Friday 1 November 2019

হজ্জ ও উম্‌রার ফযিলত (সুফল ও উপকারিতা)



হজ্জ ও উম্‌রার ফযিলত (সুফল ও উপকারিতা)
আব্দুল মুহসিন বিন হাম্‌ আল্‌-আব্বাদল্‌-বাদ্‌র
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম 

হজ্জ ও মরার সুফল, উপকারিতা ওযিতের বর্ণনায় রাসূল (সা) থেকে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হল
(ক) হজ্জ ও উম্‌রা পাপ মোচন করে। রাসূল (সা) বলেছেন,এক মরা থেকে আরেক মরা পালন ভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (সাগিরা) গোনাহসমূহের কাফফারাস্বরূপ আর মাব্‌রুর হজ্জ (কবুল ও স্বীকৃত হজ্জ)-এর বিনিময় জান্নাত বৈ কিছুই নয়[1] [বুখারী হা/১৭৭৩, মুসলিম হা/৩২৮৯, আবূ হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত]
(খ) হজ্জ ও উম্‌রা অভাবও দূর করে। রাসূল (সা) বলেছেন, “তোমরা হজ্জ ও মরা পালনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখো কেননা হজ্জ ও উমরা অভাব দূর করে এবং পাপ মোচন করে যেমন ভাবে হাপর লোহা, সোনারূপার ময়লা দূর করে আর মাব্‌রুর হজ্জের প্রতিদান জান্নাত বৈ কিছুই নয়[2]। [তিরমিযী হা/৮১০,ব্‌নু খুযামা হা/২৫১২, নাসায়ি হা/২৬৩১, ইবনু মাসঊদ (রা) থেকে হাদিসটি বর্ণিত এবং হাদিসটি ‘হাসান’ ইমাম নাসায়িব্‌নু আব্বাস (রা) থেকে ‘সাহিহ’ সূত্রেও হাদিসটি বর্ণনা করেছেন (হা/২৬৩০) তবে সেখানে ‘সোনারূপার’ কথা নেই এবং শেষ বাক্যটিও বর্ণিত হয়নি।] 
(গ) হজ্জ একটি অন্যতম উত্তম কাজ। এবং মেয়েদের জন্য জিহাদের দোসর। উম্মুল মুমেনীন আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত তিনি রাসূল (সা)-কে জিজ্ঞেস করলেন,হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমরা জিহাদকে উত্তম আমল (কাজ) মনে করি তাহলে কি আমরা জিহাদ করবো না? জবাবে রাসূল (সা)লেন,না! তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হচ্ছে, মাব্‌রুর হজ্জ[3] [বুখারী হা/১৫২০][4]   
বনু মাজাহ (হা/২৯০১) এবং ইবনু খুযামা (হা/৩০৭৪) উম্মুল মুমেনীন আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছে। মা আয়েশা (রা) বলেন,আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসুল! মহিলাদের উপর কি জিহাদ ফরয? তিনি (সা) বললেন,তাদের উপর জিহাদ ফরয। তবে সেই জিহাদে লড়াই নেই তাদের জিহাদ, হজ্জ ও মরা[5] 
(ঘ) হজ্জ সর্বোত্তম কাজগুলির একটি। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, একবার রাসূল (সা)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সর্বোত্তম কাজ কোন্‌টি? জবাবে তিনি বলেছিলেন আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা)-এর প্রতি ঈমান আনা (বিশ্বাস স্থাপন করা)” আবার জিজ্ঞেস করা হল, এরপর কোনটি? তিনি বললেন আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদ করা তাঁকে আবার জিজ্ঞেস করা হল, এরপর কোনটি? তিনি (সা) বললেন “ মাব্‌রুর হজ্জ[6] [বুখারী হা/২৬, মুসলিম হা/২৪৮]
(ঙ) হজ্জ পাপ মোচন করে মানুষকে সদ্যোজাত শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে তোলে। আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসূল (সা)-কে বলতে শুনেছি,যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য হজ্জ করল এবং (হজ্জের ওই সময়ে) স্ত্রী সহবাস যাবতীয় অশ্লীল কর্ম ও গালমন্দ থেকে বিরত থাকল, সে (হজ্জ থেকে) ফিরল ওই দিনের মত হয়ে যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল (অর্থাৎ সদ্যোজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে)”[7] [বুখারী হা/১৫২১, মুসলিম হা/৩২৯১]
