৯৫) সূরাতু আত্-তীন (ডুমুর)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত-৮, রুকু-
১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহ্র
নামে (আরম্ভ করছি)।
وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ
শপথ তীন (ডুমুর) ও জ়াইতুন (জলপাই)-এর,
وَطُورِ سِينِينَ
শপথ সিনাই পর্বতের,
وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ
এবং শপথ এই নিরাপদ নগরী (মক্কা)-র।
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
নিঃসন্দেহে
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে;
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচু থেকে নীচু
স্তরে;
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
কিন্তু (তাদেরকে নয়) যারা (স্রষ্টার একত্ববাদ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে) বিশ্বাসী এবং সৎ
কর্মপরায়ণ, তাদের জন্য রয়েছে অশেষ পুরস্কার (অর্থাৎ জান্নাত)।
فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّينِ
তাহলে কে (বা কোন বিষয়) তোমাকে প্ররোচিত করছে কেয়ামত (প্রতিফল দিবস)-কে অবিশ্বাস ও অস্বীকার করতে?
أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ
আল্লাহ
কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক নন?
********************
৯৬) সূরাতু আল্-‘আলাক়্
(রক্তপিণ্ড)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ১৯, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি); যিনি
পরম করুণাময়, অতিদয়ালু।
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করো তোমার প্রভুর নামে; যিনি সৃষ্টি করেছেন;
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে (জোঁক-আকৃতির) এক রক্তপিণ্ড থেকে
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
পাঠ
করো,তোমার পালনকর্তা অতীব দয়ালু ও মহিমান্বিত,
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
যিনি
শিক্ষা দিয়েছেন কলমের
সাহায্যে,
عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
তিনি শিখিয়েছেন মানুষকে সে-সব বিষয় যা তারা জানত না।
كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى
সত্যিই, মানুষ বড্ড
বেশি সীমা লংঘন
করে,
أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى
এর কারণ হল, তারা
নিজেদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে।
إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى
নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার
দিকেই (সকলকে) প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى
তুমি কি তাকে (আবু জাহাল-কে) দেখেছো যে বাধা দেয়
عَبْدًا إِذَا صَلَّى
একজন বান্দা (নবী মুহাম্মদ সাঃ)-কে যখন সে নামায পড়ে (সালাত আদায় করে)?
أَرَأَيْتَ إِن كَانَ عَلَى الْهُدَى
আচ্ছা
বলো, যদি সে (মুহাম্মদ
সাঃ) সৎ পথে থাকে
أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى
এবং
আল্লাহ্ভীতি ও
সংযমশীলতার শিক্ষা
দেয়
أَرَأَيْتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلىَّ
আচ্ছা
বলো, যদি সে (আবু
জাহ্ল) মিথ্যারোপ করে (এই মহাসত্য আল্-কুর্আনকে)
এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়;
أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى
সে কি জানে না যে, আল্লাহ্ (সব কিছুই) লক্ষ্য
করেন?
كَلَّا لَئِن لَّمْ يَنتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ
কখনই নয় (সে অবশ্যই জানে)—যদি সে (অর্থাৎ আবু জাহ্ল তার সে-সব গর্হিত কাজকর্ম থেকে) বিরত না থাকে বা ফিরে না আসে, তাহলে আমি তার মস্তকের
সামনের কেশগুচ্ছ ধরে তাকে অবশ্যই টেনে-হেঁচড়ে হাজির করবো;
نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ
সেই মিথ্যাচারী, পাপী
কেশগুচ্ছ ধরে;
فَلْيَدْعُ نَادِيَه
অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক;
سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ
আমিও আহবান করবো জাহান্নামের প্রহরীদেরকে।
كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
(হে
মুহাম্মদ সাঃ) তুমি তার (অর্থাৎ আবু জাহ্ল-এর) আনুগত্য করো না— কখনই না। তুমি (আমায়) সাজ্দাহ্ (নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রণিপাত ও
ভূমিসাত্করণ) করো ও (আমার) নৈকট্য অর্জন করো।
********************
৯৭) সূরাতু আল্-ক়াদ্র (বিধিলিপি)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত-৫, রুকু-
১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহ্র
নামে (আরম্ভ করছি)!
