হজ্জ ও উম্রায় যে কাজগুলো করা
ওয়াজিব
আব্দুল মুহসিন বিন হাম্দ আল্-আব্বাদ
অনুবাদ- আব্দুল মাতিন ওয়াসিম
কিছু কাজ আছে হজ্জ ও উম্রার ক্ষেত্রে যেগুলো অবশ্যই পালনীয়। এমন কাজগুলোকেই
ওয়াজিবাতুল্ হাজ্জ ওয়াল্ উম্রাহ্ বলা হয়। যেহেতু ওই সব আমল বা কাজ ওয়াজিব, তাই যদি কেউ এমন কোনো একটা কাজ করতে না পারে, বা কোনো ভাবে
ছুটে যায় সেক্ষেত্রে তাকে ‘দম’ অর্থাৎ তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য
যে, যে ব্যক্তি দম বা ক্ষতিপূরণ দেবে অর্থাৎ যার উপর দম ওয়াজিব, সে ওই দম দেওয়া বস্তুর
কিছুই খেতে পারবে না। বরং তার পুরোটাই হারাম শরিফের দরিদ্রদেরকে খাওয়াতে হবে। ইব্নু আব্বাস (রা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হজ্জ ও উমরার কোনো (ওয়াজিব) কাজ ভুলে যাবে বা ছেড়ে দিবে, তাকে দম (ক্ষতিপূরণ) দিতে হবে।” [মুওয়াত্ত্বা, ইমাম মালিক ১/৪১৯, সনদ ‘সাহীহ’]
উমরার ওয়াজিব ২টি এবং হজ্জের ওয়াজিব ৭টি—
(১) মীক্বাত থেকে ইহরাম বাঁধা— রাসূল (সা) একটি হাদিসে মীক্বাতসমূহের বর্ণনা দেওয়ার পর বলেছেন, “এই এলাকাগুলোর অধিবাসীরা ছাড়া যারাই এই সব এলাকা দিয়ে
হজ্জ ও উমরা করতে আসবে, তাদের জন্য এগুলিই হচ্ছে মীক্বাত (অর্থাৎ এখান থেকে
তাঁদেরকে ইহ্রাম বাঁধতে হবে)। তবে যারা এসব এলাকার অধিবাসী, তারা ভেতরে যেখানে বসবাস করে, তাদের সেই স্থান থেকেই ইহরাম বাঁধবে; এমনকি মক্কার অধিবাসীরা মক্কা থেকে (ইহ্রাম বাঁধবে)।”[1] [বুখারী হা/১৮৪৫, মুসলিম হা/২৮০৪, ইব্নু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত]। অতএব হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে যাত্রাকারীরা যাত্রা পথে যে মীক্বাত দিয়ে অতিক্রম করবে,
সেই মীক্বাত থেকে তাঁদেরকে অবশ্যই ইহরাম
বাঁধতে হবে।
(২) মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে ফেলা— হজ্জ ও উমরা থেকে হালাল
হওয়ার সময় মাথা মুণ্ডন করতে হবে অথবা চুল ছেঁটে ফেলতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহ তাঁর রাসূলকে সত্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ইন্ শা আল্লাহ (আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে) তোমরা অবশ্যই নিরাপদে মস্তকমুণ্ডিত অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়
মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে। এবং তোমরা কাউকে ভয় করবে না।”[2] [সূরা আল্-ফাত্হ ২৭]। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করবে না, যতক্ষণ না কুরবানীর পশু নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে যায়।”[3] [সূরা আল্-বাক্বারাহ ১৯৬]। এবং রাসূল (সা) প্রার্থনা করে বলেছেন, “আল্লাহ! তুমি মাথা
মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও”। সাহাবারা জিজ্ঞেস
করলেন, আল্লাহ্র রাসূল! চুল কর্তনকারীদের কী হবে? তিনি (সা) বললেন, “আল্লাহ! তুমি মাথা
মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও”। সাহাবারা (পুনরায়) জিজ্ঞেস
করলেন, আল্লাহ্র রাসূল! চুল কর্তনকারীদের কী হবে? নবী (সা, একই কথা) বললেন, “আল্লাহ! তুমি মাথা
মুণ্ডনকারীদেরকে ক্ষমা করে দাও”। সাহাবারা (আবার)
জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্র রাসূল! চুল কর্তনকারীদের কী হবে? (চতুর্থ বারে) নবী (সা) বললেন, “আল্লাহ! তুমি চুল
