পবিত্র আল্-ক়ুর্আনঃ
ভাবানুবাদ
জুয্উ ‘আম্মাঃ ৩০তম অধ্যায়
১০১) সূরাতু আল্-ক়ারি‘আহ্
(প্রচণ্ড করাঘাতকারী)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ১১, রুকু- ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে (শুরু করছি),তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْقَارِعَةُ
(হৃদয়ে) প্রচণ্ড করাঘাতকারী (মহাপ্রলয়);
مَا
الْقَارِعَةُ
প্রচণ্ড করাঘাতকারী (মহাপ্রলয়) কী?
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
প্রচণ্ড করাঘাতকারী (মহাপ্রলয়) সম্পর্কে তুমি কী জানো?
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
সেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মতো;
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
অতএব যার (সৎকাজের) পাল্লা ভারী হবে,
فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
সে (জান্নাতে) সুখী-জীবন যাপন করবে।
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ
কিন্তু যার (সৎকাজের) পাল্লা হালকা হবে,
فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ
তার ঠিকানা হবে হাবিয়ার ভেতর।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ
আর হাবিয়া
সম্বন্ধে তুমি কী জানো?
نَارٌ
حَامِيَةٌ
(হাবিয়া হল) অতীব প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুণ্ড!
**********************
১০২) সূরাতু আত্-তাকাসুর (ধনসম্পদের অধিক লালসা)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৮, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের লালসা ও অর্থ
সংগ্রহের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন ও উদাসীন করে রেখেছে,
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
এমনকি (এই লালসার পেছনে ছুটতে
ছুটতে) একদিন তোমরা সমাধিক্ষেত্রে পৌঁছে যাবে।
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
এটা যে অনুচিৎ; তোমরা শীঘ্রই
তা জানতে পারবে।
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
এবং এটা যে অনর্থক; তাও তোমরা অতিসত্ত্বর জেনে যাবে।
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
(মনে রাখবে) এটা কখনই কোনোভাবেই
ঠিক নয়; যদি তোমরা
(এর পরিণতি সম্বন্ধে) নিশ্চিতরূপে জানতে পারতে (তাহলে অর্থ সংগ্রহের এই অনর্থক
প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে বিরত থাকতে)!
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
(মহাপ্রলয়ের দিনে) তোমরা
অবশ্যই জাহান্নামকে দেখতে পাবে,
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
তোমরা (সেদিন) জাহান্নামকে
দিব্য প্রত্যয়ে দেখতে পাবে,
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
তারপর সেদিন তোমাদেরকে অতিঅবশ্যই
জিজ্ঞেস করা হবে (পৃথিবীতে প্রদত্ত) কল্যাণ ও স্বাচ্ছন্দ্য সম্পর্কে।
**********************
১০৩) সূরাতু আল্-‘আস়্র (সময়)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৩, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে (শুরু
করছি);তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
وَالْعَصْرِ
১) সময়ের কসম (শপথ),
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
২) নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতির
মধ্যে রয়েছে;
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
৩) শুধু তারা (ক্ষতির মধ্যে) নেই, যারা (এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্র প্রতি, আল্লাহ্র ফেরেশ্তাদের প্রতি, আল্লাহ্ কর্তৃক অবতারিত গ্রন্থসমূহ, রাসুলগণ, মহাপ্রলয়ের পর প্রতিষ্ঠিত চূড়ান্ত বিচারের দিন এবং নিয়তির ভালো ও মন্দের প্রতি) বিশ্বাস স্থাপন করে; অতঃপর সৎ কর্ম করে এবং পরস্পরকে অসিয়ত করে সত্য অনুসরণ করার, অসিয়ত করে (সত্যের পথে) ধৈর্য ধরার।
***************
১০৪) সূরাতু আল্-হুমাযাহ্
(নিন্দুক)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৯, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে (শুরু করছি); তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
১) দুর্ভোগ ও ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে নিন্দা ও কুৎসা করে;
الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
২) যারা অর্থ সঞ্চয় করে এবং সঞ্চিত অর্থ গণনা করে আগলে রাখে (তার থেকে নির্ধারিত অংশ আল্লাহ্র
পথে, মানুষের সেবায় খরচ করে না, যাকাত দেয় না, সাদ্কা করে না),
يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
৩) আর মনে করে, তাদের অর্থ-সম্পদ তাদেরকে
চিরকাল জীবিত রাখবে!
كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
৪) তা
কখনই হবে না, তারা অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হ়ুত়ামাহ্ (নিষ্পেষণকারী আগুণ)-এর মধ্যে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
৫) হ়ুত়ামাহ্
কী?— সে বিষয়ে তুমি কী জানো?
نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
৬) (হ়ুত়ামাহ্)
হল আল্লাহর
প্রজ্জ্বলিত আগুন,
الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
৭) যা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
8) সেই
আগুনে তাদেরকে
বেঁধে দেয়া হবে,
فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
৯) লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
**************
১০৫) সূরাতু আল্-ফ়ীল (হাতি)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৫, রুকু- ১
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
পরম করুণাময় অসীম
দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
১) (হে মুহাম্মদ সাঃ) তুমি কি দেখোনি, তোমার প্রভু হস্তীবাহিনীর সাথে (যে হস্তীবাহিনীটি ইয়ামেন থেকে আব্রাহা আল্-আশ্রাম-এর
নেতৃত্বে পবিত্র কা’বা ধ্বংস করতে মক্কায় এসেছিল) কীরূপ আচরণ করেছেন?
ألَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
(২) তিনি কি তাদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেননি?
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
(৩) তিনি তাদের বিরুদ্ধে
প্রেরণ করেছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি;
تَرْمِيهِمْ بِحِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلٍ
(৪) যে পাখিগুলি তাদের উপর নিক্ষেপ করছিল পোড়া
মাটির কাঁকর;
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَأْكُولٍ
(৫) এভাবেই তিনি তাদেরকে (কোনো পরিত্যাক্ত মাঠের) ভক্ষিত-চর্বিত তৃণসদৃশ করে দিয়েছিলেন।
**************
১০৬) সূরাতু ক়ুরাইশ (কোরায়েশ
বংশ)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৪, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে শুরু করছি; তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
১) কোরায়েশদের জন্য নির্বিঘ্ন যাত্রার ব্যবস্থা করার দরুন;
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ
২) শীতকালে (দক্ষিণে ইয়ামেন সহ অন্যান্য দেশে) এবং গ্রীষ্মকালে (উত্তরে সিরিয়া
সহ অন্যান্য দেশে) নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যাত্রার ব্যবস্থাপনার দরুন,
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
৩) কোরায়েশ বংশের লোকেদের
উচিৎ, তাঁরা যেন উপাসনা করে শুধুমাত্র এই কা’বা ঘরের পালনকর্তার;
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
৪) যিনি (তাঁদের
জন্য প্রাকৃতিক আবহ সহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করেছেন,) ক্ষুধার সময় আহার দিয়ে তাঁদের
ক্ষুধা দূর করেছেন এবং তাঁদেরকে যুদ্ধভীতি থেকে নিরাপদ ও মুক্ত করেছেন।
১০৭) সূরাতু আল্-মা‘ঊন (নিত্য ব্যবহার্য জিনিষপত্র)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৭, রুকু- ১
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি); তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু।
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
২) সে-ই তো এতীম
(অনাথ) শিশুকে তাড়িয়ে দেয় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে।
وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
৩) এবং উৎসাহ দেয় না
কোনো মিস্কিন (অভাবী)-কে অন্নদানে।
فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ
৪) সুতরাং ধ্বংস ও দুর্ভোগ
(অবধারিত রয়েছে) সে-সকল নামাযিদের (মোনাফেক ও দ্বিচারীদের) জন্য;
الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
৫) যারা নিজেদের
সালাতে ( নামায ও নামাযের নির্ধারিত সময় সম্পর্কে) উদাসীন ও অমনোযোগী;
الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
৬) যারা (নামায সহ
অন্যান্য পুণ্যময়) কাজগুলো করে লোককে দেখানোর উদ্দেশে;
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
৭) এবং (লবণ, চিনি, জলের মতো) নিত্য
ব্যবহার্য ছোটোখাটো জিনিষপত্র পাড়া-প্রতিবেশী সহ অন্যদেরকে দেয় না।
********************
১০৮) সূরাতু আল্-কাওসার (একটি স্বর্গীয় জলাধার)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৩, রুকু- ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ
الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে (শুরু করছি); তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
إِنَّا
أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
১) (হে মুহাম্মদ সাঃ) নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার (স্বর্গের একটি নদী বা জলাধার) প্রদান করেছি।
فَصَلِّ
لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
২) অতএব তুমি তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যেই নামায পড়ো এবং কুরবানি করো।
إِنَّ
شَانِئَكَ هُوَ
الْأَبْتَرُ
৩) আর তোমার শত্রু, যে তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ এবং বঞ্চিত হবে (উভয় জীবনে যাবতীয় কল্যাণ হতে)।
১০৯) সূরাতু আল্-কাফ়িরূন
(অবিশ্বাসীগণ)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৬, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহর নামে (আরম্ভ করছি); তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
(হে মুহাম্মদ সাঃ পৌত্তলিক এবং যারা এক আল্লাহ্, নবী,
ফেরেশতা, গ্রন্থসমূহ, মহা প্রলয় ও বিধিকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে) তুমি বলে দাও, হে অবিশ্বাসীরা!