(চ) হজ্জ প্রাক্‌-হজ্জ জীবনের সকল পাপ ধুয়ে দেয়। রাসূল (সা)ম্‌র বিন আল্‌-‘ (রা)-কে বলেছিলেন,ম্‌র! তুমি কি জানো না যে, ইসলাম তার পূর্ববর্তী সকল পাপ মুছে দেয়, হিজরত তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ধুয়ে দেয় এবং হজ্জ তার পূর্ববর্তী সকল ত্রুটিবিচ্যুতি ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেয়?[8] [মুসলিম হা/৩২১]
মাব্‌রুর হজ্জ— রাসূল (সা)-এর পদ্ধতিতে যে হজ্জ সম্পন্ন করা হয়, যাতে অশ্লীল কর্ম ও কথার সংমিশ্রণ থাকে না এবং ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকা হয়, সেটিই হচ্ছে ‘মাব্‌রুর হজ্জ’ জাবের (রা) বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, তোমরা (আমার কাছ থেকে) হজ্জের নিয়ম-কানুন শিখে নাও আমি জানি না! হয়তো এই হজ্জের পরে আমি আর হজ্জ করতে পারবো না[9] [মুসলিম হা/৩১৩৭]। ইমাম নাসায়ি (হা/৩০৬২) বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সাহিহ সনদে বর্ণনা করেছেন, হে মানবমণ্ডলী! তোমরা (আমার কাছ থেকে) হজ্জের পদ্ধতি শিখে নাও আমি জানি না, সম্ভবতঃ এই বছরের পরে আমি আর হজ্জ করতে পারবো না[10]
মাব্‌রুর হজ্জের নিদর্শন হচ্ছে, হজ্জ থেকে ফিরে হাজী সাহেব সুন্দর থেকে সুন্দরতর এবং মন্দ থেকে ভালোর পথে পা বাড়াবে কেউ যদি হজ্জের পূর্বে কোনো পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, হজ্জে গিয়ে তাকে মন থেকে তওবা করতে হবে পাপাচারিতা বর্জনের অঙ্গীকার করতে হবে। সংঘটিত পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং পুনরায় ওই পাপে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে এবং তার ওই পাপ যদি কোনো মানুষের সাথে সম্পর্কিত হয়, অবশ্যই তা মিটিয়ে নিতে হবে। এবং সেটা মিটিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি হল, যদি অর্থনৈতিক কোন বিষয় হয় এবং যার সাথে লেনদেন সে মাফ না করে, তাহলে অর্থ পরিশোধ করে দিতে হবেআর যদি মুখ বা হাত অর্থাৎ কথা বা কাজের দ্বারা কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে উল্লেখ্য যে, কাউকে কষ্ট দেওয়ার বিষয়টি যদি তার সামনে উল্লেখ করা হয় এবং তাতে হিংসা-বিদ্বেষ এবং দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি তাকে না বলেই তার কাছে সাধারণভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, তার যথোপযুক্ত প্রশংসা করতে হবে এবং তার জন্য দো‘আ ও ক্ষমা-প্রার্থনা করতে হবে এই বিধিনিষেধ ও নিয়মনীতিগুলো মেনে চলতে পারলে তার হজ্জ তার জন্য কল্যাণের দ্বার উম্মুক্ত করে দেবে এবং সে আল্লাহ্‌-ভীতি ও সরল পথে প্রতিষ্ঠিত নতুন জীবন শুরু করতে পারবে কিন্তু হজ্জের পূর্বে সে যদি কোনো মন্দ কাজে লিপ্ত থাকে এবং হজ্জের পরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, তাহলে বুঝতে হবে, তার হজ্জ কবুল হয়নি বা হজ্জের পুণ্য অর্জনে সে ব্যর্থ হয়েছে  
