মারতা আল-বানিয়া
মুনিরুজ্জামান
বাদুড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগণা
আরবী সাহিত্যের বিখ্যাত ছোটগল্পকার জুবরান খলীল জুবরান রচিত ‘মারতা আল বানিয়াহ’ নামক ছোটগল্পের নাট্যরূপ।
চরিত্রঃ মারতা,
মারতার পুত্র ফুয়াদ,
অভিভাবক – সালমান,
স্ত্রী – আসমা,
অশ্বারোহী, এবং
লেখক
প্রথম দৃশ্য
(Back ground voice) নেপথ্য কণ্ঠ
লেবানন বিশ্বের একটি অন্যতম সুন্দর ভূখণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যের অলঙ্কার। একটি মনোরম বিনোদন ক্ষেত্র। পর্যটকদের আনাগোনার কেন্দ্র। প্রাচীন সভ্যতা ও ইতিহাসের সাক্ষী। এর একপ্রান্তে ভূমধ্যসাগরের তুফান ও তরঙ্গে উদ্দাম নৃত্য। আর অন্য প্রান্তে লেবাননী পর্বতমালার তরঙ্গায়িত শৃঙ্গ ও উপত্যকা। লেবাননের রাজধানী বেইরূত তার আলো ঝলমলে সন্ধ্যার আকর্ষণে খ্যাত। মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস নামে খ্যাত এই রাজধানী শহর।
এই রাজধানীরই উপত্যকার প্রান্তে বাস করত এক অনাথা গ্রাম্য কিশোরী মারতা। শৈশবেই পিতামাতাকে হারিয়ে সে লালিতপালিত হতে থাকে এক দরিদ্র প্রতিবেশীর কাছে।
প্রত্যহ সকালে শতচ্ছিন্ন পোশাকে, নগ্নপদে সে বর্তমান অভিভাবকের গাভীগুলো নিয়ে সবুজ উপত্যকায় চরাতে যেত। তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে সে গাছের ছায়ায় বসে, পাখীদের সুরে সুর মেলাতো। তার কান্না মিশে যেত নদীর কলতানে; হিংসা করত গাভীগুলোর খাদ্যের প্রাচুর্যে। এভাবে তন্ময় হয়ে পড়ত ফুলের সমাহারে, প্রজাপতির ডানার আল্পনায়। সূর্যাস্তের পর ঘরে ফিরে এক টুকরো রুটি, শুকনো ফল ও সিরকা সহকারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত শুকনো পাতার বিছানায়।
[অভিভাবক সালমানের প্রবেশ]
সালমানঃ [উচ্চস্বরে] মারতা, অ্যাই মারতা! এখনো শুয়ে আছিস যে রাজকন্যারমতো কটা বাজে দেখেছিস ? মাঠে যেতে হবে না ? সব কাজ পড়ে আছে। ওঠ তাড়াতাড়ি।
মারতাঃ [চোখ কচলে, ভীত কণ্ঠে] হ্যাঁ, মালিক। এই তো উঠছি। [স্বগতোক্তি] আর ভালো লাগছেনা। সমস্ত জীবনটা গভীর নিদ্রায় ডুবে যেতে চাই। যেখানে স্বপ্নও আসবে না, আর ঘুমও ভাঙবেনা। তাহলে কতই না ভালো হতো। প্রতিদিনের এই যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবের মুখোমুখি হতে হতো না।
সালমানঃ [বিরক্ত কণ্ঠে] উফ্ ! ও মারতা ! এখনো শুয়ে রইলি ?
মারতাঃ হ্যাঁ এই যাচ্ছি। (আড়মোড়া ভাঙল)
[যবনিকা পতন]
দ্বিতীয় দৃশ্য
[Background voice] নেপথ্য কণ্ঠ
অসহায়া মারতার দিনগুলো এভাবেই কেটে যায়। তার আয়নার মতো স্বচ্ছ হৃদয়ে ধীরে ধীরে আবেগ-অনুভূতির সঞ্চার ঘটে, যেভাবে ফুলের গভীরে তিল তিল করে জন্ম নেয় সুগন্ধ। মারতা আখন ষোড়শী।
প্রাকৃতিক শোভায় পরিপূর্ণ হেমন্তের এক অবসন্ন দুপুরে মারতা বসেছিল ঝরনার ধারে। সে বিভোর হয়ে দেখছিল – গাছের ঝরে যাওয়া বিবর্ণ পাতাগুলো, তার সাথে বাতাসের খেলা করা – যেভাবে মৃত্যু খেলা করে মানবের আত্মার সাথে। চকিতে তার তন্ময়তার সুর কেটে যায় অচেনা কণ্ঠস্বরে।
[এ সুঠামদেহী অশ্বারোহী যুবকের আগমন]
অশ্বারোহীঃ সুন্দরী; আমি উপত্যকার মাঝে পথ হারিয়ে ফেলেছি। তুমি কি আমাকে পথ বলে দিতে পারো ?
