হজ্জ ও উম্রা ওয়াজিব হওয়ার শর্তসমূহ
আব্দুল মুহসিন বিন হাম্দ আল্-আব্বাদ আল্-বাদ্র
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
হজ্জ এবং উম্রা প্রত্যেক (১) মুসলিম, (২) বোধশক্তি
সম্পন্ন, (৩) প্রাপ্ত বয়ষ্ক, (৪) স্বাধীন এবং (৫) সমর্থ্য
ব্যক্তির উপর ফরয। মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও একটি (৬ষ্ঠ) শর্ত হল, কোনো মাহ্রাম পুরুষ থাকতে হবে, যে ওই মহিলাকে সফরে সঙ্গ দেবে। সুতরাং—
(১) ইসলাম গ্রহণের
পূর্বে কোনো অমুসলিম ও অবিশ্বাসীর জন্য হজ্জ ও উমরা ফরয নয়; এবং তাদের কেউ যদি কাফের অবস্থায় হজ্জ বা উমরা আদায় করে তা শুদ্ধ হবে না। কারণ, একজন
অবিশ্বাসীর জন্য সর্বপ্রথম আদেশ হল শরীয়তের উসুল অর্থাৎ ঈমান আনা। যদিও মৌলিক বিষয়ের
সাথে শরীয়তের অন্যান্য আদেশনিষেধগুলি তাদের উপর বর্তায় কি না সে-বিষয়ে বিতর্ক ও মতানৈক্য রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, তারা মৌলিক বিষয়ের অনুগামী
হয়ে শরীয়তের অন্যান্য বিধিনিষেধ পালনেরও আদেশপ্রাপ্ত। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আর মুশরিকদের (অংশীবাদীদের) জন্য রয়েছে দুর্ভোগ, যারা যাকাত দেয় না এবং পরকালকে অস্বীকার করে।”[1] [সূরা ফুস্সিলাত ৬-৭]।
অন্য এক আয়াতে, সাকার জাহান্নামে কাফের ও অবিশ্বাসীদের নিক্ষিপ্ত হওয়ার
কারণ স্বরূপ তাদেরই বক্তব্য তুলে ধরে আল্লাহ
বলেছেন, “তারা বলবে, আমরা সালাত আদায় করতাম না, অভাবগ্রস্তকে
আহার্য্য দিতাম না। সমালোচকদের সাথে সমালোচনা
করতাম। প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। এবং এ অবস্থাতেই একদিন আমাদের মৃত্যু হল।”[2] [সূরা আল্-মুদ্দাস্সির ৪৩-৪৭]। অন্য এক জায়গায় বলেছেন, “সে বিশ্বাস করেনি এবং সালাত আদায় করেনি। উপরন্তু মিথ্যারোপ করেছে এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে।”[3] [সূরা আল্-ক্বিয়ামাহ্ ৩১-৩২]।
শরীয়তের ‘ফুরূ’ অর্থাৎ অ-মৌলিক
বিষয়ে তাদেরকে সম্বোধন করার অর্থ হল, উসূল (মৌলিক) এবং ফুরূ (গুরুত্বপূর্ণ তবে
মৌলিক নয়) ত্যাগ করার কারণে তাদেরকে অতিরিক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। অতএব মুসলিমরা যেমন জান্নাতে
মর্যাদার দিক থেকে সকলে সমান হবে না, ঠিক তেমনই কাফের ও অবিশ্বাসীরাও
জাহান্নামে নিম্ন ও কঠিন স্তরে
অবস্থানের দিক থেকে সমান হবে না। এবং অবিশ্বাস ও অস্বীকারের ধরন বিভিন্ন হওয়ার দরুন জাহান্নামে তাদের অবস্থানও ভিন্ন হবে। যেমন, মুনাফিক্ব (দ্বিচারী), অগ্নিউপাসক ও ইহুদি-খ্রিস্টানদের
কুফ্র ও অবিশ্বাস ভিন্ন রকম। এমনকি আল্লাহ্র পথে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করার
ব্যাপারেও তারা পরস্পরের থেকে ভিন্ন স্তরের এবং ভিন্ন ধরণের। সেজন্যই মহান আল্লাহ বলেছেন, “যারা অস্বীকার করেছে এবং
আল্লাহ্র পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদের জন্য আযাবের পর আযাব বাড়িয়ে দেব। কারণ, তারা বিপর্যয় ও অশান্তি সৃষ্টি করত।”[4] [সূরা আন্-নাহ্ল ৮৮]। এই আয়াতে তাদের জন্য শাস্তি বৃদ্ধির