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
নিশ্চয়
আমি এই আল্-কুরআনকে অবতীর্ণ করেছি (মহিমান্বিত)
আল্-ক়াদ্র (অর্থাৎ বিধিলিপি নির্ধারণ)-এর রাতে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
আর
আল্-ক়াদ্র এর রাত কী? তার সম্পর্কে তুমি কী জানো?
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
(এই)
আল্-ক়াদ্র এর রাতটি এক
হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম (অর্থাৎ এই রাতে আল্লাহ্র ইবাদত-উপাসনা করা, তাঁর
স্তুতি ও মহিমা গাওয়া এক হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছর চার মাস ধরে তাঁর ইবাদত-উপাসনা
করা এবং তাঁর স্তুতি ও মহিমা গাওয়ার চেয়ে
উত্তম।)।
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এই
রাতে সকল কাজের ফরমান নিয়ে ফেরেশতাগণ (আল্লাহ্র
দূতেরা) ও রূহ (জিব্রাইল
আঃ) নেমে আসেন (এই
পৃথিবীর বুকে) তাঁদের
পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
(এই
রাতে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তাঁর সৎ ও বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসে) এক প্রকার শান্তি ও নিরাপত্তা; যা
ফজর (ভোরের আলো)-এর উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
*********************
৯৮) সূরাতু আল্-বাইয়িনাহ (প্রমাণ)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত- ৮, রুকু- ১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
করুণাময় ও কৃপানিধান আল্লাহ্র নামে (আরম্ভ করছি)!
لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ
আহলে-কিতাব (খ্রিস্টান ও ইহুদি) এবং মুশ্রিকদের (পৌত্তলিকদের) মধ্যে যারা কাফের (অবিশ্বাসী), তারা নিজ মত
ও পথ ত্যাগ (করে সঠিক পথের দিকে প্রত্যাবর্তন) করবে এমনটা সম্ভব নয় যতক্ষণ না
তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসে।
رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً
(আর
সেই সুস্পষ্ট প্রমাণটি হল) আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন
রাসূল, যিনি (তাদেরকে) পাঠ করে শোনান (সকল প্রকার বাতিল ও মিথ্যার স্পর্শ হতে)
পবিত্র গ্রন্থ (আল্-কুর্আন);
فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ
যে-পবিত্র
গ্রন্থে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) বিধিনিষেধ ও বিষয়সমূহের
সঠিক ও সাবলীল বিবরণ রয়েছে।
وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَةُ
তবে
অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থের অনুসারী (ইহুদী ও খ্রিস্টান)-রা বিভ্রান্ত হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ
আসার পরেই।
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
তাদেরকে (বেশি কিছু করতে বলা
হয়নি) শুধু এটুকুই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তারা খাঁটি
মনে একনিষ্ঠ ভাবে শুধু মাত্র আল্লাহর এবাদত (উপাসনা) করবে, (কেবল
তাঁরই উদ্দেশ্যে) সালাত (নামায) প্রতিষ্ঠা করবে এবং (দীন, দরিদ্র
ও নিঃস্বদের সাহায্য করতে নির্দেশ মতো নিজ অর্থ-সম্পদের) যাকাত দেবে। এটাই সঠিক জীবন-পথ।
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ
পবিত্র গ্রন্থদ্বয়ের অনুসারী
(ইহুদী ও খ্রিস্টান) ও পৌত্তলিকদের মধ্যে যারাই (এই বিধিনিষেধগুলোকে) অস্বীকার করে
তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ী ভাবে অবস্থান করবে। তারাই সৃষ্টিকুলের মাঝে সবচেয়ে
অধম।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
তবে যারা ঈমান নিয়ে আসে
(অর্থাৎ উপাসনা, প্রভুত্ব ও যাবতীয় গুণাগুণের
ক্ষেত্রে আল্লাহ্কে একক অধিকারী ও সমকক্ষহীন রূপে বিশ্বাস করে, আরও বিশ্বাস করে তাঁর প্রেরিত রাসুলদের, ফেরেশতাদের,
গ্রন্থসমূহ, বিধিলিপি ও মহাপ্রলয়কে) এবং (জীবন
পথে) সৎ কর্ম করে, তারাই সৃষ্টিকুলের মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট ও
উত্তম।
جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ
আর
তাদের জন্য (তাদের এই সৎ কর্মসমূহের) কর্মফল ও বিনিময় স্বরূপ মহান প্রভুর নিকট
(প্রস্তুত) রয়েছে চিরকাল বসবাসের জান্নাত। যার তলদেশে নির্ঝরিণী
প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং
তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হবে। আর এসব এমন প্রত্যেকের জন্য
থাকবে যারা (জীবন পথে) নিজ পালনকর্তাকে ভয় করে চলে (অর্থাৎ তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে
চলে)।
******************
৯৯) সূরাতু আয্-যিলযাল (ভূমিকম্প)
মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত-৮, রুকু-
১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি); তিনি পরম করুণাময়, অতিদয়ালু।
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
যখন
পৃথিবীকে প্রবলভাবে (তার শেষ ভূমিকম্পে) প্রকম্পিত করা হবে,
وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
এবং
যখন পৃথিবী তার অভ্যন্তরীণ বোঝাগুলোকে বের করে দেবে।
وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
এবং মানুষ বলবে, এর কী হল?
يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
সেদিন পৃথিবী তার সকল বৃত্তান্ত (ভূপৃষ্ঠে সম্পাদিত সকল
ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ কর্ম
সম্পর্কে) বর্ণনা করবে,
بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
কারণ, তোমার প্রভু তাকে (সে-কাজের) আদেশ করবেন।
يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে অগ্রসর হবে, যাতে
তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম (এর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব) দেখানো হয়।
فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সেটুকুও সে দেখতে
পাবে
وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
এবং
কেউ অণু পরিমাণ অসৎ কর্ম করে থাকলে সেটুকুও দেখতে পাবে।
************************
১০০)
সূরাতু আল্-‘আদিয়াত (চলমান
অশ্বসমূহ)
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত-১১, রুকু-
১
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু
আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)!
وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
শপথ
অশ্বসমূহের, যেগুলি উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে,
فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
এবং
ক্ষুরাঘাতে অগ্নি বিচ্ছুরণ করে,
فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
অতঃপর
প্রভাত কালে আক্রমণ করে,
فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
এবং
আক্রমণের সময় ধুলোর বাদল উৎক্ষিপ্ত করে,
فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
তারপর
শক্র দলের অভ্যন্তরে ঢুকে
পড়ে;
إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
নিশ্চয়
(অবিশ্বাসী) মানুষেরা তাদের পালনকর্তার প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ
وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
তারা
প্রত্যেকই (নিজ কর্মকাণ্ড দিয়ে) তাদের এই অকৃতজ্ঞতা প্রমাণ করে,
وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
এবং
(তারা প্রত্যেকই) ধনসম্পদের
ভালোবাসায় একেবারেই মত্ত।
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
আচ্ছা তারা কি জানে না— (মহাপ্রলয়ের দিন) যখন কবরে যা আছে সবই উত্থিত হবে
وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
এবং
অন্তরে যা কিছু আছে অর্জন
করা হবে?
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
সেদিন তাদের পালনকর্তা তাদের
(সকল কর্মকাণ্ড) সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞাত হবেন (অতঃপর তাদের প্রত্যেককে তাদের কর্ম
অনুযায়ী কর্মফল প্রদান করবেন)।
**********************
No comments:
Post a Comment