মারতাঃ [আড়ষ্ট ভাবে] আমি তো জানি না ! তবে বাড়ি গিয়ে মনিবের থেকে জেনে আসতে পারি।
অশ্বারোহীঃ [মনে মনে] সুন্দরী; পথ তো আমি তোমাকে দেখে হারিয়েছি। [উচ্চকণ্ঠে] দাঁড়াও হে নারী; তুমি যেও না। তোমার রূপমাধুর্য্যই আমাকে এখানে টেনে নিয়ে এসেছে। তোমার ভালোবাসার স্পর্শসুখে আমি বিলীন হতে চাই। আমাকে বঞ্চিত কোরো না। তোমাকে সর্বসুখ দিয়ে আমার হৃদয়রাজ্যের রানী করে রাখব। [যবনিকা পতন]
তৃতীয় দৃশ্য
[গোধূলি লগ্ন। উপত্যকার পথ বেয়ে একাকী ফিরে আসে মারতার মনিবের গাভী। ফিরল না শুধু মারতা।]
অভিভাবকের স্ত্রী (আসমা) [উৎকণ্ঠিত স্বরে] ঃ ওগো শুনছ ? সন্ধ্যা নেমে গেল। মারতা
এখনো ফিরল না যে ? শুধু গাভীগুলো দেখলাম।
সালমানঃ বলো কী ? আচ্ছা আরেকটু দেখি। চলে আসবে। তুমি চিন্তা কোরো না।
আসমাঃ না – না, আমার কেমন ভয় করছে। তুমি একবার যাও না উপত্যকার ওদিকটায়।
সালমানঃ আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি এত করে বলছ যখন, ঘুরেই আসি।
[উপত্যকার Back drop] [উপত্যকায় গিয়ে উচ্চস্বরে ডাক দিল]
- মারতা, ও মারতা – [প্রতিধ্বনি ফিরে আসে] কোথায় গেলিরে ?
[কোনো উত্তর মেলে না। চারিদিকে শ্মশানের নীরবতা]
[স্বগতোক্তি] হায়, হায় ! কোথায় চলে গেলি রে। কী হবে এখন আমার !
[ঘরের Back drop] পটভূমি
সালমানঃ (উদ্বিগ্ন কণ্ঠে) কই গো শুনছ ? কোথায় গেলে ?
আসমাঃ হ্যাঁ হ্যাঁ বলো। কোথায় সে ?
সালমানঃ নাহ, কোথাও পেলাম না। উপত্যকা খাঁ খাঁ করছে। কারোর চিহ্ননেই।
আসমাঃ [কাঁদতে কাঁদতে] আমি একবার স্বপ্নে দেখেছিলাম সে এক হিংস্রপশুর শিকারে পরিণত হয়েছে। পশুটি তাকে ছিন্ন ভিন্ন করছে অথচ সেএকবার হাসছে, একবার কাঁদছে। আমার স্বপনই বোধ হয় সত্যি হলো।
সালমানঃ [ভগ্ন স্বরে] কেঁদো না, ধৈর্য্য ধরো। দেখি, তাকে খোঁজার আর কীউপায় আছে।
[যবনিকা পতন]
চতুর্থ দৃশ্য
বেইরুতে এক ব্যস্ত কোলাহল পূর্ণ লেন-এর পাশে লেখকের বাড়ি।পটভুমিতে ঘরের বারান্দা। আরাম কেদারা। হাতে একটি বই নিয়ে পড়ারচেষ্টায় রত লেখক। মাঝে মাঝে বাইরের হাজারো কণ্ঠস্বরে ডুবে যাচ্ছিলেন।হঠাৎ লেখকের চমক ভাঙ্ল পাশেই যেন একটি স্পষ্ট কণ্ঠস্বরে। বাজারেররকোলারব ভেদ করে যেন একটি বালকের ক্ষীণ কণ্ঠে লেখক বাস্তবের মাটিতেফিরে এলেন। তাকিয়ে দেখলেন বাচ্চা ছেলে শীর্ণ দেহ, অপাপবিদ্ধ মুখ নিয়েদাঁড়িয়ে আছে।
ফুল বিক্রেতা কিশোরঃ ফুল চাই ফুল। হরেক রকম ফুল। [লেখককে উদ্দেশ্যকরে] ফুল নেবেন বাবু ?
লেখকঃ তোমার ফুল তো সব শুকিয়ে গেছে। এ ফুল নিয়ে আমি কী করব?
কিশোরঃ একটা নিন না বাবু। অনেক্ষণ থেকে ঘুরছি। আজ কেউ নেয়নি।বিক্রি না হলে আমার অসুস্থ মায়ের জন্য খাবার কিনতে পারবোনা। নেবেন বাবু একটা ফুল ?
