বা কেন? কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তিনি। তাই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন— এরা কেন কাঁদছে?
মহিলাটি
বলল— এরা ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে।
উমার
(রাঃ) দেখলেন, উনুনের
উপর একটি হাঁড়ি চাপানো। তাতে কী যেন টগবগ করে ফুটছে। জিজ্ঞেস করলেন—
হাঁড়িতে কী আছে?
মহিলাটি
উত্তর দিল— এতে কয়েকটি নুড়ি পাথর ছাড়া আর কিছুই নেই।
বাচ্চাদের এভাবে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছি, যাতে
খাবারের অপেক্ষা করতে করতে একসময় তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
এই কথা বলার পর মহিলাটি খলীফার
বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগও তুলল। এসব দেখে এবং তার কথা শুনে উমার (রাঃ)-এর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে
লাগলো।
তিনি
ছুটে গেলেন রাজকোষাগারে। সেখান থেকে আটার বস্তা ও তেল নিজ পিঠে চাপালেন। তা দেখে তাঁর দাস বলল— হুজুর, আপনি রাখেন। আমি বয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
উমার (রাঃ) উত্তর
দিলেন— খলীফা
কে? জনগণের
খেয়াল রাখার দায়িত্ব কার? আমার।
তাই আমাকেই বইতে হবে এই বোঝা। তা নাহলে কাল কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ্কে কী উত্তর দেবো?!
খলীফা উমার (রাঃ)
আটা ও তেল নিজ পিঠে করে বয়ে নিয়ে গেলেন সেখানে। অতঃপর নিজে ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালালেন। খাবার তৈরি
করে বাচ্চাদের খাওয়ালেন। তারপর মহিলাটিকে বললেন, সে যেন বায়তুল-মাল বা রাষ্ট্রীয়
কোষাগার
থেকে প্রতি মাসে তার চাহিদা
ও প্রয়োজন
অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসে।
আসসালামুয়ালাইকুম,
ReplyDeleteআপনার ফেসবুক আইডি থাকলে দিতে পারবেন? কিছু বিষয়ে জানার ছিল। প্লিজ