মনে রাখতে হবে, সালাত ও হজ্জসহ অন্যান্য সকল সৎ আমল যেসব গোনাহ্‌ মুছে দেয় সেগুলি হচ্ছে সাগিরাহ্‌ অর্থাৎ ছোটোখাটো পাপ ও ত্রুটিবিচ্যুতি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেছে— “যেসব বড় গোনাহ থেকে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, সেগুলি থেকে যদি তোমরা বেঁচে থাকো, তাহলে আমি তোমাদের (ছোটোখাটো) ক্রটি-বিচ্যুতিগুলি ক্ষমা করে দেব।[11]” [সূরা আন্‌-নিসা ৩১] এবং রাসূল (সা) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুম‘আ অপর জুম‘আ পর্যন্ত এবং এক রামাযান অপর রামাযান পর্যন্ত ছোট গোনাহসমূহের কাফফারাস্বরূপ, যদি কাবায়ের অর্থাৎ বড় গোনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়[12] [মুসলিম হা/৫৫২, আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত] এবং এও মনে রাখতে হবে যে, কাবায়ের অর্থাৎ বড় পাপগুলো তওবা ছাড়া মাফ হয় না।
সুতরাং ছোট-বড় যাবতীয় গোনাহ থেকে তওবা করে একজন হাজী সদ্যোজাত নিষ্পাপ শিশুর মত হয়ে হজ্জ থেকে ফেরার মহা সাফল্য অর্জন করতে পারে পক্ষান্তরে কেউ তওবা না করে যদি পাপ করে অথবা পাপ করার সংকল্প করে, তাহলে তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, কৈফিয়ত তলব করা হবে আল্‌-কুরআনে রয়েছে, “যে ব্যক্তি কোনো সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ বিনিময় পাবে কিন্তু যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করবে, সে শুধু ওই কাজেরই শাস্তি পাবে এবং তাদের প্রতি (বিন্দু মাত্র) অন্যায় করা হবে না”[13] [সূরা আল্‌-আন‘আম ১৬০]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইব্‌নু কাসীর (রাহ) বলেছেন, ‘পাপ বর্জনকারীরা তিন ধরনের। প্রথম— যারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই পাপ বর্জন করে যেহেতু তারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি জন্য পাপ বর্জন করে তাই তাদের আমলনামায় (কৃতকর্মের তালিকায়) নেকী (পুণ্য) লেখা হ কারণ এক্ষেত্রে তাদের আমল এবং নিয়েত উভয়ই রয়েছে একটি সাহিহ হাদিসে বর্ণীত হয়েছে, সে আমার জন্য পাপ বর্জন করেছে[14] দ্বিতীয় যারা ভুলবশতঃ বা অন্যমনস্ক হয়ে পাপ বর্জন করে তারা তার কোনো বিনিময় পাবে না। অর্থাৎ সেই পাপ বর্জন করার ফলে না তাদের নেকী হবে আর না পাপ। কারণ তারা ওই পাপ বর্জনের ক্ষেত্রে কল্যাণের কোনো নিয়েত বা সংকল্প করেনি। অন্যদিকে, মন্দ কাজটাও সম্পাদন করেনি তৃতীয়— যারা পাপ কাজের চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে অথবা অক্ষমতা ও অলসতার কারণে পাপ কাজ বর্জন করে। এরা পাপ বর্জন করা সত্ত্বেও পাপ সম্পাদনকারীর মতো রাসূল (সা) বলেছেন, “দু’জন মুসলিম ব্যক্তি তরবারী নিয়ে লড়াইয়ে লিপ্ত হলে তারা দু’জনেই অর্থাৎ হত্যাকারী এবং নিহত উভয়ই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবেসাহাবায়ে কেরাম (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্‌র রাসূল! হত্যাকারীর বিষয়টিতো স্পষ্ট কিন্তু নিহত ব্যক্তি কেন জাহান্নামে যাবে? রাসূল (সা) বললেন, কারণ নিহত ব্যক্তিও হত্যাকারীকে হত্যা করার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল[15] [বুখারী হা/৩১, মুসলিম হা/৭২৫৩, আবূ বাকরাহ্‌ নুফাই বিন আল্‌-হারিস (রা) থেকে বর্ণিত]


[1]
الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا، وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ
[2]
تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ؛ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِى الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ
[3]
يَا رَسُولَ اللَّهِ! نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ، أَفَلَا نُجَاهِدُ؟ قال: لَا، لكُنَّ أَفْضَلُ الْجِهَادِ: حَجٌّ مَبْرُورٌ
[4] হাফেয ইবনু হাজার (রাহ) ফাতহুল বারীতে (৩/৩৮২) লিখেছেন, অধিকাংশ বিদ্বান (لكُنَّ)-এর ‘কাফ’ (كُ) বর্ণে পেশ দিয়ে পড়েছেন শব্দটি মহিলাদের সম্বোধন সূচক পদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে তবে ‘কাফ’ (كِ) বর্ণে যের দিয়ে এবং ‘কাফ’-এর পূর্বে একটি অতিরিক্ত আলিফ যোগেও শব্দটি পড়া হয়েছেসেক্ষেত্রে এটি ‘ইস্‌তিদ্‌রাক’ (استدراك) বা প্রতিকার অর্থে ধরা হবে অতঃপর ইবনু হাজার লিখেছেন, পেশ দিয়ে পড়লে শব্দটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে কেননা এক্ষেত্রে শব্দটিতে একদিকে যেমন হজ্জের ফযিলত সাব্যস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে মা আয়েশা (রা)-এর জিহাদ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবও হচ্ছে” তাছাড়া শব্দটি ‘ইস্‌তিদ্‌রাক’ অর্থে ব্যবহৃত হলে হাদিসটি থেকে এ ভাবনাও তৈরি হতে পারে যে, হজ্জ জিহাদের চেয়ে উত্তম আর এমন ভাবনা আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদিসের ভাব ও অর্থের সম্পূর্ণ বিপরীত অতএব, এই যুক্তিও ইবনু হাজার (রাহ)-এর অভিমতকে সমর্থন করে (লেখক)   
[5]
قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ! هَلْ عَلَى النِّسَاءِ مِنْ جِهَادٍ؟ قال:  عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لاَ قِتَالَ فِيهِ: الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ
[6]
أي العمل أفضل؟ قال: إيمان بالله ورسوله، قيل: ثم ماذا؟ قال: الجهاد في سبيل الله، قيل: ثم ماذا؟ قال: حج مبرور
[7]
مَنْ حَجَّ لِلَّهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
[8]
أَمَا عَلِمْتَ -يا عمرو! - أَنَّ الإِسْلاَمَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَأَنَّ الْهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا وَأَنَّ الْحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ؟
[9]
لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ؛ فَإِنِّى لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِى هَذِهِ
يا أيها الناس! خذوا مناسككم فإني لا أدري لعلي لا أحج بعد عامي هذا 
إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ
الصلوات الخمس، والجمعة إلى الجمعة، ورمضان إلى رمضان، مكفّرات ما بينهن إذا اجتنبت الكبائر
مَن جَآءَ بِٱلۡحَسَنَةِ فَلَهُۥ عَشۡرُ أَمۡثَالِهَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجۡزَىٰٓ إِلَّا مِثۡلَهَا وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ
فإنه تركها من جرّائي
إذا التقى المسلمان بسيفهما فالقاتل والمقتول في النار، قالوا: يا رسول الله! هذا القاتل، فما بال المقتول؟ قال: إنه كان حريصا على قتل صاحبه

No comments:

Post a Comment