[লেখকের মনে দয়ার উদ্রেক হলো। তিনি ছেলেটিকে কাছেডাকলেন।]
লেখকঃ [দয়ার্দ কণ্ঠে] নাম কী তোমার?
কিশোরঃ ফুআদ।
লেখকঃ কার ছেলে তুমি?
ফুআদঃ মারতা আল বানিয়াহ্-র।
লেখকঃ আর তোমার বাবার নাম?
[‘বাবা’ শব্দ শুনে কিশোর ফুআদ শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়েথাকলো। যেন
সে তার অর্থই বোঝে না।]
লেখকঃ আচ্ছা, তোমার মা কোথায়?
ফুআদঃ আমার মা খুব অসুস্থ। সবসময় ঘরে শুয়ে থাকে।
লেখকঃ [ভাবুক হয়ে স্বগতোক্তি] আরে, এ সেই মারতা নয় তো, যার কথাআমাই উপত্যক্যা- বাসীর মুখে শুনেছিলাম? হায় ইশ্বর! তার আজ এ কীঅবস্থা। শ্যামল শান্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা গ্রাম্য বালিকা আজ শহুরে কঠিনবাস্তবের সামনে বাঁচার লড়াই করছে! [বালককে উদ্দেশ্য করে]আমি তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাকে নিয়ে যাবে?
ফুআদঃ [চোখে বিস্ময়] হ্যাঁ………… আসুন আমার সঙ্গে।
[যবনিকা পতন]
পঞ্চম দৃশ্য
পটভূমি – ১
বস্তির নোংরা আলো-আধাঁরি গলি। ইতিউতি কিছু ভয়ানক চেহারার লোক তাস, গাঁজা নিয়ে বসে আছে। অস্বস্তিকর পরিবেশ নিঃশ্বাস যেন ভারী হয়ে আসে। তারই মাঝে ফুআদকে অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছেন লেখক। বস্তির সেষ মাথায় একটি জীর্ণ কুটিরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল ফুআদ।
পটভূমি – ২
স্যাঁতস্যাঁতে ঘর। জীর্ণ দেওয়াল পতনোন্মুখ। একটি নড়বড়ে খাট। তারই একপাশে ততোধিক জীর্ণ লেপের ভিতর পড়ে আছে একটি অস্থিচর্মসার দেহ।
ফুআদঃ মা, ও মা ! তোমার সঙ্গে একজন দেখা করতে চায়।
মারতাঃ [ছেঁড়া লেপের মধ্য থেকে একটু নড়ে উঠল এক দীর্ঘশ্বাস ফেলল]
হে পথিক ! তুমি কি চাও? তুমি কি আমার বাকি জীবনটা কিনতে এসেছ?
আর নিজের অপবিত্র ইচ্ছাকে পূর্ণ করতে এসেছ? আমার নিকট থেকে তুমি চলে যাও।
এই অন্ধকার গলিতে এমন অসংখ্য মেয়ে আছে যারা পয়সার বিনিময়ে তাদের শরীর ও
মন বিকিয়ে দিতে প্রস্তুত।
আমার নিকট কতগুলি শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া কিছু নেই, যার ক্রেতা একমাত্র মৃতু এবং
কবর হল তার একমাত্র শান্তির স্থান।
লেখকঃ হে মারতা তুমি আমাকে ভয় পেওনা, কেননা আমি তোমার নিকট ক্ষুধার্থ পশুর ন্যায়
আমি লেবাননের অধিবাসী। সে বনানী সমৃদ্ধ উপত্যকায় আমি এক যুগ কাটিয়েছি। হে মারতা - ! তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পার।
মারতাঃ [এই কথা শুনে মারতা দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিল এবং কিছুক্ষণ পর বলল] –
হে মহৎ ব্যাক্তি ! আমি আপনার নিকট অনুরোধ করছি; আপনি যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ফিরে যান। কারণ এই স্থানে অবস্থান আপনাকে নিন্দা ও কুৎসায় আবৃত করে দেবে। আমার প্রতি আপনার দয়া দেখান আপনাকে অপমান ও অপদস্থ করবে।
নিশ্চয় যে দয়া আপনার অন্তরকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে তা আমার পবিত্রতাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
আপনার কাছে হাতজোড় করি আপনি এই অপবিত্র স্থান ত্যাগ করুন। আপনি ফিরে
গিয়ে সেই পবিত্র উপত্যকায় আমার নাম করবেন না। আর যদি বলতে চান তাহলে
বলবেন ; মারতাল বানিয়া মরে গেছে। তাছাড়া আর কিছুই বলবেন না।
লেখকঃ মারতা – তোমার এ করুণ অবস্থা কেমনভাবে হল......?