কর্তনকারীদেরকে (অর্থাৎ যারা মুণ্ডন না করে চুল ছোট করে,) ক্ষমা করে দাও।”[4] [বুখারী হা/১৭২৮, মুসলিম হা/৩১৪৮, আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত]।
মনে রাখতে হবে যে, মীক্বাত থেকে
ইহরাম বাঁধা এবং মাথা মুণ্ডন করা বা মাথার চুল ছেটে ফেলা হজ্জ এবং উমরা উভয়
ক্ষেত্রেই ওয়াজিব আমল।
(৩) আরাফায় অবস্থান করা— যে ব্যক্তি
দিনের বেলায় আরাফায় অবস্থান করবে, তাকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে হবে। রাসূল (সা)-এর হজ্জের বিবরণ সম্বলিত যে দীর্ঘ হাদিসটি জাবির (রা) বর্ণনা করেছেন,
তাতে এ কথা রয়েছে যে, “সূর্য
সম্পূর্ণরূপে অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত (অর্থাৎ সূর্য
ডুবে গেল, সোনালী আভাও অস্তমিত হল এবং ধীরে ধীরে গোল চাকতিও অদৃশ্য হয়ে গেল) রাসূল (সা) আরাফায় অবস্থান করলেন।”[5] [মুসলিম হা/২৯৫০]। এবং অন্য এক হাদিসে রয়েছে, রাসূল (সা) নিজেই বলছেন, “তোমরা আমার থেকে
হজ্জের নিয়ম-কানূন শিখে নাও। আমি জানি না, এই হজ্জের পরে আমি আর হজ্জ করতে পারবো কি না!”[6] [মুসলিম হা/৩১৩৭, জাবির (রা) হতে বর্ণিত]
(৪) মুযদালিফায় রাত যাপন করা— মহান আল্লাহ বলেছেন, “অতঃপর যখন তোমরা আরাফা থেকে ফিরে আসবে, এসে মাশ্‘আরে হারামের নিকটে আল্লাহ্র যিক্র করবে।”[7] [সূরা আল্-বাক্বারাহ ১৯৮]। এখানে মাশ্‘আরে হারাম বলে মুয্দালিফাকে বোঝান হয়েছে। এবং রাসূল (সা) নিজেও সকাল পর্যন্ত
মুয্দালিফায় অবস্থান
করেছেন। তবে তিনি (সা) দুর্বল নারী এবং বাচ্চাদেরকে শেষ রাতে মিনায় যাওয়ার
অনুমতি দিয়েছেন। [বুখারী হা/১৬৭৬, মুসলিম
হা/৩১৩০, ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণীত][8]। রাসূল (সা) কর্তৃক কিছু মানুষকে অনুমতি
দেওয়ার অর্থই হচ্ছে, এখানে রাত যাপন করা ওয়াজিব। কেননা এখানে অর্থাৎ মুয্দালিফায় রাত যাপন করা ওয়াজিব না হলে অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠত না।
(৫) কংকর নিক্ষেপ করা— কুরবানীর দিন
সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে অথবা পরে জাম্রাতুল্ আকাবায় এবং তাশ্রীকের দিনগুলিতে
অর্থাৎ (যিল্-হাজ্জ মাসের) ১১, ১২ ও ১৩ তারিখে সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে তিন জামরায় কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। জাবির (রা) হতে বর্ণিত হাদিসটিতে রয়েছে, “রাসূল (সা) কুরবানীর দিন
সকাল বেলা জামরাতে কংকর
নিক্ষেপ করেছিলেন। তবে পরের
দিনগুলিতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে নিক্ষেপ করেছিলেন।”[9]
[মুসলিম হা/৩১৪১]। ইব্নু আব্বাস (রা) বর্ণনা
করেছেন, “কুরবানীর দিন মিনাতে নবী (সা)-কে প্রশ্ন করা হচ্ছিল এবং তিনি উত্তরে বলছিলেন, “কোনো অসুবিধা নেই”। এক ব্যক্তি
বলল, আমি কুরবানীর পশু যবেহ করার আগেই মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি? তিনি (সা) বললেন, “এখন যবেহ করো, সমস্যা নেই”। লোকটি বলল,
সন্ধ্যার পরে কংকর নিক্ষেপ করেছি? তিনি (সা) বললেন, “কোনো সমস্যা নেই।”[10] [বুখারী হা/১৭৩৫] অন্য এক
হাদিসে ইব্নু উমার (রা) বলেছেন, “আমরা সময়ের
অপেক্ষা করতাম। সূর্য ঢলে
গেলেই কংকর নিক্ষেপ করতাম।”[11] [বুখারী হা/১৭৪৬]
অন্য এক বর্ণনায় আসিম ইব্নু আদি (রা) বলেছেন, “রাসূল (সা) কুরবানীর পশুর
দায়িত্বে নিয়োজিত লোকেদেরকে মিনায় রাত যাপনের ক্ষেত্রে ছাড় দিতেন। ফলে তাঁরা কুরবানীর দিন কংকর মারত এবং পরবর্তী দু’দিনের কংকর
