Monday 18 November 2019

হজ্জ ও উম্‌রায় যে সকল আমল মুস্তাহাব



হজ্জ ও উম্‌রায় যে সকল আমল মুস্তাহাব
আব্দুল মুহসিন বিন হাম্‌দ আল্‌-আব্বাদ
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম 

এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো হজ্জ ও উম্‌রায় করা মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়। অধিক পুণ্য বা নেকীর আশায় হাজীদের ওই কাজগুলো করা উচিৎ তবে তা অপরিহার্য নয় কেউ যদি ওগুলো ছেড়ে দেয় তার জন্য তাকে কোনো দম বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না; এবং সে তার জন্য পাপীও হবে না তবে কেউ যদি অপছন্দ এবং অবজ্ঞাবশতঃ ছেড়ে দেয় তাহলে সে গোনাহগার হবে রাসূল (সা) বলেছে, সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল, সে আমার দলভুক্ত নয়।”[1] [বুখারি হা/৫০৬৩, মুসলিম হা/১৪০১]

এই হাদিসে সুন্নত বলে পবিত্র কুরআন ও বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখিত ফরয, ওয়াজিব এবং মুস্তাহাব কর্মসমূহকে বোঝান হয়েছে। হজ্জের ক্ষেত্রে অনেকগুলো মুস্তাহাব বা পছন্দনীয় আমল রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—

(ক) হজ্জ ও মরার উদ্দেশ্যে মক্কায় পৌঁছে প্রথ তাওয়াফে ‘রামাল (অর্থাৎ গুটি গুটি পায়ে মন্থর গতিতে দৌড়ানো) এবং ‘ইযতিবা’ (অর্থাৎ ডান কাঁধ খালি রেখে চাদরটা বাম কাঁধে রাখা ) করবে
(খ) তাওয়াফের সময় আল্‌-হাজারুল্‌স্‌ওয়াদকে চুম্বন করবে, অথবা স্পর্শ করবে, অথবা তার দিকে ইশারা করে আল্লাহু আকবার বলবে
(গ) রুক্‌ন ইয়ামানী স্পর্শ করবে
(ঘ) ফরয, ওয়াজিব বা নফল যে-কোনো তাওয়াফের পরে দু রাক‘আত সালাত আদায় করবে।
(ঙ) যমযমের পানি পান করবে
(চ) সাফা-মারওয়া পর্বতদ্বয়ে আরোহণ করবে।
(ছ) ওই পর্বতদ্বয়ে আরোহণ করে কিব্‌লামুখী হয়ে দোআ করবে
(জ) সায়ির সময় সবুজ বাতি দ্বারা চিহ্নিত নির্দিষ্ট স্থানে দ্রুত ছুটবে
(ঝ) তারবিয়ার দিনে অর্থাৎ ৮ তারিখে এবং আরাফার রাতে মিনায় অবস্থান করবে
(ঞ) প্রথম এবং দ্বিতীয় জাম্‌রায় কংকর নিক্ষেপের পর হাত তুলে দোকরবে
(ট) জাম্‌রায় কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর দেবে (অর্থাৎ “আল্লাহু আক্‌বার” বলবে); ইত্যাদি



[1]
«فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِى فَلَيْسَ مِنِّى»

No comments:

Post a Comment