মারতাঃ আমি তখন ষোড়োশী। উপত্যকার একপ্রান্তে বসে উদাসীন ভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য
উপভোগ করছিলাম। আর এই সময় এক ধূর্ত অশ্বারোহী নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য
আমাকে তার কৃত্রিম ভালবাসার জালে জড়িয়ে ফেলে। কয়েকমাস সে তার মনোবাসনা
পূর্ণ করার পর আমাকে এই স্থানে রেখে পালিয়ে যায়। ততদিনে আমার দেহের ভিতরে
বেড়ে উঠেছে তার সাময়িক প্রেমের ফসল।
এছাড়াও, আমার এই দারিদ্র ও অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তার বন্ধুরা অর্থের বিনিময়ে
আমার ইজ্জত ও আত্মসম্ভ্রম কিনতে চাইল।
আহ ! কতবার আমি আমার হাত দিয়ে আমার আত্মাকে হত্যা করতে চেয়েছি। কিন্তু
বার যেন আমার মনে হয়েছে, আমার অন্যায়ের জন্য এক নিস্পপ আত্মার সামাধি-
ও আমার সাথে হবে। এই জন্য আমি এই কাজ করতে পারিনি।
লেখকঃ হে মারতা ! তুমি কুষ্ঠরোগীর মত নও, যদিও তুমি বাস করছ কবরের মত অন্ধকার
জায়গায়। তুমি অপবিত্র নও, যদিও নিয়তী তোমাকে এই অপবিত্র ব্যাক্তিদের মধ্যে
নিক্ষেপ করেছে। শরীরের ময়লা পবিত্র আত্মাকে স্পর্শ করতে পারে না, যেমনভাবে
বরফের চাই জীবন্ত বীজকে মরতে দেয় না।
হে মারতা ! তুমি নির্যাতিতা। তোমার প্রতি অত্যাচারকারী অতিনীচ স্বভাবের ও প্রচুর
সম্পদের অধিকারী, প্রাসাদের সন্তান।
মারতাঃ হে মহৎ ব্যাক্তি ! মানবরূপী ফেরেস্তা ! আপনি আমার বিপদকালীন অন্তরের ক্রন্দন ও
আমার অবহেলীত হৃদয়ের ডাক শুনেছেন।
আপনার কাছে আমার প্রার্থনা, আপনি আমাকে করুনা করুন। আপনার ডান হাত দিয়ে
আমার এই কলঙ্কিত সন্তানকে রক্ষা করুন। আপনার নিকট আমার এই অন্তিম প্রার্থনা।
অনুগ্রহ পূর্বক আপনি আমার এই ক্ষুদ্র প্রার্থনাকে ফিরিয়ে দেবেন না।
মারতাঃ [অতীক্ষীণ কণ্ঠে] – আমার শরীরের শক্তি কমে গেছে। আমি দূর্বল হয়ে পড়েছি। তবুও
এখন যেন আমার মনটা হালকা লাগছে।
হে পথিক ! আমার বুকের ভিতর কেমন যেন যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে। স্বর্গ থেকে যেন
আমার পিতা মাতা আমাকে হাতছানি দিচ্ছে। নিষ্ঠুর পৃথিবীকে বিদায় জানাবার সময়
ঘনিয়ে এসেছে।
হে পথিক ! বিদায় ! আমি পাড়ি দিলাম অনন্ত শান্তির পথে। চিরশান্তি, শান্তি...............
[কথা জড়িয়ে আসে। আঁখিদ্বয় নিমলিত হয়। মাথা হেলে পড়ে একদিকে]
ফুআদঃ [কান্নায় ভেঙে পড়ল] –
মা...... মা...... ও মা............!!!!
তুমি আমাকে একা ছেড়ে চলে গেলে? এখন আমার কি হবে?
[অশ্রসিক্ত নয়নে, অত্যন্ত বিষন্ন মনে ফুয়াদ বলতে লাগল] –
মাগো মা...............
আমার স্নেহময়ী মা
মা... গো, মা
আমার সোহাগিণী মা...।
***
এই তো সেদিন মাগো তুমি
আমায় বলেছিলে......
সঠিক পথে চলবে তুমি
যেও নাকো ভূলে...।
***
মাগো... মা.........।
আমার সোহাগিণী মা......।
***
গল্প আমায় কে শোনাবে
আমি বড় একা......
মাগো তুমি কেমনে রবে
আমায় ফেলে একা...!!!
***
মা... গো, মা......।
আমার স্নেহময়ী মা
আমারই সুখের ঠিকানা ।।
সমাপ্ত
খুব সুন্দর লাগল মনিরুজ্জমান (মুন্না)। মাতিন স্যারকে অসংখ্য ধন্নবাদ
ReplyDelete