একদিনে একসঙ্গে নিক্ষেপ করতো।”[12] [নাসায়ি হা/৩০৬৯, সনদ সাহীহ]। এই হাদিসে রাসূল (সা) কর্তৃক পশু দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকেদেরকে দু’দিনের কংকর
একদিনে একসঙ্গে মারার অনুমতি দেওয়া এবং তাঁদের উপর থেকে কংকর নিক্ষেপের আদেশ রহিত না হওয়াই
প্রমাণ করে যে, কংকর মারা ওয়াজিব।
(৬) মিনায় রাত যাপন করা— যাদের হাতে সময় রয়েছে, বিলম্বে তেমন অসুবিধা
হবে না, তারা তাশরীক্বের তিন রাতই মিনায় যাপন করবে। তবে যাদের তাড়া রয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব প্রস্থান করতে হবে,
তাদের জন্য বিধান হল, তারা প্রথম দু’ রাত মিনায় যাপন
করবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আর তোমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি
দিনে আল্লাহ্র যিক্র করো। অতঃপর যে ব্যক্তি প্রথম দু’ দিনে তাড়াহুড়ো করে চলে
যাবে, তার কোনো পাপ হবে
না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাড়াহুড়ো না করে থেকে যাবে, তাঁরও কোনো পাপ না; (এসব) অবশ্য তাদের জন্য যারা ভয়
করে।”[13] [সূরা আল্-বাক্বারাহ ২০৩]। এবং রাসূল (সা) নিজেও তাশ্রীকের তিন রাতই মিনায় যাপন করেছেন। এবং ১৩ তারিখে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিনটি জামরাতেই কংকর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, রাসূল (সা) কর্তৃক পানি
পরিবেশনকারী এবং পশু দেখাশুনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে তাশ্রীকের রাতগুলি মিনায় না কাটানোর অনুমতি প্রদান প্রমাণ করে যে,
মিনায় রাত যাপন করা ওয়াজিব। ইব্নু উমার (রা) বলেছেন, “আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রা) হাজীদের জন্য জল পরিবেশনের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাশ্রীকের রাতগুলি মক্কায় কাটানোর অনুমতি চাইলে রাসূল (সা) তাঁকে তার অনুমতি দেন।”[14] [বুখারী হা/১৬৩৪, মুসলিম হা/৩১৭৭]। এছাড়া পূর্বে উল্লেখিত আসিম বিন আদি (রা) হতে বর্ণীত হাদিসটিও মিনায় রাত যাপন ওয়াজিব হওয়াকে সাব্যস্ত করে। অতএব জল পরিবেশনকারী এবং পশু দেখাশুনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মত যাদের জন্য কোনো বিশেষ কাজে বা কোনো জরুরী বিষয়ে মিনার বাইরে রাত যাপন
করা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়ায়, তারা রাসূল (সা)-এর এই বিশেষ অনুমতির আওতায়
পড়বে। যেমন
নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডাক্তার প্রমুখরা।
(৭) বিদায়ী তাওয়াফ— রাসূল (সা) মক্কা ত্যাগে করার সময় বিদায়ী তাওয়াফ করেছেন। ইব্নু আব্বাস (রা) বলেছেন, “মক্কায় হাজীদেরকে সর্বশেষ যে কাজটির আদেশ করা হয়েছে তা হল কা’বা ঘরের তাওয়াফ করা। তবে ঋতুবতীদের
ক্ষেত্রে বিধান শিথিল করা
হয়েছে।”[15] [বুখারী হা/১৭৫৫, মুসলিম হা/৩২২০]। হাদিসটিতে ঋতুবতী মহিলাদেরকে বিদায়ী তাওয়াফের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার অর্থই হল এটি একটি ওয়াজিব কাজ। প্রসূতি মহিলারাও
এই ছাড়ের অন্তর্ভুক্ত। ইব্নু আব্বাস (রা) বর্ণনা করেছেন, “লোকেরা নিজ নিজ
এলাকায় ফিরে যাচ্ছিল; অতঃপর রাসূল (সা) আদেশ করলেন, বিদায়ী তাওয়াফ না করা পর্যন্ত কেউ যেন মক্কা ত্যাগ না করে।”[16] [মুসলিম হা/৩২১৯]। মা আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে,