কারণ স্বরূপ তাদের বিপর্যয় সৃষ্টি করাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাফেয ইব্নু কাসীর (রাহ) বলেছেন, “অর্থাৎ তাদেরকে তাদের অবিশ্বাসের কারণে শাস্তি দেওয়া হবে, অতঃপর লোকজনকে সঠিক পথ থেকে বিরত রাখা এবং বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করার কারণে দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে”।
মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেছেন, “যারা ঈমান আনার পর অবিশ্বাস করে এবং তাদের অবিশ্বাস দিনদিন
বৃদ্ধি পায়, তাদের তওবা কখনই কবুল হবে না। তারাই পথভ্রষ্ট।”[5] [সূরা আলে ইমরান ৯০]। অন্য এক আয়াতে রয়েছে, “যারা অস্বীকার করে এবং অত্যাচার করে, আল্লাহ কখনই তাদেরকে ক্ষমা করবেন না
এবং সরল পথ দেখাবেন না। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস করবে অনন্তকাল।”[6] [সূরা আন্-নিসা ১৬৮-১৬৯]।
(২) কোনো পাগল বা বোধশক্তিহীন মানুষ হজ্জ ও উমরা পালনের আদেশের অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ কোনো পাগল হজ্জ ও উমরা করতে গেলে হতবুদ্ধি বা বোধহীন হওয়ার কারণে তার পক্ষে শুদ্ধ ও সঠিক ভাবে হজ্জ
ও উমরার নিয়মনীতি পালন করা প্রায় অসম্ভব। রাসূল (সা) বলেছেন, “তিন শ্রেণীর মানুষজনের উপর থেকে কলম
উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ তাদের উপর বিধিনিষেধ বর্তায় না। (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না
তার ঘুম ভাঙ্গে। (২) অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক
ছেলে-মেয়ে, যতদিন না প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়ে যায়। (৩) পাগল, যতদিন না সে
বিবেক-বুদ্ধি ফিরে পায়।”[7] [আবূ দাঊদ হা/৪৪০৩, হাদিসটি আলী (রা)
থেকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সাহিহ সূত্রে বর্ণিত, মা আয়েশা (রা) এবং
ইব্নু আব্বাস (রা)
থেকেও এ মর্মে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।]
(৩) অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক
বালক-বালিকা এবং (৪) দাসের উপরেও
হজ্জ-উমরা ওয়াজিব নয়। তবে তারা যদি হজ্জ-উম্রা আদায় করে, তাহলে তা শুদ্ধ হবে, তবে তা নফল (ঐচ্ছিক) গন্য হবে। এবং যারা তাদেরকে হজ্জ ও উমরা করিয়েছে, বা তার
বন্দোবস্ত করেছে তারা সওয়াব পাবে। ইব্নু আব্বাস (রা) থেকে
বর্ণীত। বলেছেন, “এক মহিলা নিজ বাচ্চাকে উঁচু
করে ধরে বললেন, হে আল্লাহ্র
রাসূল! এর কি হজ্জ হবে? রাসুল (সা) বললেন, হ্যাঁ! আর তুমি নেকী পাবে।”[8] [মুসলিম হা/৩২৫৪]। ইমাম বুখারী
সায়েব বিন ইয়াযীদ (রা)
থেকে বর্ণনা করেছেন। সায়েব (রা) বলেছেন, “আমার বয়স তখন সাত বছর, রাসূল (সা)-এর সাথে আমাকে হজ্জ করানো হয়েছিল।”[9] [বুখারী হা/১৮৫৮]।
তাদের পক্ষ থেকে হজ্জ-উমরা শুদ্ধ হলেও বালক-বালিকার প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ার পর এবং দাসের মুক্তির পাবার পর সামর্থ্যবান হলে তাদেরকে আবার হজ্জ-উম্রা আদায় করতে হবে। ইব্নু আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন, “আমার কাছ থেকে (এই কথাগুলো) তোমরা
মুখস্থ করে নাও। তবে বলো না যে, ইবনে আব্বাস
