বি ন্দু তে সি ন্ধু
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের স্ফুরণ
উৎসর্গ
যার কনিষ্ঠা আঙুল ধরে আমার জীবনের পথ চলা শুরু, আমার
পিতা
যার
স্নেহের পরশ আমার প্রতিটি পদক্ষেপের অনুপ্রেরণা, আমার জননী
যার
মুখনিঃসৃত আখ্যান-উপাখ্যন আমার পাথেয়, আমার নানিমা
এবং সকল কর্মপ্রিয় পাঠককূলের করকমলে
অর্পিত।
শুভেচ্ছা বার্তা
পুত্রপ্রতিম
আব্দুল মাতিন ওয়াসিম একজন নিষ্ঠাবান ছাত্র। এই ক্ষুদ্র প্রয়াসেঅনুপ্রেরণামূলক
ভাবনাগুছ, উপদেশের সমাহার ওভাষার সাবলীলতাআমায় মুগ্ধ করেছে। আশা করি, স্বল্প
পরিসরে তাৎপর্যপূর্ণ উপদেশাবলীর এই মাল্যটি অন্ধকার ও হতাশ জীবনকে আলোর সন্ধান
দেবে। তার উত্তরোত্তরসাফল্য ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।
বদিউর
রাহমান
প্রোফেসর, কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয়
কিছু কথা
সকল প্রশংসা স্রষ্টার।
তাঁর ইচ্ছা ও আশীর্বাদে এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটির সম্পাদনা সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে।
অতঃপর অগণিত শান্তিরধারা বর্ষিত হোক নিখিল বিশ্বের জন্য করুণা স্বরূপ প্রেরিত
মুহাম্মাদ (সাঃ), তাঁর অনুচর ওপরিবারবৃন্দ এবং পৃথিবীর সকল ‘শান্তিকামী’ আত্মার
প্রতি।
২০১১-এর বিদায়
ও ২০১২-এর সূচনা-সন্ধিক্ষণে এক নির্মম সত্য আমার অস্তিত্ব নাড়িয়ে দিয়েছিল। না-ফেরার
দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি, ‘বাবা’ ডাকার আমার আহ্লাদ-আদিখ্যেতাকে সঙ্গে করে।
চিরতরে। তখন চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে এক ‘কলেজ পড়ুয়া’ আমি। নানান টানাপড়েনে মাঝে
মাঝে মনের অভিধানে উঁকি দিতে আরম্ভকরে আত্মহনন শব্দটিও। সৌভাগ্য আমার যে, সে-সময়ে
কিছু ‘প্রকৃত বন্ধু’ নিরন্তর সাহায্য করেছিল, তাদের বুকে ও কোপালে আঁকা বর্ণসমষ্টির
মাধ্যমে। এবং অনুপ্রাণিত করেছিল, উৎসাহ জুগিয়েছিল, প্রাণবন্ত করে তুলেছিল জীবন যুদ্ধে
টিকে থাকার ক্ষেত্রে।
জীবনের সেই
সংকটময় পরিস্থিতিতে যে প্রকৃত বন্ধুরা আমার পাশে ছিল, তারা
আর কেউ নয়;
গুটি
কতক বই। জীবনী-আত্মজীবনী-ভাবনাগুচ্ছ; শূন্য থেকে
শীর্ষে পৌঁছেছে এমন কোনো মনীষার। আত্মহননের চোখে চোখ রেখে শাসিয়ে এসেছে, তারপর
ভুবনজুড়ে খ্যতি অর্জন করেছে এমন যোদ্ধাদের। ব্যর্থতার হাজারটা সোপান ডিঙিয়ে
সাফল্যের ঠোঁটে উষ্ণ চুম্বন এঁকে দিয়েছে এমন আত্মপ্রত্যয়ীদের। আজও
আমার মননে-চিন্তনে অবাধ বিচরণ; নিত্য আনাগোনা
সেই সব মনীষাদের; ভাবনা-র মোড়কে, চিন্তা-র
রূপে,
সমাধান-এর
আবহে। সেগুলিই বর্ণ ও শব্দের জামা গায়ে দিয়ে আঙুল ও কীবোর্ডের সংগমে ভূমিষ্ঠ হয়েছে
মাঝেমধ্যে আমার ফেসবুক-ওয়ালে। সীমিত
শব্দগুচ্ছের আবহে তাৎপর্যপূর্ণ উপদেশসমূহ প্রভাবিত করেছে অনেককে। আমারও মনে হয়েছে,
এসব উপদেশ মেনে নিষ্ঠার সাথে কর্ম সম্পাদন নিশ্চিত সাফল্য নিয়ে আসবে, উভয় জীবনে
অনেকের। হয়তো এগুলো কোনোদিন কারো জন্য বাঁচার তরে রসদ, চলার
পথে পাথেয় হবে। অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে ‘বেঁচে’ থাকতে।
ইন্ধন জোগাবে জীবনের লড়াই চালিয়ে যেতে। তাই এগুলিকে একত্রে সংকলন করে একটি
পুস্তিকার রূপ দিলাম। আর নাম রাখলাম ‘বিন্দুতে সিন্ধু’, যে শব্দ বিন্দুতে রয়েছে
ভাবের সিন্ধু।
উল্লেখ্য,
ভাবের স্পষ্টতা ও শব্দের সাবলীলতার প্রতি যথাসাধ্য খেয়াল রেখেছি। যাতে অন্তর্নিহিত
ভাবনাটা সকলের জন্য উপলব্ধি করা সহজ হয়। এর পরেও মুদ্রণ বা ভাষার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি
লক্ষিত হলে পাঠকবর্গের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর যাদের
সহযোগিতা-পরামর্শ-স্নেহ-ভালোবাসা এই কাজের সাথে মিশে একাকার বিশেষতঃ আমার ‘গুরু’
প্রোফেসর বদিউর রহমান, বন্ধুবর ওবাইদ-আমিন ও স্নেহভাজন মুহাফিজ-মাকিন এবং অবশ্যই
প্রকাশক মহাশয়কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
সক
No comments:
Post a Comment