সাফিয়্যা (রা)-এর ঋতুবর্তী হওয়াতে রাসূল (সা) বলেছিলেন, “সে তো আমাদেরকে মক্কায় আটয়ে দিল?” অতঃপর যখন তিনি (সা) জানতে পারলেন যে, সাফিয়্যা (রা) কুরবানীর দিনে তাওয়াফ ইফাদা সম্পন্ন করেছে, তখন বললেন, “তাহলে এখন তোমরা মক্কা ত্যাগ করতে পারো।” [বুখারী হা/১৭৩৩, মুসলিম হা/৩২২৩][17]।
« هُنَّ
لَهُنَّ وَلِكُلِّ آتٍ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِمْ مِمَّنْ أَرَادَ
الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى
أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ »
﴿ لَّقَدۡ صَدَقَ ٱللَّهُ رَسُولَهُ ٱلرُّءۡيَا بِٱلۡحَقِّۖ
لَتَدۡخُلُنَّ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ إِن شَآءَ ٱللَّهُ ءَامِنِينَ مُحَلِّقِينَ
رُءُوسَكُمۡ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَۖ ﴾
﴿ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ
مَحِلَّهُۥۚ ﴾
« اللَّهُمَّ اغْفِرْ
لِلْمُحَلِّقِينَ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلِلْمُقَصِّرِينَ؟ قَالَ:
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ
وَلِلْمُقَصِّرِينَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ. قَالُوا يَا
رَسُولَ اللَّهِ وَلِلْمُقَصِّرِينَ؟ قَالَ: وَلِلْمُقَصِّرِينَ »
« فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى
غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلاً حَتَّى غَابَ الْقُرْصُ »
« لتأخذوا مناسككم؛
فإني لا أدري لعلي لا أحجّ بعد حجتي هذه »
﴿ فَإِذَآ أَفَضۡتُم مِّنۡ عَرَفَٰتٖ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ عِندَ
ٱلۡمَشۡعَرِ ٱلۡحَرَامِۖ ﴾
[8] ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (রাহ) ইব্নু আব্বাস (রা)
থেকেও হাদিসটি বর্ণনা করেছেন— বুখারী হা/১৬৭৭, মুসলিম হা/৩১২৬
« رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم الْجَمْرَةَ يَوْمَ
النَّحْرِ ضُحًى، وَأَمَّا بَعْدُ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ »
« كان النبي صلى
الله عليه وسلم يُسأل يوم النحر بمنى، فيقول: لا حرج، فسأله رجل فقال: حلقت قبل أن
أذبح؟ قال: لا حرج، قال: رميت بعد ما أمسيت؟ فقال: لا حرج »
كنا
نتحين، فإذا زالت الشمس رمينا
« أَنَّ
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ لِلرُّعَاةِ فِي
الْبَيْتُوتَةِ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّحْرِ وَالْيَوْمَيْنِ اللَّذَيْنِ بَعْدَهُ يَجْمَعُونَهُمَا
فِي أَحَدِهِمَا »
﴿ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ فِيٓ أَيَّامٖ مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن
تَعَجَّلَ فِي يَوۡمَيۡنِ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثۡمَ
عَلَيۡهِۖ لِمَنِ ٱتَّقَىٰۗ ﴾
استأذن
العباس بن عبد المطلب رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يبيت بمكة ليالي منى من أجل
سقايته، فأذن له
أُمر
الناس أن يكون آخر عهدهم بالبيت إلا أنه خُفّف عن الحائض
كان
الناس ينصرفون في كل وجه، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا ينفرنّ أحد حتى
يكون آخر عهده بالبيت
No comments:
Post a Comment