বলেছেন। (কথাগুলো এই যে) কোনো দাসকে তার মনিব হজ্জ করালে, মুক্তি পাবার পর ওই দাসের উপর আবার তা ওয়াজিব ও
অপরিহার্য হবে। অনুরূপভাবে
কোনো অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ছেলে-মেয়েকে তার পরিবার বাল্য অবস্থায় হজ্জ করালে প্রাপ্ত বয়ষ্ক
হওয়ার পর তার উপর আবার হজ্জ ওয়াজিব হবে।”[10] [ইব্নু আবী শায়বাহ্, হা/১৪৮৭৫, সনদ ‘সাহীহ’, উল্লেখ্য যে ইবনু
আবী শায়বাহ্ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তাদ
এবং তাঁর সনদ তাঁদের শর্তের অনুরূপ, ইমাম বায়হাক্বী মারফূ
সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ৪/৩২৫]। ইব্নু আব্বাস (রা)-এর
উক্তি “আমার কাছ থেকে তোমরা
মুখস্থ করে নাও। তবে বলো না যে, ইব্নু আব্বাস বলেছেন” প্রমাণ করে যে, হাদিসটি রাসূল (সা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিত।
(৫) হজ্জ ও উমরার ক্ষেত্রে
সামর্থ্যবান বলে শারীরিক ও আর্থিক উভয়
সামর্থ্যকে বোঝানো হয়েছে। মহান আল্লাহ
বলেছেন, “আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে, তার উপর আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য (কা’বা) ঘরের হজ্জ করা ফরয।”[11] [সূরা আলে ইমরান ৯৭]। অতএব, বার্ধক্য জনিত
কারণে অথবা ভীষণভাবে অসুস্থ, এত অসুস্থ যে সুস্থ হওয়ার তেমন আশা নেই, এমন অসুস্থতার
কারণে কেউ হজ্জ ও উমরা করতে অক্ষম ও অপারগ হলে তার
উপর হজ্জ-উম্রা ওয়াজিব
নয়। অনুরূপভাবে কেউ শারীরিক ভাবে সমর্থ্য কিন্তু
অর্থ নেই এমন ব্যক্তির উপরেও হজ্জ-উমরা ওয়াজিব নয়। তবে শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তির নিকট অর্থ থাকলে তার জন্য বদলি হজ্জ ও উম্রার একটি পৃথক বিধান ও নির্দেশ রয়েছে। অর্থাৎ নিজ
অর্থ দিয়ে সে অন্য কোনো ব্যক্তিকে নিজের বদলে হজ্জ করাবে। এবং বদলী হজ্জ বা উমরা পালনের জন্য সে এমন কোনো
ব্যক্তিকে চয়ন করবে যে পূর্বে হজ্জ-উম্রা আদায় করেছে। আবূ রাযীন উক্বায়লী (রা) রাসূল (সা)-এর নিকটে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার পিতা বৃদ্ধ মানুষ। তিনি হজ্জ, উমরা বা সফর করতে সক্ষম নন। রাসূল (সা) বললেন, “তুমি তোমার
পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ এবং উমরা আদায় করো।”[12] [হাদিসটি ‘হজ্জ ও উমরার অপরিহার্যতা’
অণুচ্ছেদে উল্লেখিত হয়েছে, তিরমিযি ৯৩০]। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ফাযল ইব্নু আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন, “বিদায়
হজ্জের বছর খাস্‘আম গোত্রের এক
মহিলা এসে বলল, “হে আল্লাহ্র
রাসূল! আমার বৃদ্ধ পিতার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে। কিন্তু তিনি সফর করতে সক্ষম নন। আমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করে দিলে কি তা তার পক্ষ থেকে
আদায় হয়ে যাবে? রাসুল (সা) বললেন, “হ্যাঁ।”[13] [বুখারী হা/১৮৫৪, মুসলিম হা/৩২৫২]। হাদিসটি এও প্রমাণ করে যে, পুরুষের পক্ষ থেকে মহিলাও বদলী হজ্জ করতে পারে।
এছাড়া, কেউ যদি আর্থিক
সামর্থ্য থাকা অবস্থায় মারা যায় তাহলে তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে হজ্জের খরচের সমপরিমাণ অর্থ