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
তোমরা যার এবাদত-উপাসনা
করো আমি তার
উপাসনা করি না।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا
أَعْبُدُ
এবং আমি যার এবাদত করি তোমরা তার উপাসক নও।
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
এবং যার এবাদত তোমরা করছো আমি তার এবাদত করবো না।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
আর তোমরাও তার উপাসনা করবে না যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম ও কর্মফল এবং আমার জন্য আমার কর্ম
ও কর্মফল (ইসলাম ও ইসলামী নীতিমালা)।
********************
১১০) সূরাতু আন্-নাস়্র (সাহায্য)
মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৩, রুকু- ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ
الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
إِذَا جَاء
نَصْرُ اللَّهِ
وَالْفَتْحُ
(হে মুহাম্মদ
সাঃ) যখন (তোমার কাছে তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে) আল্লাহ্র সাহায্য ও (মক্কা) বিজয় আসবে
وَرَأَيْتَ النَّاسَ
يَدْخُلُونَ فِي
دِينِ اللَّهِ
أَفْوَاجًا
আর তুমি
দেখেব, মানুষ দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে (ইসলামে) প্রবেশ করছে;
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ
رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ
إِنَّهُ كَانَ
تَوَّابًا
তখন তুমি তোমার প্রভুর সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করো এবং
তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
*******************
১১১) সূরাতু আল্-লাহাব (লেলিহান
শিখা)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৫, রুকু- ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ
الرَّحِيمِ
পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
تَبَّتْ يَدَا
أَبِي لَهَبٍ
وَتَبَّ
ধ্বংস হোক (নবীজির
এক পিতৃব্য) আবু লাহাবের হাত দুটো এবং আবু লাহাব
নিজেও ধ্বংস হয়ে
যাক,
مَا أَغْنَى
عَنْهُ مَالُهُ
وَمَا كَسَبَ
তার ধন-সম্পদ এবং যা কিছু সে উপার্জন করেছে (অর্থাৎ তার সন্তানসন্ততি) কোনোকিছুই তার কোনো কাজে আসেনি (আর
সেদিনও আসবে না)।
سَيَصْلَى نَارًا
ذَاتَ لَهَبٍ
অতিসত্বর সে নিক্ষিপ্ত হবে লেলিহান
শিখায় ভরা এক অগ্নিকুণ্ডে
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ
الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও
(সেই অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হবে), যে ইন্ধন (সা’দানের
ঝাড় ও কাঁটা) বহন করে বেড়ায় (এবং সেগুলো কখনো নবীজির চলার পথে বিছিয়ে দেয় তো কখনো
নবীজির উপরে ছুঁড়ে দেয়),
فِي جِيدِهَا
حَبْلٌ مِّن
مَّسَدٍ
আর তার গলায় (পরানো হবে) খেজুরের (আঁশ দিয়ে বানানো) রশি।
********************
১১২) সূরাতু আল্-ইখ়্লাস় (বিশুদ্ধতা)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত – ৪, রুকু – ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ
الرَّحِيمِ
পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ্র নামে আরম্ভ করছি।
قُلْ هُوَ
اللَّهُ أَحَدٌ
(হে মুহাম্মদ
সাঃ) তুমি বলে দাও, তিনি আল্লাহ এক (অদ্বিতীয়);
اللَّهُ الصَّمَدُ
(বলে দাও)
আল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী নন (বরং সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী);
لَمْ يَلِدْ
وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম
দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি;
وَلَمْ يَكُن
لَّهُ كُفُوًا
أَحَدٌ
আর (বলে দাও)
কেউই তাঁর সমকক্ষ ও সমতুল্য নয়।
১১৩) সূরাতু আল্-ফ়ালাক়্ (প্রভাত)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত– ৫, রুকু – ১
بِسْمِ
اللّهِ الرَّحْمـَنِ
الرَّحِيمِ
আল্লাহ্র নামে শুরু করছি।তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
قُلْ
أَعُوذُ بِرَبِّ
الْفَلَقِ
(হে মুহাম্মদ সাঃ) তুমি
বলে দাও, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তা (আল্লাহ্)-র,
مِن
شَرِّ مَا
خَلَقَ
তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে,
وَمِن
شَرِّ غَاسِقٍ
إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
وَمِن
شَرِّ النَّفَّاثَاتِ
فِي الْعُقَدِ
জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে,
গ্রন্থিতে ফুঁ দিয়ে জাদু করে যারা
وَمِن
شَرِّ حَاسِدٍ
إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।
১১৪) সূরাতু আন্-নাস (মানবজাতি)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত– ৬, রুকু– ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি);
তিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
(১) (হে মুহাম্মদ সাঃ) তুমি বলে দাও, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানবজাতির
পালনকর্তার;
مَلِكِ النَّاسِ
(২) মানবজাতির অধিপতির;
إِلَهِ النَّاسِ
(৩) মানবজাতির (প্রকৃত) উপাস্যের;
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
(৪) প্রত্যেক আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে,
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
(৫) যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে;
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
(৬) জ্বিন এবং মানুষের মধ্য থেকে।
রক্তের স্রোতস্বিনী ধারা তাই আজও বহমান
ReplyDeleteধ্বংসের উন্মুক্ত নিনাদে!
অসাধারণ প্রতিভা নার্গিস পারভীন
ReplyDelete