Monday 16 September 2019

মাহমুদ দারবিশঃ জেরুজালেমে



জ়েরুজ়ালেমে
মাহ্‌মুদ দার্‌বিশ, ফিলিস্তিন
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
 
জ়েরুজ়ালেমে, পুরনো প্রাচীরের ভেতোর  
আমি হেঁটে চলেছি যুগ যুগ ধরে
কোনো স্মৃতি ছাড়াই, যে স্মৃতি
নির্ভুল করে তোলে আমাকে, দিশা দেয় সুপথের;    
খানে নবী-রসুলগণ নিজেদের মাঝে
ভাগ করে নিয়েছেন আল্‌-কুদ্‌সের ইতিহাস
বেহেশতের সিঁড়ি বেয়ে তাঁরা ছুয়েছেন আকাশ
আর যখন ফিরেছেন, মিলিয়ে গেছে অন্ধকার ও হতাশা;
এখানে যে ভালোবাসা ও শান্তি পবিত্র
এবং তাদের বিচরণ অবাধ এই শহরজুড়ে।
আমি হাঁটছিলাম একটা ঢালু পথ ধ’রে
আর ভাবছিলাম, কীভাবে বিতর্ক করে বর্ণনাকারীরা
পাথরের উপর লেখা আলোর কথাগুলো নিয়ে?
আলো-লোভী পাথর থেকেই কি বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা?
আমি ঘুমের মধ্যে হাঁটি আর স্বপ্নে তাকিয়ে থাকি 
দেখি, সামনে-পেছনে পারাপার জুড়ে কোথাও কেউ নেই;
সকল আলো সকল গন্তব্য আমার

আমি হাঁটি, ভেসে বেড়াই নানা রূপে
প্রকাশিত হই অন্য ছাঁচে, আলো মেখে
শব্দগুলো অঙ্কুরিত হয় ঘাসের মতো,
যেন নব ইসায়ার (আ) মুখ নিঃসৃত বাণী—
“যদি বিশ্বাস না করো, শান্তি পাবে না তুমি”।
আমি হাঁটি অন্য রূপে, নিভৃতে আর আমার ক্ষতগুলো
ঐশ্বরিক সাদা গোলাপের মতো পবিত্র;
আমার হাত দুটো একজোড়া পায়রার মতো
ঝুলে থাকে ক্রুশের র, বয়ে চলে পৃথিবীর ভার।

আমি এখন হাঁটি না, শূন্যে ভাসি
অন্য কেউ হয়ে, আমার প্রকাশ ঘটে নানা রূপে;  
দেশ নেই, কাল নেই, তাহলে কে আমি?
আমি কেউ নই, আমি মে’রাজের উপস্থিতি মাত্র।
তবে একাকী বসে ভাবি— নবী মুহাম্মদ (সা)
কথা বলতেন যে ভাষায় সে তো আরবি
আমারই মাতৃভাষা, “তারপর কী?”
আর কী বলার আছে তোমার...?
হঠাৎ চিৎকার করে উঠল এক নারী-সিপাহী
বলল, আবার এসেছো তুমি?
আমি না তোমাকে খুন করেছিলাম?
বললাম, তুমি আমাকে হত্যা করেছিলে ঠিকই
কিন্তু আমি ভুলে গেছি সে-কথা,   
তোমার মতো, আমি মৃত্যুকে মনে রাখিনি
আমি যে ফিলিস্তিনি, কুদ্‌সের অধিবাসী

[আল্‌-আ’মাল আল্‌-জাদীদাহ্‌ আল্‌-কামেলাহ্‌, মাহ্‌মুদ দার্‌বিশ ৫১-৫২]


[এই অনুবাদটা প্রকাশিত হয়েছে মাসিক তারজুমানে আহ্‌লে হাদিস, সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংখ্যায়] 




في القدس
محمود درويش

في القدس، أَعني داخلَ السُّور القديمِ،
أَسيرُ من زَمَنٍ إلى زَمَنٍ بلا ذكرى
تُصوِّبُني. فإن الأنبياءَ هناك يقتسمون
تاريخَ المقدَّس... يصعدون إلى السماء
ويرجعون أَقلَّ إحباطاً وحزناً، فالمحبَّةُ
والسلام مُقَدَّسَان وقادمان إلى المدينة.
كنت أَمشي فوق مُنْحَدَرٍ وأَهْجِسُ: كيف
يختلف الرُّواةُ على كلام الضوء في حَجَرٍ؟
أَمِنْ حَجَر ٍشحيحِ الضوء تندلعُ الحروبُ؟
أسير في نومي. أَحملق في منامي. لا
أرى أحداً ورائي. لا أرى أَحداً أمامي.
كُلُّ هذا الضوءِ لي. أَمشي. أخفُّ. أطيرُ
ثم أَصير غيري في التَّجَلِّي. تنبُتُ
الكلماتُ كالأعشاب من فم أشعيا
النِّبَويِّ: ((إنْ لم تُؤْمنوا لن تَأْمَنُوا)).
أَمشي كأنِّي واحدٌ غيْري. وجُرْحي وَرْدَةٌ
بيضاءُ إنجيليَّةٌ. ويدايَ مثل حمامتَيْنِ
على الصليب تُحلِّقان وتحملان الأرضَ.
لا أمشي، أَطيرُ، أَصيرُ غَيْري في
التجلِّي. لا مكانَ و لا زمان . فمن أَنا؟
أَنا لا أنا في حضرة المعراج. لكنِّي
أُفكِّرُ: وَحْدَهُ، كان النبيّ محمِّدٌ
يتكلِّمُ العربيَّةَ الفُصْحَى. ((وماذا بعد؟))
ماذا بعد؟ صاحت فجأة جنديّةٌ:
هُوَ أَنتَ ثانيةً؟ أَلم أَقتلْكَ؟
قلت: قَتَلْتني... ونسيتُ، مثلك، أن أَموت.


No comments:

Post a Comment