নিয়ে হজ্জ করেছে এমন কাউকে দিয়ে বদলী হজ্জ করাতে হবে। বুরায়দাহ্ ইবনুল্ হাসীব (রা) বর্ণীত একটি
হাদিসে এসেছে, “এক মহিলার মা মারা গেল। মহিলাটি রাসূল (সা)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার মা কখনও হজ্জ করেননি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করবো? রাসুল (সা) বললেন, হ্যাঁ, তার পক্ষ থেকে হজ্জ করো।”[14] [মুসলিম হা/২৬৯৭]
(৬) কোনো মহিলা শারীরিক ও আর্থিক ভাবে সমর্থ্য। তবে তার সাথে হজ্জে যাওয়ার মতো কোনো মাহরাম নেই। তাহলে তাকে হজ্জের সামর্থ্যবান গণ্য করা হবে না। রাসূল (সা) বলেছেন, “মাহরাম পুরুষের সঙ্গ ছাড়া কোনো মহিলা সফর করবে
না। কোনো পুরুষ কোনো মহিলার নিকটে
তার মাহরামের অনুপস্থিতিতে যাবে না। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল! আমি অমুক সৈন্য দলের সাথে যুদ্ধে যেতে চাই, কিন্তু আমার
স্ত্রী হজ্জে যেতে চায়? রাসূল (সা) বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে যাও।”[15] [বুখারী হা/১৮৬২, মুসলিম হা/৩২৭২, ইব্নু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত]।
এই হাদিসে রাসূল (সা) প্রশ্নকারীকে
যুদ্ধ ছেড়ে তার স্ত্রীর সাথে হজ্জের সফরে যেতে বললেন। তবে কোনো মহিলা মাহরাম ছাড়া হজ্জ করলে তার হজ্জ শুদ্ধ হবে। তবে মাহরাম
ছাড়া সফর করার কারণে সে গোনাহগার হবে। কেননা মাহরাম সঙ্গে থাকা হজ্জ ওয়াজিব হওয়ার শর্ত। হজ্জ শুদ্ধ
হওয়ার শর্ত নয়। অবশ্য
মক্কাবাসী কোনো মহিলা নিরাপদ ও বিশ্বস্ত যে কোনো সফরসঙ্গীর সাথে হজ্জ করতে পারে। কেননা মক্কা থেকে হজ্জ করলে কোনো সফরের প্রয়োজন পড়ে না। অতএব সেক্ষেত্রে মাহরামেরও কোনো
প্রশ্ন আসে না।
মনে রাখতে হবে যে, একজন মহিলার মাহরাম হচ্ছে তার স্বামী এবং এমন পুরুষ যার সাথে ওই মহিলার বংশ ও অন্য যে
কোনো বৈধ সূত্রে
স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম। বংশ সূত্রে স্থায়ী মাহরাম পুরুষ যেমন পিতা, পুত্র, ভাই, চাচা এবং মামা। এছাড়া অন্য যে দু’টি ‘বৈধ সূত্রে’ কেউ স্থায়ী মাহরাম হতে পারে সেগুলি হল— (১) রিযা‘আত বা দুগ্ধপান সম্পর্কিত সূত্র, যেমন দুধ সম্পর্কের পিতা, ছেলে, ভাই, চাচা এবং মামা। (২) বৈবাহিক সূত্র, যেমন শ্বশুর, নিজ স্বামীর অন্য পক্ষের ছেলে, বিপিতা (অর্থাৎ সৎ-পিতা, মায়ের অন্য স্বামী) যার সাথে মায়ের মিলন ঘটেছে এবং জামাই (কন্যার স্বামী)।
“বৈধ সূত্র” বলে নিজ স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেনা বা কুকর্মের অভিযোগ এনেছে এমন স্বামীকেও (অর্থাৎ লি‘আনের মাধ্যমে পৃথক হয়ে গেছে এমন স্বামীকে) মাহরামের
তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কেননা অভিযুক্ত স্ত্রী ওই স্বামীর জন্য চিরদিনের জন্য হারাম হবে এবং ওই পুরুষ আর তার মাহরাম হতে পারবে
না। এছাড়া যেসব পুরুষ কোনো মহিলার জন্য অস্থায়ীভাবে হারাম তারা
মাহরাম হতে পারবে না। যেমন স্ত্রীর বোন, তার ফুফু (পিসি), তার খালা (মাসি), স্ত্রীর ভাই ও বোনের মেয়ে। মনে রাখতে হবে,
শুধু এমন পুরুষই কোনো মহিলার মাহরাম বলে গণ্য হবে যার সাথে ওই মহিলার বিবাহ চিরদিনের জন্য হারাম।
﴿وَوَيۡلٞ لِّلۡمُشۡرِكِينَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ
وَهُم بِٱلۡأٓخِرَةِ هُمۡ كَٰفِرُونَ﴾
﴿ قَالُواْ لَمۡ نَكُ مِنَ ٱلۡمُصَلِّينَ وَلَمۡ نَكُ نُطۡعِمُ
ٱلۡمِسۡكِينَ وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ ٱلۡخَآئِضِينَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوۡمِ
ٱلدِّينِ حَتَّىٰٓ أَتَىٰنَا ٱلۡيَقِينُ﴾
﴿ فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ﴾
﴿ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّواْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ زِدۡنَٰهُمۡ
عَذَابٗا فَوۡقَ ٱلۡعَذَابِ بِمَا كَانُواْ يُفۡسِدُونَ﴾
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بَعۡدَ إِيمَٰنِهِمۡ ثُمَّ
ٱزۡدَادُواْ كُفۡرٗا لَّن تُقۡبَلَ تَوۡبَتُهُمۡ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ
ٱلضَّآلُّونَ﴾
﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَظَلَمُواْ لَمۡ يَكُنِ ٱللَّهُ
لِيَغۡفِرَ لَهُمۡ وَلَا لِيَهۡدِيَهُمۡ طَرِيقًا إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ
خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ﴾
«رُفِعَ
الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِىِّ
حَتَّى يَحْتَلِمَ وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ»
«رَفَعَتِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا
لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ؟ قَالَ: نَعَمْ وَلَكِ
أَجْرٌ»
«حُجَّ بِى مَعَ رَسُولِ
اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ»
«احْفَظُوا عَنِّي،
وَلاَ تَقُولُوا: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، أَيُّمَا عَبْدٍ حَجَّ بِهِ أَهْلُهُ،
ثُمَّ أُعْتِقَ فَعَلَيْهِ الْحَجُّ، وَأَيُّمَا صَبِيٍّ حَجَّ بِهِ أَهْلُهُ
صَبِيًّا، ثُمَّ أَدْرَكَ فَعَلَيْهِ حَجَّةُ الرَّجُلِ»
﴿ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ
إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ ﴾
« يا رسول الله! إِنَّ أَبِي
شَيْخٌ كَبِيرٌ، لَا يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ، وَلَا الْعُمْرَةَ، وَلَا الظَّعْنَ،
قَالَ: حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ»
جاءت
امرأة من خثعم عام حجة الوداع قالت: يا رسول الله! إن فريضة الله على عباده في
الحج أدركت أبي شيخا كبيرا لا يستطيع أن يستوي على الراحلة، فهل يقضي عنه أن أحجّ
عنه؟ قال: نعم!
أنّ
امرأة ماتت أمّها سألت النبيّ صلى الله عليه وسلم فقالت: إنها لم تحجّ قط، أفأحجّ
عنها؟ قال: حجّي عنها
«لَا تُسَافِرِ
الْمَرْأَةُ إِلَّا مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلَا يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلَّا
وَمَعَهَا مَحْرَمٌ، فقال رجل: يا رسول الله! إني أريد أن أخرج في جيش كذا وكذا،
وامرأتي تريد الحج؟ فقال: اخرج معها»
No comments:
Post a Comment